বৃশ্চিক পদাবলী কী তা জানিনা
শুধু জানি, শুনে যাই, যেতে হবে
কার্ল মার্কসের বইপত্তর পড়িনি
শুধু জানি, নামটা ওজনদার
ব্যকরণের ব্যা

ওপাড়ার অনিকেত সব জানে
তাই সে ওপাড়ার অনিকেত
তারারা হয় দূরবর্তী, নিকটে এলে
একই জ্বরে ভুগবে অনিকেত আর কমল
হাঁচবে, কাশবে
জ্বরের ঘোরে মশার ডানার পঙ্খীরাজে
কালো আকাশ শন শন বাতাসে ছুটবে
দেবে আকাশপাড়ি

জামরুল গাছের নীচে উঠোনে... বাকিটুকু পড়ুন

ধুলা ঝাড়ার একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আছে। স্বভাবতই সেই প্রক্রিয়ার ঝাড়ছিলাম ধুলা। একসময় আবিষ্কার করলাম আমার নিজের অস্তিত্বই বিলীন হচ্ছে। বহুদিন পরিত্যাক্ত অবস্থায় আমি নিজেই সেই ধুলার অংশবিশেষ। একে ঝাড়া মানে নিজেকে ধ্বংস করা। না ঝাড়া মানে পরিত্যাক্ত পরিত্যাজ্য হওয়া।
একরাশ ধুলা কোনদিকে যাবে? বাকিটুকু পড়ুন

তবুও নদী
অদূরে পাহাড়
অদূরে আমি
নিকট তাহার

তবুও নদী
অদূরে পাহাড়
পৃথক কেবল
ভূগোল আকার

তবুও নদী
নীল সমাচার
সবুজ পাহাড়
কাহার? তাহার।

তবুও নদী
একটা বাঁধ
অদূরে পাহাড়
আর্তনাদ

তবুও নদী,
নদীর মত
সুনীল অশ্রু বয়ে যাক

অদূরে পাহাড়
তাহার পাহাড়
ভালোবাসায় ঘিরে থাক।
বাকিটুকু পড়ুন

একটা খোলস পড়ে থাকে। একটা বাতিলের খাতা। অনেক ধুলো জমে। ধুলোর পলেস্তরায় ক্ষয়গুলো ঢাকা পড়ে। অথবা পড়েনা। বাকিটুকু পড়ুন

(১)
ওখানে মেঘ হয়, ঝড় হয়, পূর্ণিমা হয়
এদিকে কিছু নেই, চাঁদ নেই
মেঘ নেই, ঝড় নেই
অমাবশ্যাও নেই
ওখানেই সব
এদিকে তাই নেই কিছু, থাকবেনা
এই স্বাভাবিক অস্বাভাবিকতা
মেনে নেওয়া-দ্বিমত করার মতও এদিকে কেউ নেই!
ওদিকে যান প্লিজ, সব আছে।

(২)
তুমুল বৃষ্টি হয়
আষাঢ়-শ্রাবণ জুড়ে প্রতিদিন ভিজে রাস্তা
কাকভেজা কাকেদের করুণ দৃশ্য
দিনদিন আরো সকরুণ হয়
বৃষ্টিবিলাসী রোদময় ফেসবুকে।

বাকিটুকু পড়ুন

শেষাংশে এসে নিংড়ে গিয়েছিলো সব কার্যকারন
সব উপমা, রূপককে নিভৃতির বেড়াজালে জড়িয়ে
ফেলে দেওয়া হয়েছে বর্জ্যের স্তুপে
যেখানে ভুলেও কেউ পা মাড়াতে চায়না
সেখানেই পড়ে আছে
একটি অব্যবহৃত বাক্য
যাকে তুলে নিতে
তোমাদের আজ এত কষ্ট বাকিটুকু পড়ুন

আমার বিষাদ ঘিরে নীল নীল জলরঙ

ওরা হতে পারতো প্রজাপতি,

আমি জানিনা

প্রজাপতির রাষ্ট্রীয় রঙ হয় গোলাপী, লাল, মেরুন

ওখানে কোন দুঃখ থাকেনা



গাঢ় সবুজ আমার প্রিয় ... বাকিটুকু পড়ুন

ইদানীং মনেহয় সবকিছুই পচে যাচ্ছে, ইনোসেন্স খুব তাড়াতাড়ি হারাচ্ছে মানুষ। কিন্তু নিজে ঠিক না হয়ে আরেকজনকেও বা বলতে যাবো কেন? নিজেকে ঠিক হতে হবে। বাকিসব যেখানে ইচ্ছা যাক, যা ইচ্ছা করুক। জাতিকেন্দ্রীক হতাশার মানে হয়না! এরচে ওয়ারফেজের হতাছা শোনা ভালো।

"ছকাল থেকে রাত্রি
ছময় কাটে না যে
জীবন আমার ছুধুই যেন কছটের হাহাকার
ছব... বাকিটুকু পড়ুন

কিছু কিছু বিষয়ে কথা বলতে খুব টায়ার্ড লাগে। মাঝে মাঝে মনেহয়, উপরের দিকে তাকানোর অপশন তো সবারই আছে, তাহলে এত নিচে তাকানো কেন? বা অন্যকেও নিচে টেনে নামানো কেন? টায়ার্ড লাগে। বাকিটুকু পড়ুন

চায়ের কাপ আজকাল মধুময় লাগে, আয়েশী লাগে, দৌড় কিংবা আলসেমী, দুটোকেই মাঝ দরিয়ায় নামিয়ে আনে গরম এক কাপ চা। বাকিটুকু পড়ুন

রাজকন্যা!
তোমার গায়ের রঙ কালো
Game Over.

রাণী! মহারাণী!
মিষ্টি কথা ধুয়ে খৈ খাও!
আমরা এরকমই! বাকিটুকু পড়ুন

ঘনঘোর বর্ষায় কি মায়ায় তাহারে
দেখেছি দুনয়নে, দূরেতে, গভীরে
যেখানে ও থাকেনা, হেসে গেছি বহুকাল
আজকে ও চিরকাল প্রাচীরের বাইরে
জেনেছি কেউ ছিল দাঁড়িয়ে... বাকিটুকু পড়ুন

আমার জীবনটা একসময় শাদা ছিল
কাশবনের মত, আর পেলব মেঘের মত শাদা
পৌষ সকালের কুয়াশার মত আর
নিবিড় তিমির ভেদ করা ধবধবে জোৎস্ন্যার মত শাদা
একদিন আমি এতটা কাতর ছিলাম না-
আমার জীবন ছিল চড়ুই এর ডানার মত চলমান
তাতে ছিলনা জেগে উঠা চরের মত চোখ, আর এত জলের আধার
আমি বলেছি, আমার জীবনটা একসময় শাদা ছিল
কিন্তু... বাকিটুকু পড়ুন

আমার ব্যাগভর্তি সকালের রোদ

যার কথা ছিল চোখে লেগে থাকার

আমি ধার দিয়েছি সময়, ব্যস্ত রাস্তাকে

আমি বেমালুম ভুলে গেছি, সময় ফিরে আসবেনা

আমার কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে এখন শুধু সকালের রোদ

যার কথা ছিল চোখে লেগে থাকার

আমার শুষ্ক চোখে কেবল শুণ্যতা ... বাকিটুকু পড়ুন

জনস্রোতে তুড়ি বাজানো গর্বিত মানুষ,
হাত বাড়ানো গুণীজনের তৈলাক্ত হাত,
আগাছা উপরে ফেলা সমাজের বিশিষ্টজন,
"সত্যবাদীর" কঠোর সত্যবাণী-নির্মম আঘাত,
সবজান্তা মহাজ্ঞানীর চটুল তামাশা, তীর্যক তিরষ্কার

এ যেন রূপকথা রাজ্য, মধুর এ জীবন, মধুরতম বিষাদ

ফাগুন ভালো থাকুক, বৈশাখ আগুন ছড়াক
বর্ষা ভিজিয়ে দিক, হেমন্ত ছুঁয়ে যাক
অস্ফুট স্বরে কেঁপে কেঁপে নীর্লিপ্ত কন্ঠ
প্রবোধ আওড়াতে থাকুক ব্যস্ত
"আমার কিছুই আসা... বাকিটুকু পড়ুন