পীর সাহেবের দরবারে অন্যান্য বার গেলে উনি নিজেই আগাইয়া আসেন, কিন্তু এইবার উনি কোন কারনে নারাজ হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে । মিনিস্টার সাহেব এসেছেন প্রায় ২০ মিনিট হয়, অথচ বাবার কোন খবর নাই । মিনিস্টার অবশ্য মাইন্ড করেন নাই, গরম পীর বলে কথা । বাবার দোয়াতেই বিনা ভোটে এইবার এমপি হয়েছেন। দোয়া এতই গরম ছিল যে শুধু এমপি না, মন্ত্রীও হয়েছেন ।
যাক শেষ পর্যন্ত বাবা এসেছেন । মোরাকাবায় ছিলেন সম্ভবত ।
মিনিস্টার সাহেব দাড়িয়ে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করলেন ।
-বসেন মন্ত্রী সাহেব । বাবা চেহারার দিকে না তাকিয়েই বললেন ।
-হুজুর কি আমার উপরে নাখোশ কোন কারনে? এই যে তুমি তুমি করে বলতেছেন । দরকার হইলে দুইডা বারি দেন আমার মাথায় আপনার সুন্নতী লাঠি দিয়া, তবুও রাগ কইরেন না ।
ফোস করে নি:শ্বাস ছেড়ে বাবা জিজ্ঞাসা করলেন: তোর বয়স কত?
-ইয়ে মানে আপনার কাছাকাছিই হইবে বাবা ।
-এত বয়স হইয়াছে, এখনো বিবাহ কর নাই কেন? বিবাহ অস্থিরতা কমায়। এই বয়সে স্থিরতা প্রয়োজন। রেইল মিনিস্টার হইলা কিন্তু রেইল গাড়ির জীবন থেইকা কিছুই শিখবার পারলা না । যত দেরীই করুক সে ঠিক স্টেশনেই পৌছায় ।
-আপনে এজাজত দিলে বাবা করতে পারি । কিন্তু পাবলিকের তো মুখের লাগাম নাই, কি না কি বলে বসে !
মিনিস্টারের সেক্রেটারী এর মাঝে লাফিয়ে উঠল: সার, কি যে বলেন! পাবলিকের মাথায় ১ নম্বর পচা সাবানের ফেনা ছাড়া কিচ্ছু নাই । আপনে খালি কইবেন, আমি শেষ নবীর উম্মত, নবীজী(সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি বিবাহ করে না সে আমার দলে নাই । তাই তার দল্ভুক্ত হইবার জন্য বিবাহ করিলাম এই বয়সে ।
পীর সাহেব প্রসন্ন দৃষ্টিতে পি এস এর দিকে তাকালেন । এইটার মাথায় আল্লাহ পাক হিটলারী বুদ্ধি দিছে ।
কার মন্ত্রী হইবার কথা আর কে মন্ত্রী হয়? দেশের যে কি হইবে একমাত্র আল্লাহ পাকই জানেন ।
অতপর নিউজ চ্যানেলগুলি একখানা লাইভ রম্য টেলিকাস্ট করিতে লাগিল । কেহ কেহ জিজ্ঞাসা করিতেছিল: আপনার অনুভূতি কি?!
সামনে মাইক পাইয়া মহাশয় ভুলিয়া গেলেন, ইহা নির্বাচনী জনসভা নয়, বিবাহ সভা ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



