এবারের হরতালে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ পুলিশ লীগের নামডাক ছড়ানোর পেছনে যে মহান ব্যক্তির অনবদ্য অবদান - তিনি হলেন পুলিশের পেট্রোল ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ হোসেন ওরফে নরপশু!
এই নরপশু মতিঝিল জোনের পেট্রোল ইন্সপেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর থানার মিয়াপাড়ায়

বৃহস্পতিবার হরতালের দিন পায়ের নিচে ফেলে হরতালকারী ইউসুফ আলীকে নির্যাতনের পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন তিনি। এ নিয়ে পুলিশ বিভাগেও চলছে তোলপাড়। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থার মাধ্যমে পুলিশি নির্যাতনের ওই ছবি বিশ্বের ৮২টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। পুলিশি বর্বরতার এ ছবি নিয়ে বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্তত ২ জন কেবিনেট মন্ত্রী এ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। এ বিষয়ে আইজিপি’র কাছেও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। তবে বরাবরের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন নীরব ভূমিকা পালন করছেন। গতকাল সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের কাছে জানতে চান, ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রশ্নের কোন উত্তর দেননি। মতিঝিল জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন তার বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তবে সাবেক আইজিপি এসএম শাহজাহান বলেন, ছবিতে যা দেখা যাচ্ছে তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আইনে বলা আছে পুলিশ সব সময়ই সর্বনিম্ন শক্তি প্রয়োগ করবে। কেউ পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে মারলে পুলিশ আবার ইট ছুড়ে মারতে পারে না। এমনটা হতে পারতো তিনি যদি অপরাধীকে ধাওয়া করতে গিয়ে তার ওপর পড়ে যেতেন। কিন্তু এখানে তো সেটা হয়নি। তিনি বলেন, ঘটনার পেছনে কি ছিল তা বুঝতে পারছি না। তবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা যদি মনে করে থাকেন তিনি এ ঘটনা ঘটিয়ে পুরস্কৃত হবেন তবে সেটা একটা বিরাট ভুল। অতীতে যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কতটুকু পুরস্কৃত হয়েছে তা আমরা দেখেছি। আর গোটা পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন করে কারও ব্যক্তিগত পুরস্কার লাভের চেষ্টা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সামগ্রিকভাবে এ ঘটনা সরকারের ভাবমূর্তির সঙ্কট বয়ে আনবে ।
এন টিভিতে প্রচারিত পূর্ণ ভিডিও দেখুন......
এ সংক্রান্ত একটি লেখার লিংক:
তাঁকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত !!!!!!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




