somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

হিমুরাজ রিয়াজ
একজন আগন্তুক এবং সাথে এক এক্সিডেন্টাল ইন্জিনিয়ার। ধার করা নয়, উপলব্ধিজাত অপছন্দের সত্য প্রকাশ করছি। ৭০০কোটি বুভুক্ষুর মাঝে একজন উদাস পথিক। দিনরাত সহস্র অকাজে ব্যস্ত। অনেকের কাছে উন্মাদ। ভালোবাসতে ভালেবাসি..

সঞ্চারী (১ম অংশ)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রচন্ড গরম পড়ছে...... উফ...! এর উপর
আবার ভার্সিটি কোচিং শুরু হইসে ।
কি জ্বালা !
ও আচ্ছা , পরিচয়টা দিয়ে নিই । আমার
নাম "নীরব" । নীরবেই জীবনের সকল
দুঃখগুলো পুষে রেখেছি বলেই
কিনা কে জানে ।
কি করি বা কিসে পড়ি অথবা শিক্ষাগত
যোগ্যতা বলতে কলেজে পড়ি ।
চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কলেজ এ
পড়ি ।
মুহসিন কলেজ... Commerce এ ।
পরীক্ষা শেষ হল কিছুদিন
আগে....এখনি পড়ায় মন বসানো আমার মত
ছাত্রের কাজ না । একটু
উদাসী উদাসী লাগে ।
কি জানি এটাকেই হয়ত Ages fault
বলা হয় । মুরুব্বীরা বাংলায়
যেটা বলেন "বয়সের দোষ "......আমার
সাথে এই বিশেষন (!) যথার্ত
ভালোভাবেই যাচ্ছে দেখছি ....
.
যাই হোক , উদাস উদাস ভাবটা আবার
সব
জায়গায় প্রকাশ করি না । স্থান , কাল ,
পাত্র ভেদে তা করা হয়.....
যেমন ধরুন - ফেসবুকে , কোচিং এ ,
কোচিং এর সামনে রাস্তায়
দাড়িয়ে থাকা আপুদের (!) মাঝে ,
বিকাল
বেলা বাসার ছাঁদে বসে .... ইত্যাদি ....
.
এমন উদাসী মনেও
যে কখধো কখনো রঙীন
বাতাসের
ঝাপটা লাগতোনা তা নয়......লাগতো....
লাল রঙ , নীল রঙ...!
আশ্চর্য ! সাতটি রঙের এক অপূর্ব
মিশ্রনে সাদা রঙের ঝাপটাও
যে কখনো আমার শরীর হিমশীতল স্পর্শ
বুলিয়ে যাবে তা ভাবিনি......আমাদের
কলেজের-ই বিজ্ঞান বিভাগের এক
মেয়ে......
ধরুন তার নাম দিলাম "সঞ্চারী ".......
নামের মতই সে আমার এই
সাদামাটা জীবনে এসেছিল এক আবেগ
নিয়ে - খুব ই অস্থায়ী সময়ের জন্য......
অস্থায়ী সময়টা অস্থায়ী বলেছি কারন
এটা পৃথিবীর সময় হতে নেয়া .....আমার
কাছে সেই অল্প সময়টাকেই অনেক কিছু
মনে হয়েছে....মনে হয়েছে জীবনের
একটি অংশ .... আইনস্টাইন বোনহয় একেই
"টাইম ডায়ালেশন " বলেছিলেন !
সময়টা গিয়েছিল ৪দিন , আমার
মনে হয়েছে ৪মাস !
.
কিন্তু মুল যেই বিষয়টি তা হইল ,
তাকে বুঝিবার আগেই সে সঞ্চারীণীর
ন্যায় চলিয়া গেল ....
.
গল্পের এই পর্যায়ে এসে পাঠকগণের
কাছে আমার 'মহাগুরুচন্ডালি দোষ '(!)
এর
জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি । সাধু ও
চলিত রীতির মিশ্রন যদি হয়
'গুরুচন্ডালী দোষ ' ....তবে আমিতো সাধু ,
চলিত , আঞ্চলিক , কথ্য সবকিছু
মিলাইয়া একাকার করিয়া দিলাম.....
একে তো সাধারণ 'গুরুচন্ডালী' দোষ
বলা যায় না । একে তাই
আমি 'মহাগুরুচন্ডালী দোষ '
বলে মাথা পেতে নিচ্ছি । অবশ্য এ
নিয়েও যদি পাঠক সমাজে কোন
আপত্তি থাকে তবে একে 'মহাগুরুচন্ডালী
-
পাপ ' বলার দায়িত্ব পাঠক সমাজেই
অর্পণ করিলাম.....
যাই হোক ..... এমনি এক গরমের
দিনে কোচিংয়ে গেলাম একটা ভাব
নিয়ে .....আমার
সঞ্চারী কে দেখিলাম......হৃদয়ের
গভীরে নিজেই এক সঞ্চারণ অনুভব
করিলাম.....
.
কে জানে হার্টের রিখটার স্কেল
থাকিলে হয়ত বুঝা যাইত আমার
হৃদযন্ত্রে তখন জাপান ধ্বংস
করিয়া দেওয়ার মত সেইরুপ
১০/১২স্কেলের হৃদকম্পন হইতেছিল.....
.
যাই হোক , বাসায় এসে ফেসবুকের নীল
জগতে তেমন একটা কষ্ট না করেই
সঞ্চারী কে পেয়ে গেলাম । বন্ধুত্বের
আবেদন পাঠানোর দেরী , বন্ধু
হতে দেরী হলো না.....
মনে মনে চিন্তা করলাম -
বিধাতা বোধহয় আজ এই অভাগার
দিকে মুক ফিরে চাইলো.,.....নীরবের
নীরব থাকার দিন ফুরালো......
.
দীর্ঘ একটা দিন (!) পর
তাহাকে অনলাইনে পেলুম.....
.
প্রথমটা শুরু হল নতুন কোন ফেসবুক
ফ্রেন্ড
এর সাথে আমি যেমনটা দিয়ে শুরু করি ,
ঠিক তা দিয়েই.....
চ্যাটিংয়ের শুরুতে-
অমি : হাই....
অপর পাশ হতে : হাই...
কিছুক্ষন পর
অপর পাশ হতে : তুই করে বলব
নাকি তুমি করে ??
ভোরের আকাশ দেখেই
নাকি পুরো দিনটা কেমন
যাবে তা বুঝে নিতে হয়.....
একটু কষ্ট করে হলেও বন্ধুত্ব শুরুর প্রথম
চিরকুট টা থেকে কোন মেসেজ পাওয়ার
অপ্রয়োজনীয় দরকার(!) ছিল......
আমি পেয়েও নিইনি.....
.
.
.
.
চলবে........,
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৩২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×