ধর্ম নিয়ে এই ২০০৭ সালে আর তর্কতর্কির কিছু নেই বলেই মনে হয়। শত শত বছর ধরে তর্কাতর্কিতে একটা নিষ্পত্তি তো হয়েছেই।
এক দল মনে করছেন, ও বিষয়টার আর দরকার নেই।
আর একটা বড় দল মনে করছেন খুব দরকার। খুব অস্তিত্বশীল একটা বিষয় ধর্ম। এই দলটি আবার বহুধাবিভক্ত। তারা প্রত্যেকেই মনে করছেন, আমারটিই একমাত্র মুক্তির পথ।
লাষ্ট্র বিষয়ে এমন সোজাসুজি দুটো ভাগ করাটা কঠিন। রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে কেউ কেউ অপ্রোয়জনীয় মনে করলেও, তাদের পায়ের নিচের জমিনটা বিরাট শক্ত কিছু না। মানে একজন নাস্তিক যেমন বলে, আমি নাস্তিক। একজন রাষ্ট্রবিরোধী সেটা বলাটা খুব সহজ কাজ বলে মনে করে না।
আসলে রাষ্ট্রহীন সমাজের ধারনাটাই খুব অস্পষ্ট এবং অনুচ্চারিত। মার্কসবাদের একটি পর্যায়ে রাষ্ট্রহীন একটি সমাজের কথা বলা হয়। সমাজবাদ (কমিউনিজম, সমাজতন্ত্র নয়। সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্র, শ্রেনী সব আছে।) বলে উল্লেখিত সেই ব্যবস্থাকে জোর কল্পিত' বলে অনেক মার্কসবাদীও বলেছেন। তার মানেক কী? রাষ্ট্রহীনতা ভাবারই সাহস নেই আর?
সে যাক। আমরা বরং ধর্ম আর রাষ্ট্রের মজার একটা মিল খুজে বের করি।
এই দুটি প্রতিষ্ঠানই দাবি করে তাদের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য সমাজে শৃঙ্খলা আনা। বিশৃঙ্খল সমাজকে ঢেলে একটা শান্ত-শিষ্ট সমাজে পরিনত করাটাই তাদের কাজ।
অথচ ট্রাজেডিটা দেখুন। পৃথিবীতে শৃঙ্খলা আনায় সবচেয়ে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান দুটি এই রাষ্ট্র আর ধর্ম।
এখানেই থামতে পারলে বেশ হতো। কিন্তু আরও মজা আছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানই পৃথিবীকে করেছে সবচেয়ে বেশি অশান্তিপূর্ন ও বিশৃঙ্খল।
অশান্তি সৃষ্ঠিতে রাষ্টের অবদান তো আলোচনার অপেক্ষা রাখে না। সেই নগর রাষ্ট্র থেকে শুরু করে কী আভ্যন্তরীন আর কী আর্ন্তজাতিক, ইভয় ক্ষেত্রে অণ্যের দমনই রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। নাগরিক দমন, বিদেশী দমন, শত্রু রাষ্ট্র দমন ... আরও কত কী! এই প্রতিষ্ঠানের মূল সমস্যা তার গঠনেই। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই বাকিদের দমন করতে হয় রাষ্ট্রকে।
ধর্মের সঙ্গে এখানেই সবচেয়ে বেশি মিল রাষ্ট্রের। ধর্মেরও সমস্যা ওই। আর কেউ তার চেয়ে ভালো বা সমান হলে আর তার অস্তিত্তই থাকে না। তাই কেউ স্বীকার করতে রাজী নয়, আমার চেয়ে ভালো বা আমার সমান কেউ আছে।
এই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানে সেই শুরু থেকেই যত অশান্তি আর বিশৃঙ্খলা।
শুধূ ধর্মের নামে এই পৃথিবীতে যত লোক নিধন করা হয়েছে সকল প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক দুর্যোগ মিলেও এত মানুষ মারতে পারেনি। ক্রুসেড থেকে অশোকের ধর্ম বিস্তার, ক্যাথলিক-প্রটেস্টান্ট দাঙ্গা থেকে ইহুদি নিধন, শিয়া-সুন্নী-কুর্দি লড়াই, ৪৭ দাঙ্গা, হিন্দু-শিখ খতম অভিযান.... আরও কত কী।
বড়ই ব্যর্থ!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





