অনেকদিন হয়ে গেলো।কাজলের সাথে ঠিক করে কথা বলা হয়ে ওঠে না শুভ্রর।
ফোন টা এখন আর দেয়া হয়ে ওঠে না।আর শুভ্রর ফোনেও কাজলের নম্বর টা আর যেন ভেসে উঠতেই চায় না।
আর ফেসবুক তো বন্ধ করেই দিয়েছিলো শুভ্র।কিন্তু বেশিদিন নিজেকে ধরে রাখতে পারে নি।আফিমখোর দের কি আর আফিম ছাড়া চলে?
ঘটনার শুরু সেদিনকার শেষ বিকেলটা।মোটামুটি প্রস্তুত হয়েই খোলা মাঠে চলে যায় শুভ্র,কাজলকে ফোন দেয়ার জন্য।
ওপাশ থেকে ১ম বার রিং বাজার পরই ঘাট করে ফোন টা রিসিভ হয়।
-হ্যালো।
-হ্যা কেমন আছো?
-ভালো,তুমি?
-হ্যা আছি,যেমন থাকার কথা।আচ্ছা শোনো যা বলার জন্য ফোন দিয়েছি।
-হ্যা বলো।
শুভ্র বলতে শুরু করে।শুরু থেকেই।
শেষ বিকেলের কমলা আলোয় নিজের ছায়া দেখতে দেখতেই কাজলকে গুছিয়ে প্রতিটা কথা বলতে থাকে।
টানা ২৫ মিনিট একতরফা কথা বলার পর,প্রশ্ন করে?
-আমি কি একটা সুযোগ পেতে পারি না আবারো ঘুরে দাঁড়াবার?আমি কি সাহায্য পেতে পারি না?
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কাজলের হ্যা বোধক সম্মতি পেয়ে।
-ধন্যবাদ,এইটুকুই চেয়েছিলাম।
কোনোরকমে ফোন টা কেটে গাছের নিচেই চুপ করে বসে পড়ে শুভ্র।ভেতরের ক্ষত থেকে রক্ত ঝড়ছে।
সে চায়না দূরে সরাতে,চায়না কষ্ট দিতে,চায়না কাঁদাতে।
আসলে শুভ্র কি চায় তা সে নিজেই বুঝতে পারে না।
এসব দু চার কথা চিন্তা করতে করতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে।অলস পায়ে বাড়ি ফেরে শুভ্র।
এরপর থেকেই শুভ্র যেন কেমন হয়ে যায়।কাজলের সাথে ঠিক ঠাক কথা বলে না।কেমন যেন খেপা সিংহ হয়ে যায়।
বেশি কিছু মনে রাখতে পারে না।
রুক্ষ আচরণ টা এরপর সবার সাথে চলতে থাকে।বুঝতে পারলেও তাকে রুখার সাধ্য তারও যেন শেকলে আবদ্ধ।
আর কাজলের চোখের জল অবিরাম ধারায় পড়তেই থাকে।অভিমান চলতেই থাকে।ভুলবোঝাবুঝিটাও নিত্যনৈতিক।
আর শুভ্রর মানসিক সমস্যা বাড়তেই থাকে।
নিজের কাছেই তার প্রশ্ন
আচ্ছা আমি কি আমিতে আছি?
আমি কি আর স্বাভাবিক হতে পারবো না?
হয় আমি নিজে নিজেকে পরিবর্তন করছি,
আর নাহলে আমি এমন টা হতে বাধ্য হচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৮