অনেকে অনেক উৎসাহের সাথে ১২-১২-১২ উৎযাপন করছে। চারিদিকে নাকি হৈ হৈ রব। ফেসবুকে কম ঢুকি তাই হই হই দেখা হয় নাই। ব্লগে বেশী ঢুকি তাই ফেসবুকে যে হৈ হৈ হচ্ছে তার খবর পেলাম ব্লগে এসে। অনেকটা "জার্মানী যুদ্ধে হারছে" শোনার চেয়ে "জার্মানী যুদ্ধে হারছে, এই খবরটা নাকি পত্রিকায় ছাপাইছে" শোনার মত। যুদ্ধ জানি না, যুদ্ধের খবরও জানি না তবে যুদ্ধের খবর বলে কিছু একটা আছে সেইটা জানি। যাই হোক ১২-১২-১২ নাকি উৎযাপন হচ্ছে এই খবরের খবর দেখার পর ভাবতে লাগলাম কিভাবে উৎযাপন করা যায়। ভাবতে যেয়ে ২ নাম্বারের চাপ এসে গেল। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলাম। সাড়া দিয়ে এসে দেখলাম আমার ১২-১২-১২ উৎযাপন হয়েছে ২ নাম্বার চাপ ত্যাগ করে। ভাবলাম ভালই তো! অনেকে এখন মুখ শিটকাবেন আর বলবেন কী অসভ্য রুচিরে বাবা! তাদের জন্য একখানা গপ্প।
এক রাজা একদিন নৌবিহারে বের হয়েছে। নৌকার মাঝিকে রাজা জিজ্ঞাসা করল,"কিসে প্রকৃত সুখ"? মাঝি বলল যে রাজা ধন, ঐশ্যর্য, ভোজনবিলাস কিছুতেই এত সুখ নাই যতনা সুখ আছে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে। রাজা তো গেলেন ক্ষেপে। মাঝিকে বহু গালাগাল করলেন। বেশ কিছুক্ষণ নৌবিহারের পর একসময় রাজা মাঝিকে বললো নৌকা ভিড়াও। মাঝি আর নৌকা ভিড়ায় না। রাজা অনেক ধমক, শাসানি দিল কিন্তু মাঝি আর নৌকা ভিড়ায় না। শেষমেষ রাজা বললেন, আমি মানছি ত্যাগেই প্রকৃত সুখ, এইবার নৌকা ভিড়াও, আর সহ্য করা যাচ্ছে না। এইবার মাঝি নৌকা ভিড়ালো। রাজা মাঝিকে এরপরে একশত স্বর্ণমুদ্রা উপহার দিল এই মহান জ্ঞান উপহার দিবার জন্য।
আমার ১২-১২-১২ তাই উৎযাপন হল এক মহান কর্ম দ্বারা। আপনি বিয়ে না করেও সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারবেন, না খেয়েও কয়েকদিন বাচতে পারবেন কিন্তু ত্যাগ না করতে পারলে আপনার হালুয়া টাইট হয়ে যাবে। তাই মহান ১২-১২-১২ এর প্রতি আমার এই ক্ষুদ্র ত্যাগ উপহার দিলাম।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




