অনেক মহিলাই হাই হিলড জুতা পরেন। আজ হাই হিলড জুতার সুবিধা অসুবিধা নিয়ে লিখব।
প্রথমেই আসি অসুবিধায়। বেশিরভাগ অসুবিধাই স্বাস্থ্যগত। যেমন :
১) পায়ের পাতা এবং টেনডনে ব্যাথা হতে পারে।
২) স্প্রেইন এবং ফ্রাকচারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
৩) কাভস বা পায়ের গুলিকে শক্ত এবং পেশিবহুল মনে হয়।
৪) হ্যামার টোস, বুনিয়নস এর মত পায়ের অঙ্গবিকৃতি ঘটাতে পারে।
৫) আনস্টেডি বা অস্থির চলন দেখা যায়।
৬) পদক্ষেপের দৈর্ঘ্য (এক পদক্ষেপে যতদূর আগানো যায়) কমে যায়।
৭) যিনি পরেন তিনি ধীরে ধীরে দৌঁড়ানোর ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
৮) লোয়ার ব্যাক বা পিঠের নিচের দিকে ব্যাথা হয়।
৯) পায়ের ঘুর্ণন এবং চলার সময় হাঁটুর উপর দেয়া চাপের পরিবর্তনের কারণে নি জয়েন্টে সমস্যার সৃষ্টি হয় এবং জয়েন্ট ডিজিস হতে পারে।
১০) জুতার হিলড চিকন আর মেটাল টিপড হলে নরম ফ্লোরের ক্ষতি হবে। (এটা স্বাস্থ্যগত নয়, আর্থিক ক্ষতি)
হাই হিলড জুতার সুবিধাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই নান্দনিক। যেমন :
১) লোয়ার লেগ আর পায়ের পাতার মধ্যবর্তী কোণের পরিবর্তন করে যার ফলে কাভস জোড়ালো আর আকর্ষণীয় বলে মনে হয়।
২) এই জুতা পরে বেশি সোজা হয়ে হাঁটতে হয় বলে এটা হাঁটার চলন বদলে দেয়। যে নতুন ধরণের হাঁটার ভঙ্গিমা তৈরি হয় তা একটি সিডাকটিভ ফ্যাশন বলে সমাদৃত।
৩) যে পরেন তাকে আগের চেয়ে লম্বা মনে হয়।
৪) পা আগের চেয়ে লম্বা মনে হয়।
৫) পায়ের আংগুল আগের চেয়ে খাট মনে হয়।
৬) পায়ের পাতার আর্চ বা খিলান উঁচু এবং আকর্ষণীয় দেখা যায়।
৭) একটি গবেষণা থেকে দেখা গেছে হাই হিলড জুতা পরার ফলে পেলভিক ফ্লোরের মাসল টোন ইমপ্রুভ করে। এর ফলে ফিমেল ইনকনটিনেন্স কমে। যাই হোক, গবেষণাটি বিতর্কিত।
হাই হিলড জুতা পরার সুবিধা-অসুবিধা