somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিশ্চিন্ত কোলে, নিদ্রিত রজনী

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১.
হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলা শোভনের। চোখ মেলে তাকাতেই চোখে পড়লো নাবিলার মুখটিতে। চোখ কচলে বুঝতে চেষ্টা করলো সে কোথায় ঘুমিয়ে আছে, প্রথমে না বুঝলেও মাথা তুলে আশেপাশটা দেখতেই বুঝতে পারলো কোথায় সে ঘুমিয়ে ছিলো সারারাত। বা হাতে ভর দিয়ে মাথা তুলে লক্ষ্য করলো মশারির স্ট্যান্ডের সাথে মাথা এলিয়ে দিয়ে কাঁত হয়ে ঘুমিয়ে আছে নাবিলা। অসম্ভব সুন্দর এক মায়াময়তার খেলা করছে নাবিলা চেহারা জুড়ে।
কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো শোভন পলকহীন চোখে। শোভন নাবিলাকে না জাগিয়ে শুধু ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে চেয়েছিলো কিন্তু কোন কথা না বললেও তার হালকা নড়াচড়ায় চোখ মেলে তাকালো নাবিলা। ঘুম ঘুম চোখে নির্লিপ্ত চেহারায় দেখা দিলো এক টুকরো মুচকি হাসি, যে হাসিতে নেই কোন কৃত্রিমতা, নেই কোন অভিমান, অভিযোগ, আছে শুধুই ভালবাসা। সে হাসিতে প্রাণ ভরে গেলো শোভনের।

২.
গতকালই শোভন বেড়াতে এসেছে নানার বাড়ীতে। নানার বাড়ীর সাথে লাগোয়া ওর খালার বাড়ী। ঈদ বা কোন উপলক্ষ্যে বন্ধ ছাড়া সাধারনত গ্রামের বাড়ী যাওয়া হয়না শোভনের। পড়ালেখার উদ্দেশ্যে বাড়ী ছেড়েছে অনেক আগেই, তারপর থেকে ইচ্ছা থাকলেও নিয়মিত আর সময় হয়না বাড়ী যাওয়ার। বছরে ৩/৪ বার সর্বোচ্চ, অনেক সময় তাও হয়না।বাড়ী গেলে সময় পেলেই ছুটে আসে প্রিয় নানার বাড়ী আর খালার বাড়ীতে। ছোট বেলা থেকেই নিয়মিত যাওয়া আসা করে খালার বাড়ীটা তার কাছে দ্বিতীয় বাড়ী হয়ে গেছে। এখানে গল্প, আড্ডা, খেলাধুলা, বেড়ে উঠা অনেক কিছুর স্মৃতি মিশে আছে। তাইতো সুযোগ পেলেই ছুটে আছে খালার বাড়ীতে। তার কাছে মনে হয় একটি চুম্বুক লাগানো রয়েছে এখানে, যে চুম্বুকের টানে সে বহুদূর থেকে বারবার ছুটে আসে তার দ্বিতীয় বাড়ীতে। চুম্বুক আর কিছু না তার তিন বছর ছোট প্রিয় কাজিন নাবিলা। চোখের সামনে একসাথে বড় হওয়া নাবিলাকে সে দেখতে দেখতে এতোগুলো বছর পার করে দিয়েছে।
নাবিলা বড় হয়েছে নানা বাড়ীতে। নানা বাড়ী পুরোপুরি না, ওর জন্মের পরে কয়েক বছর নাবিলা ছিলো নানাদের দোতালা টিনসেটটিতে। মামারা কেউ বাড়ীতে না থাকায় নাবিলারা এ বাড়ীতে থাকতে সমস্যা হয়নি। বেশ কয়েক বছর পরে নানা বাড়ীর পাশেই ঘর বানিয়েছে নাবিলার বাবা। তখন ওরা নিজেদের একতলা ঘরে গেলেও নানা বাড়ীর সাথে ওদের ঘরে হওয়ায় নানা বাড়ীতেই বড় হয়েছে বলে চলে। খালা, মামা, সকল আত্মীয় স্বজন এ বাড়ীতে আসার ফলে সকলের সাথে দেখ হতো নাবিলার।
নানা বাড়ীর প্রতি শোভনের আকর্ষনের একটি বড় কারণ নাবিলা। সকলের সাথে দেখা সাক্ষাতের পাশাপাশি চলে নাবিলার সাথে গল্প, আড্ডা, খেলাধুলা, খুনসুটি আরো কত কি…. ছোট বেলা থেকেই এভাবে ওদের বেড়ে ওঠা। এখন দূরে থাকলেও সুযোগ পেলেই ছুটে আসে এখানে, তাই গ্রামের বাড়ীতে আসলে মিস হয় না নানা, খালার বাড়ী আসায়। বিভিন্ন বন্ধে বাড়ী আসলে এমন খুব কমই হয়েছে যে, সে এখানে আসে নাই….. নাবিলার চুম্বুকত্ব তাকে চুম্বুকের টানের মতো এখানে নিয়ে আসে টেনে।

গত একটি বছর শোভনের সাথে নাবিলার দেখা নাই। শোভন বাড়ী যেতে পারেনি বিভিন্ন কারণে। বারবারই ইচ্ছে হতো ছুটে গিয়ে প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা করে আসে কিন্তু অনেক কিছুর মাঝে আর সময় করে যেতে পারেনি সে। হাতে সময় কম, তাই বাড়ীতে দু একদিন থেকে চলে এসেছে নানার বাড়ী। খুব সকালে বাড়ী থেকে বের হয়ে এসে পৌছতে ৯ টা বেজে গেলো।বাড়ীতে নাস্তা করে আসলেও এখানে এসে আবার নাস্তায় যোগ দিতে হলো নাবিলার মায়ের অনুরোধে। গরম ভূনা খিচুরী, সাথে ডিম ভাজি করে দিলো খালা। নাবিলা আর শোভন এক সাথেই বসলো নাস্তার টেবিলে। বেশ যত্ম করে তৈরী করা হয়েছে ভূনা খিচুরী, এর স্বাদই তা বলে দেয়। নাবিলার রান্না যেন অমৃতের স্বাদ নিয়ে এলো শোভনের কাছে, বেশ ভালো রান্না করে সে তা শোভন আগে থেকে জানে। নাবিলা খুব বেশী না খেলেও শোভন বেশ মজা করে নাবিলার তৈরী খিচুরী খেলো।

৩.
চা নাস্তা সেড়ে শোভন শহরে বেড়িয়ে পড়লো শহরে তার কয়েকজন বন্ধুদের সাথে দেখা করতে। মটর সাইকেল নিয়ে ঘুরে বেড়ালো অনেক জায়গায়, ছোট বেলার বন্ধুদের খুঁজে খুজে বের করলো, বিভিন্ন বাসায় দাওয়াত খেলো আর অবিরাম গল্প আড্ডা তো চলছেই। সারাদিনের ক্লান্তি মুছতে ছুটে গেলো গোধূলী বেলায় শহরের প্রান্ত ঘেঁষে যে নদীটি চলে গেলে দূর সীমানায়, যে নদীর কোল ঘেষে গড়ে উঠেছে এ পুরাতন শহরটি , সে নদীর তীরে। ঝিরিঝিরি বাতাসে নদীরে তীরে বিছানো প্রাকৃতিক সবুজ কার্পেটে বসে চলছে অতীত বর্তমানের যত কথা। বন্ধুরা একত্রিত হলে এ আড্ডার যেন শেষ হয় না, চলতে থাকে অবিরাম।
সারাদিন বন্ধুদের সাথে বাহিরে থাকলেও শোভন ভুলে যায়নি নাবিলাকে; কোথায়, কি অবস্থায় আছে তা মাঝে মাঝেই জানানোর চেষ্টা করেছে, জানতেও চেয়েছে নাবিলার অবস্থা । সারাটা দিন নাবিলার সাথে গল্প করে কাটানোর ইচ্ছা থাকলেও বহুদিনের বন্ধুত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে আবেককে সংযত রেখেছে। আবার কখন দেখা হবে এ বন্ধুদের সাথে তা তারাও জানে না, তাইতো বন্ধুত্বকে সম্মান জানানো। তবুও শোভনের মাঝে প্রতিটি মূহুর্তে অনুভূত হয়েছে নাবিলার অদৃশ্য উপস্থিতি। সন্ধ্যা গড়ালে বন্ধুদের থেকে বিদায় নিয়ে শোভন বাসার পথ ধরল। মুতাসিম মটর সাইকেলে তাকে নামিয়ে দিয়ে গেলো বাসার কাছে। সারাদিনের ক্লান্তি এসে ভর করলো শরীরে।
ধীর পায়ে নানার বাড়ীর সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেই চোখে পরলো নাবিলার উপস্থিতি। দরজায় দাড়িয়ে গল্প করছে অন্য সবার সাথে। আর চোখ রাখছে গেটের দিকে, কখন এসে শোভন পৌছায় হয়তো সে অপেক্ষায়। উদ্বিগ্ন চেহারাটা ঝিলিক দিয়ে উজ্জল আভায় আলোকিত হলো যেন, উদ্ধিগ্নতা কেটে গেলো মূহুর্তেই, সেখানে খেলা করছে খুশির আমেজ। কিন্তু উজ্জ্বলতার মাঝে চাপা বেদনায় নীল হওয়া অনুভুতিটা ঠিকই অনুভব করলো শোভন। কেন এই নীল বেদনা? সারাদিন না পাওয়ার বেদানায় কি তবে নাবিলা চুপচাপ কষ্ট পেয়েছে….? মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিলো শোভন…. বন্ধুত্বকে সম্মান জানাতে গিয়ে প্রিয় মানুষকে কষ্ট দেয়া কি ঠিক হয়েছে? দু‘টোই জরুরী; তবে এই ভেবে ভালো লাগছে ….. সারাদিন বন্ধুদের সাথে কাটালেও এখন সে কাটাতে পারবে নাবিলার সাথে। উভয়টাই শতভাগ উপভোগ করবে সে।

৪.
ঘরে প্রবেশ করে ছোটখাটো গল্পের আসরে যোগ দিলো সে । নানু, মামা, খালা, আরো দু‘এক কাজিন আর নাবিলাসহ মোটামুটি অনেকে। সুযোগ পেলেই এ আসর বসে , শোভনদের ছোট বেলায় যা বিশাল গল্পের সমাবেশের মতো হতো। এককুড়ি কাজিনদের সমাবেশ আর মামা, খালারা তো ছিলোই যদিও শোভনের মতো সকলের ব্যস্ততায় তা খুব অকেশনালি হয়ে থাকে। কারো বিবাহ অথবা ঈদের বন্ধে অনেকে একত্রিত হলে আর না হলে এ স্মৃতি দূরেই থেকে যায়। বয়োবৃদ্ধা নানুকে মধ্যমনি বানিয়ে সকলে গল্পের ডালি সাজিয়েছে যেন।হরেক রকম গল্প।
রাত ৯.০০ টা বাজতেই ছোটখালা হাক ছাড়লেন খাবার টেবিলে যাওয়ার জন্য। টেবিলে খাবার সাজিয়ে তিনি সকলের অপেক্ষা করছেন। এ বৃদ্ধ বয়সেও নানু রান্না করেন, শোভন আসায় তিনি রান্না করেছেন দেশি মুরগী, শোল মাছের ঝোল আর ঢেঁড়শ ভাজি। নানুর দক্ষ হাতের রান্না ভালোই রপ্ত করেছে তার পাঁচ পাঁচটা মেয়ে।তার তার নাতনিরাও তার তৃতীয় প্রজন্মের উত্তরসূরী হিসেবে খারাপ করছে না। নানুর শতবর্ষ বেঁচে থাকা মা গত কয়েক বছর আগে মারা গেছেন, তিনিও রাঁধতে পারতেন বেশ। তার ধারাবাহিকতা নানু, ওদের মা-খালারা আর নাবিলারাও পেয়েছে। সকালে নাবিলার তৈরী খিচুরী খেয়েছে এখন খাবে নানু আর ছোট খালার রান্না করা খাবার….. সবাই টেবিলে গিয়ে রাতের খাবার শেষ করলো।

৫.
ডাইনিং রুমের সাথেই ছোট একটি রুম, মাঝে মাঝে ছোটখালা থাকেন। মাঝখানে পার্টিশন দিয়ে আলাদা করা পাশের রুমে থাকেন নানু। নাবিলাদের ঘর বানানোর আগে বাবা মা সহ এ রুমেই থাকতো ওরা। এ রুমেই একেবারে ছোট বেলার বছরগুলো কাটিয়েছে নাবিলা। রাতের খাবার সেড়ে ঐ রুমে বসলো আবার গল্পের আসর। ছোট খালা শোভন আর নাবিলা ছাড়ায়ও নানু কিছু সময়ের জন্য যোগ দিলেন এখানে। ছোট খালার খুব আদরের ওরা দুইজন। খালাকে শোভন কিছুদিন আগে একটা বোরকা কিনে দিয়েছে তাই সে আরো খুশি।
গল্পের ফাঁকে শোভন ক্লান্ত শরীরটা এলিয়ে দিয়ে শুয়ে শুয়ে গল্পে শরীক হলো। মাথাটা রাখলো নাবিলার উরুতে।সারাদিনের ক্লান্তি মাথায় এসে ভর করলো, মাথাটা খুব ব্যথা করছে, নাবিলাকে বলতেই নাবিলা নাবিলা কোলে একটা বালিশ রেখে তাতে শোভনের মাথাটা রাখতে বললো। নাবিলা সুন্দর করে শোভনের কপাল মেসেজ করে দিচ্ছে, শোভনের লম্বা চুলে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে। শোভন যে পোষাকে বাহির গিয়েছিলো সেভাবেই এখনো শুয়ে আছে, একটু পরে উঠে অন্য জায়গায় ঘুমাবে বলে। সারাদিনের ক্লান্তি আর নাবিলার নরম হাতে বুলিয়া দেয়া অনুভবে শোভন কখন ঘুমিয়ে গেছে সে জানেনা।
শোভন কে বেশ কয়েকবার ডাক দিয়েও তার ঘুম ভাঙ্গলো না। সে না উঠায় খালা শোভনকে ঐখানেই ঘুমানোর ব্যবস্থা করে নাবিলাকে ঘুমাতে যেতে বলে তিনি অন্য রুমে চলে গেলেন ঘুমাতে।নাবিলা কয়েকবার ডাকলো শোভনকে কিন্তু শোভনের কোন সাড়া নেই। নাবিলা দ্বিধায় পড়ে গেলো ….. উঠে যাবে নাকি এভাবেই ঘুম পড়িয়ে রাখবে শোভনকে? একবার মাথার নিচে বালিশটা দিয়ে এভাবেই ঘুম পড়িয়ে চলে যাওয়ার ইচ্ছা করে আবার শোভনের চেহারার দিকে তাকিয়ে চুপচাপ বসে থেকে মাথায় হাত বুলিয়ে যায়। আবার উদ্যোগ নিয়ে আবার বসে থাকে। এভাবে বেশ কযেকবার যেতে চাইলেও আর যাওয়া হয়না নাবিলার। ইচ্ছা করেনা শোভনকে এভাবে রেখে যেতে, তাইতো শোভনের মাথাটা কোলে নিয়েই বসে আছে।
প্রথমে নাবিলার কোলে বালিশ থাকলেও পরে সে কোল বালিশ সড়িয়ে দিয়েছে। আরো একান্তভাবে কোলে তুলে নিলো প্রিয় মানুষের মাথাটি। পলকহীন ভাবে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো শোভনের ঘুমন্ত চেহারায়। সে মুখয়াববে সে কোন দুচিন্তার রেখা ফুটে উঠতে দেখেনি, আছে নির্লিপ্ততা, নিশ্চিত ভালবাসার এক দীর্ঘ প্রতিচ্ছবি। শোভনের চেহারার দিকে তাকিয়ে নাবিলা হারিয়ে গেলো ছোট বেলার সব স্মৃতিগুলের মাঝে। একসাথে বেড়ে উঠা এ মানুষটির সাথে কতকিছুই মিশে আছে। স্মৃতির পাতা উল্টাতে উল্টাতে নাবিলা পার করে দিচ্ছে বিনিদ্র রজনী। যে বিনিদ্রতায় কোন ক্লান্তি নেই , নেই কোন অভিযোগ…… আছে শুধুই ভালবাসা। তার কোলে মাথা রেখে প্রিয় মানুষটি নিশ্চিন্ত ঘুমিয়ে আছে এর চেয়ে ভাললাগা আর তার কি হতে পারে? শোভনও প্রিয় মানুষের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পার করে চললো পুরো রাত।
শোভনের মাথা কোলে নিয়ে ভালবাসার রাজ্যে হারিয়ে গেলো নাবিলা, হাতড়ে বেড়াতে লাগলো অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যতকে। ভাবনার রাজ্য থেকে একটা সময় সেও নিজেকে এলিয়ে দিলো ঘুমের রাজ্যে।

৬.
শোভনের ঘুম ভাঙ্গলো খুব ভোরে। চারিদিকে তখনো ভোরের আলো ফুটেনি। ঘুম ভেঙ্গে এক স্বর্গীয় সুখ অনুভব করলো শোভনের সমগ্র সত্ত্বায়। তাকিয়ে রইলো নাবিলা নির্লিপ্ত চেহারার দিকে। ভাঙ্গাতে চাইলো না তার ঘুমটি কিন্তু তবুও নাবিলা জেগে উঠলো, মুচকি একটি হাসি দিয়ে উজ্জ্বল করলো ধরনী, শোভনের মনে ঘরে করে নিলো আরো বেশী জায়গা। শোভন তার ডান হাতটি বাড়িয়ে দিয়ে আলতো ছোঁয়ায় স্পর্শ করলো নাবিলার গালে। আবেগের শিহরণে চোখ বুজে ফেললো নাবিলা। শোভনের হাত তার লম্বা চুলের মাঝে ঘুরে আবার তার গালে এসে স্থির হলো।
শোভন এই সুখাবেগ হারাতে চাইলো না এতো তারাতারি তাই আবারো তার মাথাটা এলিয়ে দিলো প্রিয় নাবিলার কোলে, আর নাবিলাও তার একহাতে শোভনের মাথা জড়িয়ে ধরে অন্য হাতে প্রিয় মানুষের চুলে বিলি কেটে যেতে থাকলে ……… স্বর্গীয় এক আবেক খেলা করছিলো তাদের মাঝে।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
৪টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পুরনো ধর্মের সমালোচনা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেই নতুন ধর্মের জন্ম

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৭:১৫

ইসলামের নবী মুহাম্মদকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে প্রবেশনে পাঠানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×