এই ভর সন্ধ্যায় তার কথা
আমি কার কাছে বলি?
সে ছিল আমার প্রাণের স্পন্দন।
সে আমার জীবনের ভোর হয়ে
এসেছিল কোন এক গম্ভীর রাতে।
কিন্তু তার সাথে দেখা হবার পর
আমার কোন কিছুই আর
আগের মত রইলো না।
কি ভীষণ মায়া তার রূপের আগুনে!
কি অদ্ভুত তার লাবণ্যময় চাহনি!
কি সুবাসিত তার হাসিমাখা ঠোঁট!
আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম।
যেন পাগল হওয়ার জন্যই ছিল
আমার জন্ম জন্মান্তরের অপেক্ষা।
তার দিকে তাকালে আমার বুকটা
একেবারে ফাঁকা হয়ে যেতো।
আমি নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে যেতাম।
নিঃশ্বাস আমার বন্ধ হয়ে যেতো।
তাকে যে আমি ভালবেসেছিলাম
এক মুহূর্ত কোন কিছু না ভেবেই।
আমি আমার প্রাণ সঁপে দিয়েছিলাম
তার হেঁটে যাওয়া পথের বাঁকে বাঁকে।
তার প্রেমে আমি একদম ডুবে গেলাম।
হৃদয় সাগরে এলো তীব্র অন্তহীন তুফান।
আমি স্তব্ধতায় বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
তার পেছনে ছুটতে ছুটতে আমি
ক্লান্ত হয়ে যেতাম, কিন্তু কখনোই
তার নাগাল পেতাম না আমি।
তবুও তার হাসির শব্দ হৃদয়ে মেখে
আমি ছুটেছি পাগলা ষাড়ের মতো।
তার চুলের স্পর্শ আমি সর্বক্ষণ
অনুভব করেছি আমার দু'হাতের
দশ আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে।
তার চিবুক থেকে বেরিয়ে আসা
আলোয় আমি হয়েছিলাম অন্ধ।
তারপর থেকে আমি ঘৃণা করি
তাকে ছাড়া অন্য কিছু দেখা।
আমি এক জীবনে সব দেখেছি
ঐ মায়াবী চোখের তারায় তারায়।
আর কিছু দেখবার ইচ্ছা আমার নাই।
প্রিয় মুখটাতো আঁকা আছে আমার
ভেঙ্গে যাওয়া মনের মণিকোঠায়!
না না না তার নাগাল আমি পাই নি
কেউ বুঝি তার নাগাল পাবে না কখনো!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪