পর্ব ০১
ছোট্ট একটা শহরে থাকি। টিলার বুকে জলধারার মতো আঁকাবাঁকা উঁচুনিচু রাস্তা, দুইপাশে পাঁচমিশালী বাড়িঘর। বিলাস বহুল থেকে টিনের খুপড়ি পর্যন্ত আছে। হাই রাইজিং বিল্ডিং তেমন একটা নেই। চাঁদের কলঙ্ক হয়ে শহরের মাঝখানে বাজার, এছাড়া শহরটা অসাম। আদর্শ ডিজিটাল থানা শহর এই আয়না গিরি।
সুযোগ সুবিধায় দেশের অনেক জেলা শহরকে পিছনে ফেলে দেয়। আর দশটা শহরের মতো কিছু সমস্যাও আছে কিন্তু সব মিলিয়ে মন্দ না। সব থেকে বড় ব্যাপার শহরটা সুন্দর। আয়না গিরির সৌন্দর্যের বিস্তারিত কথা আরেকদিন বলবো। আজ শুধু আপনাদের সাথে শহরটার পরিচয় করিয়ে দেই।
আয়না গিরিতে পূর্ণিমা , রাত, বৃষ্টি এবং ভোর সুন্দর। আয়না গিরিতে মাছ সস্থা। জনসংখ্যা আনুপাতিক হারে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম। আয়না গিরির অধিকাংশ স্থায়ী বাসিন্দা কর্মসূত্রে বর্তমানে প্রবাসী। এখান থেকে যেমন প্রবাসী বেশি তেমনি এখানেও বাহিরের অনেক মানুষ এসে শুন্য স্থান পূরণ করেছে।
আয়না গিরিতে সব আছে, হাসপাতাল থেকে ক্লিনিক, ডাক্তারের চেম্বার ভুড়ি ভূরি। মদরাসা রোডে মাদরাসা, কলেজ রোডে কলেজ আছে , নামকরা শপিং মল থেকে "চাঁদনিচক " সব কিছু এখানে আছে। দামী রেস্টুরেন্ট থেকে নির্জন পুকুর ঘাট।থানা, ফায়ার সার্ভিস থেকে নদীর ঘাট।
এই আয়না গিরি নামটা আমার দেওয়া নাম। চাঁদনী রাতের এই শহরকে আমার ছাদ থেকে প্রথম দৃষ্টিতে দেখলাম বিশাল একটা স্বছ আয়নায় ছোট ছোট কয়েকটা ঘন সবুজ অথবা কালো টিলা একত্রে গড়ে তোলেছে একটি জাদুর শহর।
আয়না গিরি টিলার শহর।এক টিলার উপরে বিদ্যালয় ,অন্য টিলার উপরে সওজ এর ডাক বাংলো, আরেক টিলায় হাসপাতাল।এক টিলায় পোস্ট অপিস তো অন্য টিলায় থানা।এই টিলা গুলো ধার ঘেঁষে কয়েক পাড়া মানুষ নিয়ে আমাদের এই আয়না গিরি। বছরের অধিকাংশ সময় বৃষ্টি হয় তাই পরিচ্ছন্ন।
আয়না গিরিতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট , ভালো কুরিয়ার সার্ভিস এবং রাজধানী শহর পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ শহরটার আকর্ষণ বাড়িয়েছে। আয়নাগিরির চা মজার , কলা মিষ্টি এবং পান পাগল করা।
পর্বঃ ০২ আসছে........
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩