somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হোটেল গার্ল...............পর্ব :- ১

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আমাদের দূর্বার আকর্ষণ সবসময়ই একটু বেশি থাকে।যে জিনিসটা আমাদের করতে মানা করা হয় আমরা ঐটাই বেশি করে করি।আর ঐ নিষিদ্ধ জিনিসটা যদি হয় নারী তাহলে তো কথাই নেই।ছেলে-বুড়ো সবাই ঐ নিষিদ্ধ জিনিসটার দূর্বার আকর্ষণে আকর্ষিত হতে বাধ্য।আমিও তো মানুষ।তার উপর এখনও বিয়ে করিনি।তাই আর দশটা ছেলের মত আমারও ঐ নিষিদ্ধ জিনিসটার প্রতি আকর্ষণ থাকা স্বাভাবিক।কিন্তু আমি যদি বলি না আমার আকর্ষণ নেই তাহলে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা যে আমার মধ্যে সমস্যা আছে।কারণ একটা অপ্রকিতস্থ ব্যক্তির ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য যে তার মধ্যে কোন আদিম আকর্ষণ থাকবেনা।যাই হোক আসল কথায় আসি...।আমি নিজের কোন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য নিয়ে যায়গাটিতে গমন করিনি।আমার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল নিষিদ্ধ পল্লীর আধুনিক ভার্সন মানে ঢাকা শহরে ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠা হোটেল গুলার ভিতরে যে বিনোদন স্পট গুলা আছে ঐগুলা প্রদর্শন করা আর ঐ হোটেল গুলায় যে মায়াবী পরীরা অতিথিদের জন্য অপেক্ষমান থাকে তাদের দর্শন লাভ করে তাদের সাথে কথা বলা।কেন তারা এই পথে এলো এটা জানা।যদিও এটা করতে হলে তাদের খুশি করতে হবে এটাও জানা ছিল আমার।আর তাদের খুশি করতে গেলে পকেট থেকে কিছু বের করতে হবে এটা ভালই জানা।ভুল বুঝার কিছুই নেই পকেট থেকে টাকা বের করার কথা বললাম আমি।যাই হোক অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিল বিধায় বুকে পাহারসম সাহস যোগার করে সময় করে ১দিন চলে গেলাম ঢাকার নামকরা ১ টা অভিজাত এলাকায়।জায়গাটার নাম বলতে চাই না।যাই হোক অনেক কিছুর পরে ১ টা ছোট রুমে ঢুকলাম।যদিও বাইরে রোদে পুড়ে যাওয়ার মত অবস্থা কিন্তু ভিতরের অবস্থা পুরাই উল্টা।দেখে মনে হচ্ছিলো গভীর রাত নেমেছে।মায়াবী আলয় চোখে রঙ্গিন দেখছি। চোখের মায়া কাটিয়ে সামনে তাকিয়ে দেখি সামনে ১ টা খাটের উপর হাসি মাখা মুখে ১ জন রমণী বসে আছে।আমার দিকে হাসি মাখা মুখেই তাকিয়ে সে আমাকে প্রস্ন করলো আপনি কতক্ষণের জন্য আসছেন?? আমি বললাম বেশিক্ষণ না,মাত্র ৩০ মিনিট।। সে বলল ঠিক আছে,এখন কি খুলবো ??......যদিও জানতাম সে কি খোলার কথা বলছে কিন্তু তার পরেও আমি একটু অবাক হওয়ার ভান করে জিজ্ঞেস করলাম কি খুলবেন? সে বলল এইখানে আসছেন আর ভাব মারেন যে কি খুলব বুঝেন না ?...আমি বললাম আমি আসলে ঐসব কিছু করতে আসি নাই। সে অবাক হয়ে বলল তাইলে আসছেন কেন ?? আমি বললাম আমার খুব ইচ্ছা ছিল তোমরা যারা এইসব কাজ কর তাদের সাথে একটু কথা বলা আর তাদের জীবন সম্পর্কে জানা। সে আমকে প্রস্ন করলো এইটা কইরা আপনের লাভ কি ? আমি বললাম আমার কোনই লাভ নাই জাস্ট ইচ্ছা ছিল তাই আসলাম। সে বলল কি জানতে চান বলেন,যদি পারি তো বলব। আমি বললাম ধন্যবাদ। তারপরে সে আমাকে আবার প্রস্ন করলো সত্যি সত্যিই আপনে কিছু করবেন না ? আমি হাসতে হাসতে বললাম নারে ভাই কিছু করুম না। এর পরে আমি ব্যাগ থেকে খাতা বের করলাম। সে অবাক হয়ে প্রস্ন করলো ঐটা আবার কি?? আমি বললাম খাতা।। তোমার সাথে যত কথা বলব তার সব কিছুই লিখে রাখব এই খাতায়।এটা শুনে সে আমাকে প্রস্ন করলো আপনি কি সাংবাদিক ????? আমি বললাম আরে না,ধুর। সে আমাকে বলল তাহলে আপনে এসব করবেন কেন ? আমি বললাম কেন ঐ যে বললাম না যে আমি তোমাদের সম্পর্কে জানতে এসেছি।তাই সব লিখে রাখব। আরো অনেক কথাই হল তার সাথে। অনেক বুঝানোর পরে সে রাজি হল আমার সাথে তার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে...। [মাত্র শুরু করলাম আস্তে আস্তে তার জীবনের সব কথাই তুলে ধরবো সবার সামনে...।আর এটা ১ টা পর্বের মাধ্যমে তুলে ধরা সম্ভব না । কয়েকটা পর্ব লাগবে। আর প্রথম পর্ব হিসেবে আজ নাহয় শুধু ভূমিকাতেই সীমাবদ্ধ থাকুক......]......:):):):)
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×