somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্ম ও রাষ্ট্র: দুই ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান

০৯ ই অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধর্ম নিয়ে এই ২০০৭ সালে আর তর্কতর্কির কিছু নেই বলেই মনে হয়। শত শত বছর ধরে তর্কাতর্কিতে একটা নিষ্পত্তি তো হয়েছেই।
এক দল মনে করছেন, ও বিষয়টার আর দরকার নেই।
আর একটা বড় দল মনে করছেন খুব দরকার। খুব অস্তিত্বশীল একটা বিষয় ধর্ম। এই দলটি আবার বহুধাবিভক্ত। তারা প্রত্যেকেই মনে করছেন, আমারটিই একমাত্র মুক্তির পথ।

লাষ্ট্র বিষয়ে এমন সোজাসুজি দুটো ভাগ করাটা কঠিন। রাষ্ট্রের অস্তিত্বকে কেউ কেউ অপ্রোয়জনীয় মনে করলেও, তাদের পায়ের নিচের জমিনটা বিরাট শক্ত কিছু না। মানে একজন নাস্তিক যেমন বলে, আমি নাস্তিক। একজন রাষ্ট্রবিরোধী সেটা বলাটা খুব সহজ কাজ বলে মনে করে না।
আসলে রাষ্ট্রহীন সমাজের ধারনাটাই খুব অস্পষ্ট এবং অনুচ্চারিত। মার্কসবাদের একটি পর্যায়ে রাষ্ট্রহীন একটি সমাজের কথা বলা হয়। সমাজবাদ (কমিউনিজম, সমাজতন্ত্র নয়। সমাজতন্ত্রে রাষ্ট্র, শ্রেনী সব আছে।) বলে উল্লেখিত সেই ব্যবস্থাকে ‌জোর কল্পিত' বলে অনেক মার্কসবাদীও বলেছেন। তার মানেক কী? রাষ্ট্রহীনতা ভাবারই সাহস নেই আর?

সে যাক। আমরা বরং ধর্ম আর রাষ্ট্রের মজার একটা মিল খুজে বের করি।

এই দুটি প্রতিষ্ঠানই দাবি করে তাদের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য সমাজে শৃঙ্খলা আনা। বিশৃঙ্খল সমাজকে ঢেলে একটা শান্ত-শিষ্ট সমাজে পরিনত করাটাই তাদের কাজ।
অথচ ট্রাজেডিটা দেখুন। পৃথিবীতে শৃঙ্খলা আনায় সবচেয়ে ব্যর্থ প্রতিষ্ঠান দুটি এই রাষ্ট্র আর ধর্ম।

এখানেই থামতে পারলে বেশ হতো। কিন্তু আরও মজা আছে। এই দুটি প্রতিষ্ঠানই পৃথিবীকে করেছে সবচেয়ে বেশি অশান্তিপূর্ন ও বিশৃঙ্খল।
অশান্তি সৃষ্ঠিতে রাষ্টের অবদান তো আলোচনার অপেক্ষা রাখে না। সেই নগর রাষ্ট্র থেকে শুরু করে কী আভ্যন্তরীন আর কী আর্ন্তজাতিক, ইভয় ক্ষেত্রে অণ্যের দমনই রাষ্ট্রের প্রধান কাজ। নাগরিক দমন, বিদেশী দমন, শত্রু রাষ্ট্র দমন ... আরও কত কী! এই প্রতিষ্ঠানের মূল সমস্যা তার গঠনেই। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই বাকিদের দমন করতে হয় রাষ্ট্রকে।

ধর্মের সঙ্গে এখানেই সবচেয়ে বেশি মিল রাষ্ট্রের। ধর্মেরও সমস্যা ওই। আর কেউ তার চেয়ে ভালো বা সমান হলে আর তার অস্তিত্তই থাকে না। তাই কেউ স্বীকার করতে রাজী নয়, আমার চেয়ে ভালো বা আমার সমান কেউ আছে।
এই শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানে সেই শুরু থেকেই যত অশান্তি আর বিশৃঙ্খলা।

শুধূ ধর্মের নামে এই পৃথিবীতে যত লোক নিধন করা হয়েছে সকল প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক দুর্যোগ মিলেও এত মানুষ মারতে পারেনি। ক্রুসেড থেকে অশোকের ধর্ম বিস্তার, ক্যাথলিক-প্রটেস্টান্ট দাঙ্গা থেকে ইহুদি নিধন, শিয়া-সুন্নী-কুর্দি লড়াই, ৪৭ দাঙ্গা, হিন্দু-শিখ খতম অভিযান.... আরও কত কী।

বড়ই ব্যর্থ!!!
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×