
আমার দিকে এ রকম তাকিও না তুমি,
মৃত্যুর মতো গোপন ইঙ্গিতে।
যদি তুমি চলে যাও অনন্তে,
তখন পৃথিবীর সব নারীকেই ভয় পাব আমি;
যদি তুমি নিরুৎসাহে তাকাও আমার দিকে,
আমি পুড়ে মরবো আগুনে, পৃথিবীও পুড়ে যাবে
তখন মনে পড়বে, আমি ছিলাম তোমার গানের সুর।
তুমি পাখির মত নির্ভয়ে তাকাও আমার দিকে,
যেন তোমার নিঃশ্বাসে আমার শরীরের গন্ধ আছে।
কিন্তু ওই শরীর আজ শুধু আমার সাথে তর্ক করে,
তর্ক করো না পাথরের মতো কঠোর হয়ে,
আমার দেহে জ্বলছে আটটি জাহান্নামের তীব্র আগুন।
এবং ঐ আগুনে আমাকে ছুঁতেই পারেনি,
কারণ পাথর থেকে তুমি হয়ে গেছো আমার প্রিয় নদী,
তুমি নীরবে এই দেহ নৌকার নিচ দিয়ে বয়ে যাও প্রেমে।
অথচ তোমার চোখ যেন ব্ল্যাকহোলের মত গভীর,
চোখের নিমিষে চোখ হয়ে যায় ঘন কালো অন্ধকার
আমি হারিয়ে যাই তোমার মাঝে অন্ধকারে।
একদিন আমি অধিকার করেছিলাম তোমার হৃদয়,
যখন তুমি ছিলে বিশাল সাগরের একাকিনী দ্বীপ।
তুমি ছিলে আমার গর্ব, আমার জীবনের প্রদীপ,
তবুও ভয় আর লজ্জা গ্রাস করেছে—আমি দুর্বল।
চেয়ে দেখো পাখিদের মাঝে নেই বিচ্ছেদের যন্ত্রণা,
তারা বদলায় সঙ্গী, নতুন আকাশে উড়ে যায়।
চাঁদ-সূর্য-গ্রহ-তারা আর রাত সাক্ষী,
তুমি এখন আর ডানা মেলা পাখি নেই
হয়ে গেছো বিশাল এক সামরিক জাহাজ
কেন তুমি এই সুন্দর দেহকে জাহাজ বানিয়েছ!
যদি সে পড়ে থাকে নিঃসঙ্গ তীরে, অবহেলিত?
আবার হঠাৎ করে তুমি বাগান হয়ে গেছ আজ,
ইচ্ছেমত বদলেছ নিজেকে পরম যত্নে
তোমার বাগানে শত শত গোলাপ ফোটে,
কিন্তু তুমি সবকিছু তালা দিয়ে আটকে রাখো;
তুমি কেন অহংকারে সব তালা ভেঙে ফেলো না?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


