সম্প্রতী সাংবাদিক মোহাম্মাদ অসীম খুলনা হাদীস পার্ক নিয়ে একটি নিউজ করেন, যেখানে বলা হয় স্কুল কলেজ ফাকি দিয়ে ছেলে মেয়েরা সেখানে ঘুরতে যায়, ইভটিজিংকে বিনোদোন হিসেবে নেয় এবং তারা সেখানে মাদক কারবারি করে।
আমার নিজের চোখে দেখা উনি এই ভিডিওশুট করেছেন শনিবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ) । আর বর্তমানে শনিবারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বন্ধের দিন কারা স্কুল ফাকি দিয়ে গেল তা বুঝে আসে নি কারও।
ভিডিওতে এমন অনেকেই আছেন যাদের স্কুল কলেজ জীবন শেষ হয়েছে বহু আগেই। তাদের ফুটেজ অনুমতি ব্যতীত ব্যবহার করেছে সাথে তাদেরকে মাদকের সাথে ও জুরে দিয়েছেন। হাদীস পার্ক এমন একটি স্থান যেখানে মানুষ পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসেন। কিন্তু এই পাতি সাংবাদিক নিজের নাম বাড়ানোর জন্য খবরের নামে মিথ্যা জিনিস হলুদ মিশিয়ে মিডিয়ায় দিয়েছেন। টিভি চ্যানেলে প্রচার হবে কিনা তার নিশ্চয়তা না থাকায় সে অগ্রীম ফেইসবুক গ্রুপে ভিডিওটি ছাড়া শুরু করেন। এমন কি ভিডিওর উপরে তার ফেইসবুক প্রোফাইলও মেনশন করে দিতে বলেন, যাতে মানুষ জানতে পারেন খুলনায় একজন সাংবাদিক আছেন। এখন পর্যন্ত তার ভাল কোনো সংবাদ নেই যার মাধ্যমে তাকে প্রকৃত সাংবাদিক বলা যায়।
হলুদ সাংবাদিক অসীমের মতে হাদীস পার্কের মত একটি জায়গায় মাদক কারবারি হয়। তিনি কি এটা প্রমাণ করতে পারবেন? নিজের ইচ্ছা মত যে কারও ফুটেজ নিয়ে উনি স্কুল ফাকি ও মাদকের তকমা লাগিয়ে দিয়েছেন।
ভিডিওতে থাকা একজন থানায় বিষয়টি জানালে তার ফুটেজ কেটে দিতে ও ফেইসবুক থেকে ভিডিওটি ডিলিট করতে সাংবাদিক অসীম বাধ্য হন। কিন্তু তার পক্ষ থেকে হুমকি থেমে ছিল না। তার ক্ষমতা আছে, সে চাইলেই যা ইচ্ছা করতে পারেন, কথা বললে আপনার উপর হুমকি আসবে।
নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে জানান দিতে যে মানুষের ব্যক্তিগত ফুটেজ ব্যবহার করেন এবং এমন হীনতম মিথ্যা প্রচার করেন, এমন সাংবাদিকের লাইসেন্স বাতিল করা উচিত।
খুলনার হাদীস পার্ক একটি সামাজিক পার্ক, তিনি এই পার্ককে দেশের মানুষের কাছে অশালীনভাবে উপস্থাপন করেছেন। যা খুলনার মানুষের জন্য লজ্জা জনক। তিনি শুধুমাত্র হাদীস পার্কের ফুটেজ ব্যবহার করলেও খুলনার সকল পার্কের নাম উল্লেখ করেছেন। তিনি হাদীস পার্কের শুধুমাত্র খারাপ ফুটেজগুল বেছে ব্যবহার করেছেন। হলুদ সাংবাদিক মোহাম্মাদ অসীম নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতে হাদীস পার্ককে নিয়ে মিথ্যা রচনা করেছেন। ওনার উদ্দেশ্যই ছিল দেশের মানুষকে বিশেষ কিছু শুনিয়ে নিজেকে সামনে আনা। কিন্তু এই নিউজের সাথে বাস্তবতার ৯০% এরও বেশি মিল নেই।
খুলনা হাদীস পার্কে ঘুরতে আসুন, এটি একটি সামাজিক জায়গা। এখানে আপনি পরিবার নিয়ে আসতে পারেন। এখানে মানুষ নিয়মিত পরিবার নিয়ে আসেন। কোনো ছ্যাবলা সাংবাদিক তার ইচ্ছামত কিছু বললেই হাদীস পার্ক পরিবর্তন হয়ে যাবে না। বরং এমন সাংবাদিককে জুতা পিটা করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪২