জীবনের শেষ প্রান্তে যেয়ে দৌড় শেষ করার আগেই একটু থামি, একটু পিছনে ফিরে যাই চলেন । শুরু করি স্কুল থেকে, মনে পড়ে ? ক্লাসের রেজাল্ট,পরীক্ষার হলে বন্ধুর ডাক শুনেও না শোনা, এই কম্পিটিশান সেই কম্পিটিশান, সেইসব স্বার্থপূরণের জন্য কিছু বন্ধু বা ক্লাসমেটের সাথে সম্পর্ক নষ্ট, আজ কি সব অহেতুক অকারন মনে হচ্ছে না ? মনে কি হচ্ছে না, শুধু শুধু ওই প্রথম দ্বিতীয়ের জন্য লড়াই করতে গিয়ে সম্পর্ক নষ্ট না করলেই হত ।
আর একটু সামনে যাই চলেন, আপনার এখনকার কর্মক্ষেত্র, ক্যারিয়ার, প্রফেশনালিজম, প্রতিযোগিতা, উপরে উঠার চিন্তা, এইসব মাথায় আসছে তাই না?
এবার একটু পেছনে তাকাই আবার, সেই যে স্কুলের প্রতিযোগিতাকে অহেতুক মনে হয়েছিল, জীবনের শেষপ্রান্তে গিয়ে এসব প্রতিযগিতাকেও অহেতুকই মনে হবে, শুধু বেঁচে থাকবে মানুষের সাথে তিলে তিলে গড়ে ওঠা আপনার সম্পর্ক, বন্ধুত্ব । আমি বলছি না যে প্রতিযোগিতা অহেতুক, বলছি এই প্রতিযোগিতা যেন সম্পর্ক নষ্ট না করে । কোন প্রতিযোগিতায় জিততেই হবে এই মানুষিকতার কারনে আপনি যদি পরিচিত মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করেন তবে আপনি জিতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত পরাজিত । কত উপরে উঠবেন ? একটা নির্দিষ্ট উচ্চতার পর শুধুই মহাশূন্য । সেখানে নিঃসঙ্গতা,একাকিত্ব আর নীরবতা ছাড়া কিছু নেই । তাই সেইখানেই থাকুন যেখান থেকে হাঁক ছেড়ে ডাক দিলে বন্ধু ছুটে আসবেঃ আমি আছি তোর পাশে বলে !

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



