সুশীলার গায়ের রোম খাড়া হয়ে যায়। কিভাবে পারল মীর জাফর এ কাজ করতে! এই তো সেদিনের কথা। কিভাবে ভুলা যায় সব? সারা জীবন কাছে থাকার অঙ্গীকার করে আজ কিভাবে বহূ দূরে ঠেলে দিলো!
১৫ বছরের বিশ্বস্ত দারোয়ান, যে কিনা নিজের জীবন উজাড় করে দায়িত্ব পালন করত, তাকে ও দূর দূর করে কেউ তাড়াতে পারে! এখন তার বাসাতে চার পাশে ঘিরে থাকে অ্যালসেশিয়ান কুকুরের দল। মানুষে আর ভরসা নাই জাফরের। শুধু রোবট আর কুকুর! জনগনের টাকাতে কাচের সুবিশাল ইমারত। কত শান শওকত!
কত ভালবাসা আর পারিবারিক যাচাই বাছাইয়ের পর তাদের বিয়ে। জাফর সব সময় বলত- আমি চিরকাল কাছে আছি আর কাছে থাকব। তারপর এই তো সেদিন হঠাৎ বোল পাল্টে নতুন সুর! আর কাছে নয় এবার যাবে বহূ দূর -- শুধু দুজনাতে! সুশীলা খানিক ভাবে। এতদিনের সংসার; বিদেশ বিভুইয়ে কি করবে তারা!
জাফর তাকে নিয়ে বাসা বাধল কক্সবাজার সাগর বেলাভূমিতে। ঢাকা থেকে কোলাহল থেকে বহূদূরে। তারপর দিন যায়, মাস যায়।
.......
কাচের ইমারতে আবার নতুন মুখ। সুন্দর টুকটুকে লাল শাড়ী। নতুন বৌ। সুশীলা পড়ে থাকে বহুদূর একা।
মীর জাফর! আবার কাছে থাকা। রোবট ... কুকুর! মীর জাফর আর লাল শাড়ীতে ঢাকা টুকটুকে মুখ।কাচের দালান। লাল শাড়ী জানল না কত তিল তিল করে গড়েছিল এই ঘর - এই স্বপ্ন ... সুশীলার স্বপ্ন।
এখন সুশীলা জানে- লাল শাড়ী আবর্ত। কাছে তারপর আবার দূরে। দুরে ঠেলে মীর জাফরের পালিয়ে যাওয়া !
সতর্কতা: কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন মিল থাকলে তা নিতান্ত কাকতালীয়!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





