বিশ্বব্যাপী মিয়ানমারে জনবিক্ষোভের দমন-পীড়নের খবর, ছবি, ভিডিওচিত্রের প্রচার ঠেকাতে সামরিক জান্তা শুক্রবার থেকে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার কোনো ইন্টারনেট ক্যাফে খোলেনি এবং ক্যাফেগুলো কেন বন্ধ রয়েছে সে বিষয়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইএসপি) কাছে জানতে চেয়েও কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছেনা।
৪৫ বছরের সামরিক শাসন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং অবনতিশীল জীবনমানের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠা স্থানীয় নাগরিকরাই মূলত এ বিক্ষোভের তথ্য দেশের বাইরে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করছেন। এক্ষেত্রে তারা সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক বা গোপন সংবাদ প্রদানের জন্য ই-গ্রিটিংস কার্ড ব্যবহার করছেন। আর ভিন্নমতাবলম্বী বিভিন্ন সংবাদসংস্থার সাংবাদিকরা এসব তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করার জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
১৯৮৮ সালের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের সময় যেসব সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহের কাজ করেছিলেন তারা জানান, সেসময় তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে এরকম আভাস পেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে করে তথ্যপ্রবাহ বন্ধ করা সম্ভব হতো না বলেই মনে করেন তিনি। তার মতে, এতে করে তথ্যপ্রবাহ হঠাৎ করে থমকে যেতে পারত। কিন্তু বন্ধ হয়ে যেত না।
আর আজকের আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পরিস্থিতি সেই ১৯ বছর আগের তুলনায় একেবারেই আলাদা। সে সময় বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনার খবর জানাতে কয়েকদিন লেগে যেত। কিন্তু এখন তা হয় না। একারণে, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে কেবল তথ্যের প্রবাহে বিলম্ব ঘটানো যেতে পারে। কিন্তু তা থামানো যাবে না। বর্তমান সময়ে কোনো ঘটনার এত অজস্র ছবি থাকছে যে সেগুলো প্রকাশ পাবেই।
জাপানী ফটোগ্রাফার হত্যা, সেনাদের রাস্তায় মার্চ করা এবং রাইফেল নিয়ে প্রস্তুত থাকার এই নাটকীয় ছবিগুলো বিশ্বব্যাপী মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা এবকং কূটনৈতিক পন্থায় সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি হওয়ার জন্য যথেষ্ট।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




