হাওর গুলোতে এখন যাতায়াত ব্যবস্থা একটু বেগতিক। না পুরোদমে নৌকা চলে , না হেটে/গাড়িতে চলাচল করা যায়। কোথাও হাঁটু পানি তো কোথাও কোথাও কোমর পানি। প্রতিদিন ফুট খানেক পানি বাড়ে। হয়তো দিন পনেরো পরে পুরোপুরি নৌকা নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।
কিন্তু হাওরে এই সময়ে একটা ব্যাতিক্রমী সৌন্দর্য আছে। এখন আকাশ পরিষ্কার , জোড়ে বাতাস বয় , গ্রাম গুলোর পাশে খেলার মাঠ গুলো এখনো শুকনা, মাঠে মাঠে খেলা করে হাওরের বাঁধনহারা ছেলেপুলের দল।
এমন দিনে হাওরে চুপটি করে বসে থাকতে মজা, দুপুর বেলা উদলা গায়ে গাছের নিচে আয়েশ করতে আনন্দ।একাকী হাওরের সাথে নিজেকে একাকিত্ত্বে বিলিয়ে দিয়ে বিকেল গুলোতে আনমনা স্বপ্নে বিভোর হতে হয়।সন্ধ্যায় হাওরের নয়া পানিতে গোসল করে দেহ মনে আসে পরম প্রশান্তি।
এখন রাত্রিগুলো নিরব ও প্রসন্ন। শো শো বাতাসের কাছে মন ও কানকে জিম্মি করে খোলা আকাশের নিচে ঘুমিয়ে পড়তে হয় , এখানে হারানো ভয় নেই , তাই ঘুম হয় অতুলনীয়। যদি মাঝ রাতে বৃষ্টি আসে, মন খুলে ভিজতে হয়।
এখন শহুরে তপ্ত জীবনের প্রতিক্ষণে হাওর থেকে "যাযাবর" আমাকে ডাকে।আমি জাগতিক জীবনের মায়ায় পাষাণ হৃদয়ে সে ডাক উপেক্ষা করি। যাযাবর আমাকে সুধায় ...
তাপদাহে আঁশফাঁস যদি করে মন
হাওরে আসিও বন্ধু , হবে
জ্যৈষ্ঠের নয়াপানিত অবগাহন ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:২২