ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের চারবাড়ীয়া বাজারে চাঞ্চল্যকর আব্দুস ছালাম খুনের মামলায় ১৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ড এবং নিজাম উদ্দিন নামে অপর একজনকে এক বছরের কারাদন্ড প্রদান করেছে ময়মনসিংহ ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত। গতকাল (১৮/০৫/১০)মঙ্গলবার বিকেলে ময়মনসিংহের ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শরীফ আহমেদ এ রায় ঘোষনা করেন। মোট ২৩ আসামীর মধ্যে ৭ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন-মোস্তফা ওরফে রাতুল, শামসুল হক ওরফে কাঞ্চন, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, সুরত আলী, নুরুল ইসলাম, লেকত আলী, সুলতান, স্বপন, রিপন, আব্দুল আওয়াল, আব্দুল মান্নান, সোলায়মান, শহীদ ও আনোয়ার হোসেন ওরফে আনার। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মাঝে সুলায়মান, শহীদ ও আনোয়ার হোসেন আনার পলাতক রয়েছে। আসামীদের মধ্যে ইতিপূর্বে ৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের দরি চারবাড়ীয়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর পুত্র আব্দুস ছালাম চারবাড়ীয়া বাজারে চাউল ব্যবসায়ী এবং বাজার ইজারার শেয়ারার ছিলেন। ১৯৯৪ সালে ১১ মে সকালে আসামী নাজিম উদ্দিনসহ ৪০/৫০ জন লোক চারবাড়ীয়া বাজারে খাস জমির উপর ঘর তুলছিল। এ সময় ইজারাদার আব্দুস ছালাম, মকসুদ জামাল লিটন ও ছফির উদ্দিন ঘর তুলতে বাঁধা দেয়। তখন নাজিম উদ্দিনের হুুকুমে আসামীরা ইজারাদারদের দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে উপর্যুপরি আঘাত করে আব্দুস ছালাম, মকসুদ জামাল লিটন ও ছফির উদ্দিনকে রক্তাক্ত জখম করে মাটিতে ফেলে চলে যায়। পরে স্থানীয় জনতা ও আত্মীয় স্বজন গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুস ছালাম ও ছফিরকে প্রথমে গফরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করে এবং পরে আব্দুস ছালামের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে সে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে দীর্ঘ ১৫ বছর পর ময়মনসিংহ ২য় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শরীফ আহমেদ গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ রায় ঘোষনা করেন। মামলায় খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আতাবুদ্দিন, কেরামত আলী, আবু বক্কর সিদ্দিক, মিষ্টার, মোতালেব, আবুল কাসেম ও আব্দুল হাই। বাদী পে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদুল ইসলাম, এপিপি সৈয়দ আনোয়ারুল হক, শামসুল হক ও এ বি এম নুরুজ্জামান খোকন, অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম দুলাল, অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন। এই মামলাটি নিু আদালতে ৪বছর থাকার পর ১৯৯৯ সালে উক্ত আদালতে বিচারের জন্য আসে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





