এই হারে A+ পাওয়ার পজিটিভ দিক হল,কিছু বাচ্চার আত্মবিশ্বাস লাফিয়ে বেড়ে যাবে কয়েক গুন । এবং ভয়ানক নেগেটিভ দিক হল, অনেক বাচ্চার কাছে ভুল বার্তা পৌছাবে এতে করে । তারা ভাববে পড়ালেখা না করেও(তুলনামূলক) A+ পাওয়া যায় । এই মিথ্যে আত্মবিশ্বাস তাদেরকে আছড়ে মাটিতে ফেলবে ঠিক দুবছরের মাথায় ।
অন্যদিকে, যারা আসলেই নাওয়া খাওয়া ছেড়ে পড়াশুনা করেছে তারা হিনমন্যতা ও অসহায়ত্বে ভুগবে । তারা যদি দাবি করে বসে, তাদের সাথে প্রতারনা করা হয়েছে তাহলে অন্যায় হবে না । একটা ক্লাসে রোল ১-৭৯ এর মধ্যে ৬০ জন যদি সেইম গ্রেড A+ পায়, তাহলে বুঝতে হবে সবাই ব্রিলয়ান্ট অথবা সিস্টেমে ঘাপলা আছে । তবে তাদের আফসোস করার কিছু নেই কারন পরীক্ষা তো সবে শুরু, অনেক পথ সামনে আছে নিজেকে প্রমান করার।
আর যারা A+ পায়নি তারা মন খারাপ করার কিচ্ছু নেই কারন বাস্তব জীবনে, গ্রেডের কোন মুল্য নেই । সেখানে শিখিয়ে দেয়া উত্তর মুখস্ত করে কোন কিছুই সমাধান করা যায় না । সেখানেই প্রমাণ হবে আসল মেধাবী কে । যদিও আমরা এমন এক সভ্যতায় বসবাস করছি যেখানে GPA দিয়ে ভাল-মন্দ মাপা হয় তবুও চারিত্রিক মৌলিক সৌন্দর্য গুলো কাগুজে সার্টিফিকেটের তুলনায় তুচ্ছ মাছির ডানার মত ।
আর আজকে সেইসব পিতামাতা ও ছাত্রদের জন্য গ্লানিতে তলিয়ে যাওয়ার একটা দিন যারা নিজেদের ছেলেমেয়েদের জন্য ফাস হওয়া প্রশ্ন সংগ্রহ করেছিলেন এবং ছেলেমেয়েরা সেটা দেখে ভাল রেজাল্ট করেছে । যদিও মানুষের সাথে তারা আজ হাসিমুখে কথা বলছে কিন্তু সেইসব পিতামাতা ও সন্তানেরা আজ মুখোমুখি হলেও হাসিমুখে একে অপরের দিকে তাকাবে না, আনন্দে সন্তানকে জড়িয়ে ধরবে না , লজ্জায় চোখ নিচু করে রাখবে । আজ সবার চেয়ে অসুখী ও লজ্জিত তারা ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



