এমনিতেই আমরা গরীব দেশ। ছোট দেশের ততোধিক ছোট অর্থনীতি। সামরিক দিক বাদই দিলাম। সোজা কথায় একটা ফকিন্নি দেশ আমরা। না, পাড়ার চায়ের দোকানে মাইনষে যেমনে দেশরে গাইলাইয়া, হতাশ হইয়া, এই দেশের কিছু হইবনা বইলা তৃপ্তির সহিত চায়ের কাপে চুমুক দেয়, আমি সেইটা করতাছি না। আমি বাস্তব অবস্থাটা সরাসরি বলতাছি। যত ফাপড়ই লন কেন, আমরা ফকিন্নি। দেহেননা, তিতাসের বুক চিরা কেমনে রাস্তাডা বানাইল। কেউ কিছু করছে? কেউ কিছু করতে পারব?
কেউই কিছু করে নাই, কেউই কিছু করতে পারব না। হাসিনা, খালেদারে গাইলাইয়া লাভ নাই। ওদের হাত পা বান্ধা। ওদের কিছু করার ক্ষমতা নাই। গরীব দেশের নাগরিক হিসাবে যেমন আপনার দৈনিক ১২ ঘন্টা লোডশেডিং ছাড়া কারেন্ট পাওয়ার ক্ষমতা নাই, ঠিক তেমনই গরীব দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ওগোরও ভারতরে ট্রানজিট না দিয়া ক্ষমতায় থাকার ক্ষমতা নাই। বিএনপি সামনে আসলেও কিছু করতে পারব না। নাহ, এইডা বিএনপির দোষ না, দোষ আমাগো গরীবির। কেউই কিছু করতে পারব না।
তাইলে যামু কই?
আপাতত আমি চীনের তাবেদারি ছাড়া আর কোন পথ দেখতাছি না। ভারতের তাবেদারি কইরা হোগা মারা খাওয়া ছাড়া আর কিছু হইতাছে না। আমেরিকাও ভারতের লগে কুতকুত খেলতাছে। এহন চীনই ভরসা। দরকার হইলে আমাগো সীমান্ত এলাকায় চীনের ক্ষেপনাস্ত্র ঘাটি বসাইতে দেয়া হোক। তারপরেও যদি নদীগুলি বাচে, সেইটাই অনেক।
"তোমার প্রতিবেশী রাষ্ট্র তোমার বন্ধু নয়, তোমার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতিবেশী রাষ্ট তোমার বন্ধু"
এখন হাসিনা-খালেদা দুইজনই একমত হইয়া যদি ঠিক করে যে ভারতের তাবেদারি করবে না, দুইজনেই চীনের তাবেদারি করবে, তাইলে এখনও কিছু আশা আছে। নয়তো কি করবেন? উল্টা বাধ বসাইয়া বন্যার পানি ঠেকাইবেন? রিজার্ভার বানাইয়া পানি জমাইয়া রাখবেন? বঙ্গোপসাগর থিকা পাম্প দিয়া পানি আইনা সারা দেশে ডিষ্ট্রিবিউট করবেন? সেই পাম্প চালানির জন্য পারমাণবিক বিদ্যুত নিজেরাই তৈরী করবেন?
আছে আমাগোর এত বৈজ্ঞানিক আর কারিগরী ক্ষমতা?
আমরা আপাতত ফকিন্নি। এহন তাবেদারি আর চামচামি কইরা বাঁচা ছাড়া আর কোন পথ দেখতাছিনা। নিজেদের বৈজ্ঞানিক বা কারিগরী ক্ষমতাও নাই, সামরিক শক্তিও নাই, অর্থনৈতিক ক্ষমতাও নাই। তাবেদারিই ভরসা।
ফি আমানিল্লাহ!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




