বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্র প্রমাণকারী গ্র“প প্রথম আলোর দিকে আঙ্গুল তুলে বাংলাদেশের এক কলাম লেখক বলেছিলেন ''ফ্যসিস্ট আসছে উদারনীতির রূপ ধরে''। এই ফ্যাসিস্ট গ্রুপের বিভিন্ন কার্যক্রম আমরা ইতোমধ্যে প্রত্য করেছি বিভিন্নভাবে।
ওয়ান ইলেভেনের পট তৈরীতে সুশীল নামধারীদের সঙ্গে স্টার-আলো গ্রুপের দৌড়াত্ন্য আমরা দেখেছি। দেশের স্বার্থ নয় বিশেষ গোষ্ঠী ও নিজেদের প্রয়োজনে তারা অনেক ইস্যুর জন্ম দিয়েছেন। মিডিয়া মোগল এই গ্রুপের এতই পাওয়ার যে তারা যে কোনো সময় যে কাউকে নায়ক খলনায়ক বানাতে পারেন। তাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সম্পাদক-প্রকাশক দেশে-বিদেশে দেশের প্রতিনিধিত্বকারী বাঘাবাঘা লোকদের বোকা ভেবে দেখাতে পারেন তাদের কথার পাওয়ার। আনিসুল হক রচিত প্রথম আলোর বন্দনামূলক হাস্যকর নাটকও দেখাতে পারেন...। প্রতিনিধি সম্মেলনে তৃণমূল প্রতিনিধিগণ কর্তৃক '' আমাদের কেন দালাল বলে লোকজন...''এই কথার পাশ কাটিয়ে যেতে পারেন প্রকাশক-সম্পাদক। বলতে পারেন-''আমাদের প্রতিদ্বন্দি আমরাই...''। তারা এতই দায়িত্বশীল যে যে কোনো সময় বিভিন্ন প্রতিযোগিতার সঙ্গে আয়োজন করতে পারেন আচার প্রতিযোগিতা!
এতসবের পাশাপাশি তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বললেও ইদানিং তারা দুর্নীতিবাজদেরই প নিয়েছেন। এজন্য একজন মহামান্য সাংসদকেও তারা তাদের মিডিয়ার পাওয়ার দেখিয়ে যাচ্ছেন! চট্রগ্রামের সাংসদ এলাকায় পুরনো আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে পরিচিত সাংসদ এমএ লতিফকে তারা জামাতি-বিএনপির লোক বানিয়েছেন! তার দোষ ছিল চট্রগ্রাম বন্দরের দুর্নীতিবাজ আমলা ও দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসারের দুর্নীতির চিত্র সংসদীয় কমিটির কাছে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তোলে ধরেছিলেন। বন্দর নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) চট্রগাম জেটি এলাকায় গত ৫ এপ্রিল সাংসদ এমএ লতিফ কথা বলার সময় একজন সিনিয়র অফিসারকে পাশ কাটিয়ে জুনিয়র প্রকৌশলী ক্যাপ্টেন জোবায়ের আহমদ তার সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। তখন সাংসদ তাকে কথা বলতে বারণ করেছিলেন। এই বিষয়কে পুজি করে প্রথম আলো পরদিন সাংসদ লতিফকে নিয়ে '' আই অ্যাম এ মেম্বার অবদ্যা পার্লামেন্ট'' নামে একটি হাস্যকর নিউজ করে। পরদিন আবারও রিপোর্ট করে ''সাংসদ লতিফকে নিয়ে বিব্রত সরকার''। সেটিও ছিল বন্দরঅলাদের খুশি করার! তাদের রিপোর্টে তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ না থাকলেও দুর্নীতিবাজ আমলাদের নিয়ে এমপির প্রতি সরকারকে ক্ষেপিয়ে তোলতে হাস্যকর ওই রিপোর্ট করে বসে। অথচ এই ঘটনার জন্য জেটির উর্ধ্বতন কর্তৃপ সাংসদের কাছে পরে মা চাইলেও ওই রিপোর্ট বেমালুম চেপে যায় প্রথম আলো। তারপরও চালবাজির মাধ্যমে সরকারের মুখোমুখি দাড় করায় এমপিকে।
চট্রগ্রামে কর্মরত সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে যতুটুক জেনেছি বন্দরের ওইসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে রয়েছে প্রথম আলোর স্থানীয় সাংবাদিকদের সখ্যতা। পাওয়ারফুল মিডিয়া হিসেবে চট্রগ্রামের সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা ওই পত্রিকাকে বিশেষ চোখে দেখেন এবং নিয়মিত কাগুজে নোট দিয়ে থাকেন। আর এজন্যই দুর্নীতিবাজদের নুন খাওয়ায় তাদের গুণ গাইতে হচ্ছে প্রথম আলোকে।