নৌ পরিবহন মন্ত্রী দায়িত্ব পেয়েই বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে নতুন তত্ত্ব দিয়েছেন।
শনিবার খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে '২০০৯-২০১০ জাতীয় বাজেটে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি' বিষয়ক মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন,"সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হলে তা মিয়ানমার সীমান্তের খুব কাছাকাছি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বন্দরটির নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এ বিবেচনায় আকরাম পয়েন্টে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ অধিক যুক্তিযুক্ত। এছাড়া মাওয়ায় পদ্মা সেতু তৈরি হলে মংলা বন্দরের গুরুত্ব আরও বাড়বে।"
আমরা দিন বদলের নতুন নতুন তত্ত্ব পাচ্ছি।
আঞ্চলিকতা কিভাবে জাতীয় স্বার্থকে গ্রাস করে ফেলে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মাননীয় মন্ত্রী।
পাঠকদের বিবেচনার জন্য বিডি নিউজের প্রতিবেদনটি নিচে তুলে দিলাম।
'সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর হলে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে'
খুলনা, সেপ্টেম্বর ০৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) - কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপের চেয়ে মংলার অদূরে আকরাম পয়েন্টে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ বেশি যুক্তিসঙ্গত হবে বলে মনে করেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। (আরও তথ্যসহ)
তিনি বলেন, "সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করা হলে তা মিয়ানমার সীমান্তের খুব কাছাকাছি হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে বন্দরটির নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হবে। এ বিবেচনায় আকরাম পয়েন্টে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ অধিক যুক্তিযুক্ত। এছাড়া মাওয়ায় পদ্মা সেতু তৈরি হলে মংলা বন্দরের গুরুত্ব আরও বাড়বে।"
শনিবার খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে '২০০৯-২০১০ জাতীয় বাজেটে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নে প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি' বিষয়ক মুক্ত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাজাহান খান এ কথা বলেন।
সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র স্থাপনে ইতোমধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এ সংক্রান্ত জাপানের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্যাসিফিক কনসালটেন্টস ইন্টারন্যাশনালের জমা দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে ১৫ জুলাই আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আলোচনা হয়।
ওই বৈঠক শেষে তৎকালীন নৌ-পরিবহমন্ত্রী আফসারুল আমীন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ২০১০ সালে সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের কাজ শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে ২০১৫ সালের মধ্যে। এর জন্য ব্যয় হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা। ২০১৬-২০১৭ সাল নাগাদ ওই বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু করা যাবে। দ্বিতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শেষ করতে ব্যয় হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। সময় লাগবে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত।
তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও সিঙ্গাপুর বন্দরের মধ্যে দূরত্ব ১২০০ নটিক্যাল মাইল। গভীর সমুদ্র বন্দর হলে মাদার ভেসেলগুলো যদি সোনাদিয়ায় চলে আসে তাহলে সেখান অল্প সময়ে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে যেতে পারবে। সোনাদিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান ও চীনের কুমনিং এ বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
জুলাইতে প্যাসিফিক কনসালটেন্টস ইন্টারন্যাশনালের প্রকল্প সমন্বয়ক কে এম আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ২০২০ সালে মধ্যে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্র বন্দরে প্রতিবছর সাড়ে সাত কোটি টন পণ্য ওঠানো নামানো যাবে। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে বছরে ১০ লাখ টন পণ্য ওঠানামা হয়।
৩১ জুলাই মন্ত্রীসভায় রদবদলের পর নতুন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী হন শাজাহান খান।
শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মুক্ত আলোচনায় শাজাহান খান জানান, পশুর নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে ড্রেজার কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, "মংলা বন্দর হবে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বন্দর। এ বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।"
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, "সুন্দরবনকে ঘিরে পার্ক ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। সুন্দরবনের উপর দিয়ে ক্যাবল কারের ব্যবস্থা রাখা হবে। যাতে পর্যটকরা ক্যাবল কারে বসে নিরাপদে জীবজন্তু দেখতে পারেন।
এ ব্যাপারে একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার কথা হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তবে তিনি প্রতিষ্ঠানটির নাম বলেননি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




