‘আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যুদ্ধ করেনি’
নিজস্ব প্রতিবেদক
বার্তা২৪ ডটনেট
ঢাকা, ১৪ অক্টোবর: আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি নয়। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি। তারা ২৬ মার্চ দেশ থেকে পালিয়ে কোলকাতায় গিয়ে বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করেছেন। আমরা শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার নেতা বানাতে চাইলেও শেখ হাসিনা তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা বন্ধ করে দিয়ে পরিত্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
‘‘আধুনিক বাংলাদেশ গঠন ও কৃষি উন্নয়নে শহীদ জিয়া’’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষক পরিষদ।
সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রফেসর শামছুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “ক্ষমতায় থাকলে আওয়ামী লীগের এক রূপ আর বিরোধী দলে থাকলে আর এক রূপ দেখা যায়। শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতার চেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়াটাই বেশি পছন্দ করতেন। আমরা চেয়েছিলাম তিনি স্বাধীনতার নেতা হোন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সব সময় তা এড়িয়ে যেতেন। এসব কথা লিখেছেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর তাজউদ্দিন আহমদ।”
দুদু বলেন, “গণতন্ত্র হত্যা, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিনকে বহিস্কার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ, নিজের দল আওয়ামী লীগকে ব্যান্ড সবই বঙ্গবন্ধু করেছিলেন। এই কণ্ঠরোধকারী একজন মানুষকে জাতির পিতা করা হয়েছে। এই আলোচনা করলেও সাংবিধানিক আইনে আমাদের জেলে যেতে হবে।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনাই বঙ্গবন্ধুকে পরিত্যক্ত করেছেন। কারণ আমরা তাকে আলোচনা সমালোচনার মধ্যে জীবিত রাখতে চাইলেও সংবিধান পরিবর্তন করে শেখ হাসিনা তা বন্ধ করেছেন। এখন কেউ শেখ মুজিবকে নিয়ে পিএইচডিও করতে চাইবে না। কারণ পিএইচডি করতে হলে আলোচনা সমালোচনা দুটোই করতে হয়।”
বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের কোনো বড় নেতা স্বাধীনতার জন্য কোনো যুদ্ধ করে নাই। আওয়ামী লীগের সব নেতা ২৬ মার্চ সীমান্ত পারি দিয়ে কোলকাতার বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করেছেন।”
তিনি বলেন, “শেখ মুজিব স্বাধীনতার মূল চেতনা ধ্বংস করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। খন্দকার মোস্তাক এসে বাকশালও বাতিল করে দেয়। তখন দেশ রাজনৈতিক দলশূন্য হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় জিয়াউর রহমান এসে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।”
নিতাই রায় বলেন, “তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে ভারত ৯.২২ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়। তাই আগে তিস্তায় সর্বোচ্চ পানি ছিলো ২ লাখ হাজার কিউসেক আর সর্বনিম্ম ১০ হাজার কিউসেক। গজল ডোবায় তিস্তা ব্যারেজের মাধ্যমে ভারত পানি নিয়ে যাওয়ায় এখন তিস্তায় সর্বোচ্চ পানি পাওয়া যায় এক হাজার কিউসেক আর সর্বনিম্ম ৪০০ কিউসেক। সেজন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নিজে বলেছেন তিস্তায়তো পানিই নেই। বাংলাদেশকে কি দেবো।”
তিনি বলেন, “আসলেই তিস্তায় পানি নেই। কারণ তিস্তার পানি ৩৫ কিলোমিটার উজানে তিস্তা ব্যারেজ বানিয়ে ভারত প্রত্যাহার করে নেয়। ভারত ষড়যন্ত্র করেই বাংলাদেশকে মরুভূমি বানিয়েছে। উত্তরাঞ্চল মরুভূমি হয়ে গেছে। এখন টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করে সিলেট অঞ্চলও তারা মরুভূমি করে দেবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বিএনপি নেতা অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
বার্তা২৪ ডটনেট/এমএইচ

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




