মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে শিহাব আল-জুহরি সর্বপ্রথম হাদীস সংগ্রহ এবং সংকলনে হাত দেন। কিন্তু তার সংকলিত হাদীসগ্রন্থের কোনো হদিস বা সন্ধান পাওয়া যায়নি।
হাদীস গ্রন্থসমূহের মধ্যে ইমাম মালিকের “মুয়াত্তা” সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান প্রামান্য হাদীসগ্রন্থ।
ইমাম মালিক মদিনা হতে হাদিস সংগ্রহ ও গবেষণা শুরু করেন। তিনি সর্বমোট এক লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করেন এবং এসব হাদিসে তিনি সন্দেহ পোষণ করে শুরুতেই ৯০ হাজারেরও বেশি হাদিস বাদ করে দিলেন। বাকি দশ হাজারে ৪০ বছর গবেষণা করে উনি উনার "মুয়াত্তা" গ্রন্থে মাত্র ৫০০ টি হাদিসের যায়গা দিলেন।
ইমাম মালিকের এই গ্রন্থ প্রণয়নে প্রায় ৪০ বছর লেগে যায় এবং দীর্ঘ সময় ধরে তিনি বিশুদ্ধ হাদিসের খোঁজে যাচাই-বাছাই আর কাট-ছাট করে একেকটি হাদিসকে সুসংঘবদ্ধরুপে , সজ্জিত,নির্ভুল ও শৃঙ্খলিত করতে ব্যস্ত ছিলেন।
ইমাম সুয়ূতীর বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, যাছাই বাছাই শেষে, শেষ পর্যন্ত একলক্ষ হতে ৯৮ হাজারেরও বেশি হাদিস বাদ করে দিয়ে মুয়াত্তা গ্রন্থে মুহাম্মাদের সাহাবায়ে কেরাম ও তাবিয়ীদের থেকে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা হল মাত্র ১৭২০টি। কিন্তু এ নিয়েও ছিলো ভিন্ন মতামত। তাই পরিশেষে ৫০০+ লিপিবদ্ধ হয়। [আগামাথা নেই]
তন্মধ্যে সনদযুক্ত মাত্র ৩০০টি
আর মুরসাল হাদীস হল ২২২টি
মওকূফ হল ৬১৬টি এবং তাবিয়ীদের হল ২৮৫টি। [[আগামাথা নেই]]
ইমাম হাযম বলেন, আমি মুয়াত্তা গ্রন্থের হাদীস গণনা করেছি। গণনা করে যা পেলাম মুসনাদ হাদীস ৫০০ এর চেয়ে কিছু বেশী এবং মুরসাল ৩০০ এর মত। এছাড়া ৭০টি হাদীস এমন আছে যে, যার অনুসরণ ইমাম মালেক নিজেও কখনই করেননি।
আর এক লক্ষ হাদিসের মধ্যে বহু হাদিসের আমল মানুষ আগেই চালু করে দিয়েছিলো। যা এখনো বিদ্যমান। মাত্র ৫০০ হাদিস যখন সিলেক্ট করা হলো তখন সবাই ইমাম মালেককে প্রশ্ন করলেন যে, হাদিসের উপর আগে থেকেই মানুষ আমল শুরু করে দিয়েছে। এখন আপনি বাদ দিয়েছেন বইতে, কিন্তু বাস্তবে যারা আগের হাদিস শুনে, আগে থেকেই আমল করছে সেটা বন্ধ করা কি সম্ভব হবে? আসলে আজও তা সম্ভব হয়নি। তাই ইসলামের বহু আমল মানুষ এখনও করে কিন্তু কোরআন বা হাদিসের কোথাও তার লেশমাত্র হদিস পাওয়া যায় না। কারণ, বহু হাদিস বাদ এবং যোগ হয়ে গেছে।
______________________________________
ইমাম আবু হানিফা সন্দেহ পোষণ করে বাদ দিলেন আরো বহু হাদিস।
অন্যদিকে
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল হাদিসের ভান্ডার দেখে ২৭০০০ হাদিসে সন্দেহ পোষণ করলেন।
অতঃপর আব্বাসিয় যুগের পর আর কেউ হাদিস সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করেননি।
প্রশ্ন হলো ৫০০ হাদিস হতে কিভাবে আজ হাজার হাজার হাদিস হয়? বুখারী কে?মুহাম্মাদ কি বোখারীকে চিনতেন?
কোরআন যখন সর্বশেষ গ্রন্থ তখন হাদিসের গ্রন্থ আসে কোথা হতে? মুহাম্মাদের মৃত্যুর ১৫০ হতে ২০০ বছর পর কে ওহী নিয়ে এসে বুখারিকে হাদিস লিখতে বললেন? আপনি কি তাহলে সৃষ্টিকর্তাকে মানছেন নাকি বোখারীকে মানছেন? নবী বিদায় হজ্জে বোখারীকে মানতে বলেছন নাকি কোরআন মানতে বলেছেন?
কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন,
পৃথিবীর সব পন্ডিত ও জ্ঞানী মানুষদের ভালো প্রবাদগুলো হাদিস হিসেবে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্রশ্ন:- বুখারীকে মানতে হবে এমন কোনো নির্দেশ কি কোরআনে আছে?
উত্তর:- নাই।
প্রশ্ন:- তাহলে তাকে মানতে হবে কেনো?
উত্তর:- কোরআন স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। হাদিস ছাড়া কোরআন অচল। আগামাথা কিছুই পাওয়া যায় না। তাই বাধ্য হয়ে মানতে হয়।
প্রশ্ন:- বোখারীকে না মানলে কারো ঈমান চলে যাবে?
উত্তর:- না। তবে বোখারীকে না মানলে কোরআনের ইসলাম আর ধর্ম থাকে না। কোরআন অগোছালো একটা বই। যা দিয়ে কোনো কিছুর সুষ্ঠু সমাধান সম্ভব না। তাই মানুষ ইসলামকে ধর্ম বানাতে চাইলে বোখারীকে মানতেই হবে।
প্রশ্ন:- বোখারীর সব হাদিস বিশুদ্ধ?
উত্তর:- বোখারী নিজেও নিশ্চিত না। নবী মরার ২০০ বছর পর পৃথিবীর যত ভালো প্রবাদ সব তাঁর নামে লিপিবদ্ধ করে মানুষের মুখে শোনা বানোয়াট কথাবার্তাই বেশি। কারণ ঈমাম মালেক যেখানে ৪০ বছর গবেষণা করে ৫০০ হাদিস রাখে ,সেখানে ছিয়াহ ছিত্তার হাজার হাজার হাদিস যে ১০০% জাল। তা আর বলার অবকাশ রাখে না।
প্রশ্ন:- তাহলে কি জালের উপর ভিত্তি করেই ইসলাম?
উত্তর:- হ্যা ১০০%। জাল হাদিস ছাড়া ইসলাম পঙ্গু। অস্তিত্বই নাই।
তাই অনেকে হাদিস মানতে চায় না। কিন্তু ছাড়তেও পারেনা। কারণ ,হাদিস ছড়া ইসলামের হদিস নাই। আবার ইসলাম খুঁজতে গেলে হাদিসের হদিস নাই।
হাদিসেই আছে নবী একবার আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো।অনেকে বলে এ হাদিস ভূয়া। অনেকে বলে যে হাদিস বলেছে সে ভূয়া।অনেকে বলে সবে বরাত ভূয়া, কেউ কেউ বলে সবে মেরাজ ভূয়া, আসলে খুঁজতে গেলে দেখি সবই ভূয়া। পুরো ইসলামই ভূয়া।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭