somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যুদ্ধ করেনি

১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যুদ্ধ করেনি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
বার্তা২৪ ডটনেট

ঢাকা, ১৪ অক্টোবর: আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নয়। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। তারা ২৬ মার্চ দেশ থেকে পালিয়ে কোলকাতায় গিয়ে বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করেছেন। আমরা শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার নেতা বানাতে চাইলেও শেখ হাসিনা তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা বন্ধ করে দিয়ে পরিত্যক্ত করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

‘‘আধুনিক বাংলাদেশ গঠন ও কৃষি উন্নয়নে শহীদ জিয়া’’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষক পরিষদ।

সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগের এক রূপ আর বিরোধী দলে থাকলে আর এক রূপ দেখা যায়। শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতার চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়াটাই বেশি পছন্দ করতেন। আমরা চেয়েছিলাম তিনি স্বাধীনতার নেতা হোন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সব সময় তা এড়িয়ে যেতেন। এসব কথা লিখেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর তাজউদ্দিন আহমদ।”

দুদু বলেন, “গণতন্ত্র হত্যা, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিনকে বহিস্কার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, নিজের দল আওয়ামী লীগকে ব্যান্ড সবই বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। এই কণ্ঠরোধকারী একজন মানুষকে জাতির পিতা করা হয়েছে। এই আলোচনা করলেও সাংবিধানিক আইনে আমাদের জেলে যেতে হবে।”

তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাই বঙ্গবন্ধুকে পরিত্যক্ত করেছেন। কারণ আমরা তাকে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে জীবিত রাখতে চাইলেও সংবিধান পরিবর্তন করে শেখ হাসিনা তা বন্ধ করেছেন। এখন কেউ শেখ মুজিবকে নিয়ে পিএইচডিও করতে চাইবে না। কারণ পিএইচডি করতে হলে আলোচনা সমালোচনা দুটোই করতে হয়।”

বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের কোনো বড় নেতা স্বাধীনতার জন্য কোনো যুদ্ধ করে নাই। আওয়ামী লীগের সব নেতা ২৬ মার্চ সীমান্ত পারি দিয়ে কোলকাতার বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করেছেন।”

তিনি বলেন, “শেখ মুজিব স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। খন্দকার মোস্তাক এসে বাকশালও বাতিল করে দেয়। তখন দেশ রাজনৈতিক দলশূন্য হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় জিয়াউর রহমান এসে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।”

নিতাই রায় বলেন, “তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে ভারত ৯.২২ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়। তাই আগে তিস্তায় সর্বোচ্চ পানি ছিলো ২ লাখ হাজার কিউসেক আর সর্বনিম্ম ১০ হাজার কিউসেক। গজল ডোবায় তিস্তা ব্যারেজের মাধ্যমে ভারত পানি নিয়ে যাওয়ায় এখন তিস্তায় সর্বোচ্চ পানি পাওয়া যায় এক হাজার কিউসেক আর সর্বনিম্ম ৪০০ কিউসেক। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে বলেছেন তিস্তায়তো পানিই নেই। বাংলাদেশকে কি দেবো।”

তিনি বলেন, “আসলেই তিস্তায় পানি নেই। কারণ তিস্তার পানি ৩৫ কিলোমিটার উজানে তিস্তা ব্যারেজ বানিয়ে ভারত প্রত্যাহার করে নেয়। ভারত ষড়যন্ত্র করেই বাংলাদেশকে মরুভূমি বানিয়েছে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হয়ে গেছে। এখন টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করে সিলেট অঞ্চলও তারা মরুভূমি করে দেবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বিএনপি নেতা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

বার্তা২৪ ডটনেট/এমএইচ
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×