নদী, তুমি আমাদের মতন নওতো কথার কারিগর
অথচ প্রতিনিয়ত ঐ স্রোতের শব্দে সাড়া দেয় ঈশ্বর!
আমি শুধু তাকিয়ে দেখি তোমার ঐ খেলার শরীর
মুগ্ধ হয়ে দেখি জাম-কাঁঠালের সারিতে তোমার খেলা-
বেত-চালতার, নিসিন্দার গন্ধে তোমার খেলার উচ্ছ্বাস!
এ শুধুই কি খেলা, নাকি আমার প্রতি তোমার অবহেলা!
যত সবুজ হই আমি বিশ্বাসে, তত সতেজ হও তুমি প্রত্যয়ে,
আমায় দিয়েছ মহানিশি, তোমার হয়েছে অসীম এক দীর্ঘশ্বাস-
আর তাই তোমার এ ছুটে চলার শেষ নেই, নেই সীমানা!
তোমার এ অস্ত্বিত্বের জৌলুস ফুরাবে না তাই কোনদিন।
তোমার অনেক আছে বলে তুমি দাও না কাউকে এতটুকু দায়-
তোমার মহাদানের কাছে বিশ্বজগৎটাকে করেছ কত অসহায়!
আমিও তোমার মতো বয়ে যেতে চেয়েছি, হাওয়ায় উপর দিয়ে-
শাপলা-শালুক-পদ্ম-গোখরা বুকের পাঁজরে নিয়ে একটি সন্ধ্যায়।
তোমার আদিম খেলায় আমি ছুঁতে চেয়েছি একটি পূর্ণতম মানব জনম।
আমি যদি তুমি হতাম তবে এভাবে হতাম কি কখনো কারারুদ্ধ,
তোমার চরণে ঢেলে দিতাম কি এ ব্যর্থতার কঠোর অশ্রুপাত?
থাকতো কি জীবনের কোন বন্ধন-স্পন্দন-জিজ্ঞাসা কিংবা অশুদ্ধতা?