somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

অসমাপ্ত গল্পের লেখক
দেহ-মন-কল্পনা আর বাস্তব জ্ঞান এসবের সমাহারে আমার অস্তিত্ব। জীবন থেকে শিখছি আর লিখছি।আমি বিশ্বাস করি জীবন আসমাপ্ত,আর আমি সেই অসমাপ্ত জীবনের যে অসমাপ্ত গল্প-তারই লেখক।

ভালোবাসার দ্বিতীয় মাত্রা

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গল্পের চরিত্রটির নাম অরণ্য।মাধ্যমিক পাশ করার পাঠ সবেমাত্র চুকেছে।মাথায় ভূত চেপেছিলো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে।এবং হলো ও।

নতুন ভার্সিটি। নতুন পরিবেশ।সব মিলিয়ে নতুন এক অনুভূতি । কিন্তু অরণ্যের আছে ভয়ানক কাজল কালো নিকষ অন্ধকারের অজানা গল্প।
এক প্রকার রিলেশনে জড়িয়ে গিয়েছিলো এই ক্লাস ১০ নাগাদ। যদিও সে তখন বয়েসে ছোটো,বুদ্ধিমত্তার দিক দিয়ে বড় হবার ব্যাপারে কারো কোনো বাঁধা ছিলো না বিধায় এক প্রকার অকাল পক্ক্ব হয়ে গিয়েছিলো বটে।

সে কথা আর অরণ্য মনে করতে চায় না।কস্ট হয়,তাও,লুকিয়ে রাখে । এবার অবশ্য কথার জেদ থেকে,ঠান্ডা মাথায় ভাবে,সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।কথার হেরফের করে না,তাই বলে এতো বড়ো সিদ্ধান্ত??? শুধুমাত্র কথার নড়চড় না হবার জন্য??

"যাকগে সে সব কথা" বলে অরণ্য মুখের সামনে থেকে মাছি তাড়ানোর বাহানায় হাত নাড়ায়।এইসব আগের কথার পাঠ চুকে গেলেই সে বাঁচে। ক্লাসের ফাঁকে আড্ডাবাজি করা কেমন যেনো নেশায় পেয়ে বসেছে,সাথে বন্ধু যা পেয়েছে--দায়সারা ভাবে বন্ধুর অভাব কেটে যায়।কিন্তু অরণ্য কে ভালো করতে হবে,সামনে তার অনেক বড় জীবন পড়ে রয়েছে।কিন্তু যেটা অরণ্যের আসল নেশা??????????
সেটা কিভাবে ছাড়বে?
না অরণ্য ছাড়তে চায় না,আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতেও চায় না।এসব নিয়ে ভাবলেই মাথা গুলিয়ে যায় অরণ্য এর ।

ভাবতে ভাবতে চোখ খুলে দেখে চারিদিক নিস্তব্ধ,চোখে আলো পড়তেই ঝাপসা চোখে নিজেকে আবিস্কার করে নিজের রুমে।ঘড়িতে চোখ গেলেই দেখতে পায় রাত প্রায় পোঁনে দুটো।আস্তে আস্তে উঠে বসে স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস নেয় অরণ্য।হটাত চোখ যায় খাটের কিনারায় যত্ন করে ভাঁজ করা রুমাল এর দিকে।সাথেসাথে শিরদাড়া খাড়া হয়ে যায় অরণ্যের,বিকেল থেকে সন্ধ্যার বেলাটুকু পুরোটাই চোখের সামনে ভেসে উঠে,তেমনিভাবে আরেকবার রিভিশন করে নেয় অরণ্য।মুচকী হেঁসে আলতো হাতে সুতি রুমালখানা তুলে নেয় অরণ্য।

সেদিন সন্ধ্যার কথাই তো!!!! শুধু শুধুই কেনো এতো নিষ্ঠুর হতে গেলো???
যাই হোক।সবকিছুরই একটা ভালো দিক আছে।নাহয় এমন একটা সন্ধ্যা কি পেতো সে?
হারিয়ে যেতে পারতো দুজনে চেনা শহরের বুকে।

সেদিন বিকেল বেলারই তো কথা! আধুনিক যুগের আর পাঁচটা ছেলের মতোই অরণ্য আপণ মনে নিজের কাজ গুছাতে গুছাতে কথা বলছিলো আপন মনেই । না , এবার নিজের সাথে নয়,নতুন পরিচয় হওয়া এক মানবীর সাথে। সাত পাঁচ না ভেবেই অনেক দূর এগিয়ে গেছে অরণ্য। দু-মাস ও হয়নি ।এরই মাঝে একজন অপরিচিতা কে মনের সমস্ত কথা বলার ব্যপারে সে দু দণ্ড দ্বিধা হয়তো করেছিলো, কিন্তু পরে ভাবে যে "আরে ধুর আমার জীবনে লুকানোর মতো আদৌ কি কিছু আছে ।" তাই হয়তো মানবী টি জীবনের অনেকাংশ জেনে ফেলে অরণ্যর আর জড়িয়ে যায় ভালোলাগার বেড়াজালে । তার পরিণতি অজানা।

যাই হোক কোনো একটা বিষয় নিয়ে হয়তো অরণ্য এর মনে কোনো খোঁচা লাগে,সে শুরু করে ভিন্ন ভাবে প্রতিশোধ নেয়ার। কথার প্রতিশোধ। তাদের রিলেশন হয় হয় এমন একটা অবস্থা যেখানে দুজনের অবস্থাই খুব বেশি সেনসেটিভ। আর এমন অবস্থায় সে বলে বসে "আমি কনফিজড তোমার ব্যাপারে"
- কি বলছো এইসব>>??
-হ্য যা বলছি সেটাই
এভাবে অনেক ক্ষণ কথা বলতে বলতে মানবীর চোখের ধারা যখন অব্যহত। তখন অরণ্য বোঝে যে অনেক বেশি হয়ে গিয়েছে।
বিনত গলায়,"দেখা করা যাবে কি???"
ওপাশ থেকে সম্মতি আসতেই কাজ রেখেই বেরিয়ে যায় অরণ্য ।৬ নম্বর বাসে চেপে ভার্সিটির সামনে নেমে যাওয়ার পর শুরু হয় আরেক পথচলা। এবার কিন্তু আর একা না। চার জোড়া পা একসাথে।

যদিও সেদিন মানবী কে মানাতে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো। কিন্তু সেই সিক্ত রুমাল খানা কিন্তু সে অতই যত্নে কাবাডে সংগ্রহ করে রেখেছে অরণ্য।

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×