বর্তমান যুগের প্রতিটি কণায় কণায় লেগে আছে উন্নতির ছোঁয়া । তার উপর আমাদের দেশ আবার উন্নয়নশীল ।
ব্যাপার টা শুনতে ভালো লাগলেও মাঝে মধ্যে বড়ই হাঁসি পায় ।
আসলে দেশ কতটা উন্নত হচ্ছে তা কি এর দ্বারা বোঝা যায় না যে দেশ তার নিজেদের মানুষদেরকে কতটা মূল্যায়ন করছে?
সেটাই তো হওয়া উচিত তাই না ?
এদিক দিয়ে আমি মনে করি আমাদের দেশ নিচের দিক থেকেই কোনো একটা অবস্থানে,উপরের দিকে নাই গেলাম ।
পড়াশোনা মানবজীবনের জন্য এখন সবচেয়ে জরুরি । কিন্তু সাথে সাথে প্র্যাকটিকাল টাও তো দরকার তাই না?
আবার এখন পড়াশোনা টা সম্পূর্ণ হয়ে গেছে বই ভিত্তিক ।আর এজন্য এতটাই লেবার দিতে হয় যে সে প্র্যাকটিকাল লাইফে কোনো কিছুই করতে পারে নাহ । আবার যে প্র্যাকটিকাল লাইফে কোনো একটা কিছুতে তার প্রতিভা আছে,আছে অঢেল জ্ঞান,সে তো সুযোগ পাচ্ছে না ।
কারণ একটাই মাত্র । সে তো এই প্রতিভা আহরণের জন্য সবার মত অতটা লেবার দিতে পারে নি ।
এজন্যই আজকের দিনে প্রতিভাধর অগাধ জ্ঞানে পরিপূর্ণ সেটা এক দিক দিয়েই হোক আর কয়েকটা দিক দিয়েই হোক । মানুষ গুলো তো পড়ে আছে! বেকার! না তারা কোনো চাকরি পায় নি । তারা কর্মহীন ।
একটাই কারণ - তাদের কাছে তো আর গাদা গাদা সারটিফিকেট এর স্তূপ নেই।
একেকজন মানুষ একেক টা প্রতিভা নিয়ে জন্মায়।সবার সব প্রতিভা থাকে না,যাদের একসাথে অনেক গুলু থাকে তাদের টা হিসেবের বাইরে ।তো এইযে প্রতিভাধর ব্যাক্তি রা । তাদের মধ্যে কতজন শতকরা নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পায়? প্রতিভা কি তাদের চার দেয়ালের ভেতরেই সিমাবদ্ধ ? এদের মধ্যে কেও কেও আবার দেয়াল কোনোরকমে টপকে যায় ।আর বাকিরা? তাদের কথা কেও তো ভাবে না ।
এবার আসি হায়ার লেভেলে । ভারসিটি,ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ,আর মেডিক্যাল । কয়জন মানুষ মনের মত সাব্জেক্ট টা পায়?
সাবজেক্ট টা আসে রেজাল্ট এর মাধ্যমে। তাই তো ? যে বেশি নাম্বার পায় তার কপাল খুলিলো আর যে পেলো কম তার লাইফ গেলো ।
একটা ঘটনা দিয়ে শেষ করি ।
চিত্রঃ১
দুজন ছাত্র । একজন পড়াশোনায় খুবই ভালো সব সাব্জেক্টে । আরেকজন ততটা ভালো না হলেও মোটামুটি /
প্রথম জন পড়াশোনা ছাড়া কিছুই বুঝতো না।সারাদিন বইতে ডুবে থাকা । আর বইয়ের জ্ঞান এ ভর্তি হয়া মস্তিস্ক। কিন্তু অন্যজন? একদমই আলাদা। পড়াশোনার পাশাপাশি সে ছিলো প্রানবন্ত ।কম্পিউটার ছিলো তার জান প্রাণ । কম্পিওটার এতটাই আয়ত্ত করে ফেলেছিলো যে সে পি এইচ ডি করা কারোর মতো ।
আর প্রথমজন কোনোরকমে কম্পিওটার টা অন করা গান মুভি দেখা আর অফ করাটাই শিখেছিলো ।
চিত্রঃ২
এবার আসলো এইচ এস সি এর পরের কথা ।
১ম জন পেলো গোল্ডেন । আর ২য় জন কোনোরকমে A+ । উভয়েই বাংলাদেশের বিখ্যাত কোনো ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা দেয়ার চান্স টা পেলো ।
১ম জনের ইচ্ছা ইঞ্জিনিয়ার হওয়া ।টাকা কামানো ।
আর ২য় জন-নিজের প্যাশন ।রক্তে যে বইছে যে স্রোত । যেটা ছাড়া বেঁচে থাকতে পারবে না । তার সে প্রিয় সাব্জেক্ট সি.এস.ই নিয়ে পড়ার ইচ্ছা নিয়ে পরীক্ষার আসনে বসে ।
পরীক্ষার রেজাল্ট : ১ম জন পেয়েছে সি.এস.ই , আর ২য় জন??
নাহ সে পায়নি তার প্রাণ প্রিয় সাব্জেক্ট ।
অনেক চেস্টা করলো নিজের সরবোচ্চ টা দিয়ে ,পায়নি । কারন হলো তার লিখিত রেজাল্ট ।
পাঠকদের নিকট প্রস্ন রাখছি , আপনাদের বিবেক থেকে বলুন তো ,এই সিস্টেম টা কি ঠিক?এইরকম একটা রেজাল্ট কি কখনো মানুষের প্রতিভা প্রকাশ করতে পারে? কিভাবে?
এভাইবেই কি আমরা বঞ্চিত হবো ? প্রতিভা দেখানোর সুযোগ কি আমাদের কেও দেবে না????
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১