বার ফেব্রুয়ারি দুই হাজার নয়
কদ্দিন ধরে শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। ছয় কি সাত ফেব্রুয়ারি শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের প্রকাশনী সংস্থা ভাষাচিত্র থেকে বেরুতেই শরীরের জীর্ণতা টের পেলাম।
অস্থির অসুস্থতা বিরাজ করছে মন ও শরীর জুড়ে। গতকাল রাত থেকে প্রেশারটা নিম্নগামী। রাতজুড়ে মাথা ব্যথা আর অস্থিরতায় কেটে গেলো।
ভেবেছিলাম আজ বিকেলে বইমেলায় যাবো। প্রণব, মুকুল ভাই’র কবিতার বই বেরুলো। প্রণব, মুকুল ভাই সম্ভবত আজ বইমেলায় থাকবে। ভরসা পাচ্ছি না কিন্তু শরীরের উপর । ইচ্ছেটা অথচ জোরালো।
সকালটায় নিয়মমতো চা খেয়ে কাঁথা মুড়িয়ে শুয়ে পড়লাম। হঠাৎ করে চারিদিক আঁধার হয়ে গেলো। অন্ধকার। কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি নামলো।
শীতের শেষ দিবস আজ। দক্ষিণের হাওয়া পেলাম না। কিন্তু পশ্চিম থেকে হাওয়াটা পেলাম। মৃদুই মনে হলো। কাল বসন্তের পয়লা দিবস। ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’-কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের পঙতিতে সেজে উঠবে বাঙালি কাল, শ্বাশত বসন্তের সাজে।
শুয়ে শুয়ে মোবাইলের সর্বশেষ টাকা দিয়ে অনলাইনে ঢুকলাম। তাপসের একটি ম্যাসেজ পেলাম তাতে। কিছুটা মনের জোর পাচ্ছি, তাই দূর্বল শরীর নিয়ে ডেস্কটপে বসলাম। তাপসের জন্য কিছু লেখার চেষ্টা। লিখতে লিখতে কখন যে নিজের জীবনের মাঝে ঢুকে পড়লাম, টেরই পেলাম না।
ব্যক্তি জীবনে আমি ভীষণ একরোখা। আজও তার বর্তমান থাকলো।
রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হচ্ছেন জিল্লুর রহমান, শপথ নিবেন তিনি। বর্ষীয়ান রাজনীতিব্যক্তিত্ব। রাজনীতি বিশ্লেষণে এ পদের যোগ্যতম ব্যক্তি নিসন্দেহে তিনি। ষাট বছরের মতো তিনি রাজনীতি ময়দানে নিরলস ছিলেন । বিরোধীদল তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এটি গণতন্ত্রচর্চার জন্য একটি ইতিবাচক দিক। আগামিতেও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে নিশ্চই।
আশা করা যায়, জিল্লুর রহমান, সীমিত ক্ষমতার মাঝে তিনি তাঁর দায়িত্ব বরাবরের মতো পালন করবেন। রাষ্ট্রপতি পদটাকে অলঙকৃত করবেন তিনি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



