somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একজন প্লেবয় বা কোন সভ্যতা প্রজনন করি, কি আমার দায় ভার?

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :















আর ভাল লাগেনা, বুঝলি দোস্ত। এভাবে আর চলতে পারেনা। বলে আমার দিকে তাকায় মবিন। মবিনকে খুব হতাশ দেখায়, আনমনেই ও বলে- তবুও কবিতা লিখি রাত জেগে অথবা নিঃশব্দে হেটে বেড়াই ছাদের কার্নিসে। টুপ করে নিচে এক টা লাফ দিয়ে দেয়া যায়ানা? নিরব প্রতিবাদ বা আত্মহত্যা। নাহ থাকিই না আর ক'টা দিন। দেখি না, দিন বদল হয় কি না? আবার নতুন ডিজিটাল আশা নিয়ে ভোট দেই, আবার দেই, বার- বার দেই এবং দিতে থাকি। আমাদের দিন বদলায় না। ক্রমশ দীনহীন হয়ে পড়ি আমরা। মাথার ভেতর মগজের ভেতরে বন্ধী যে পশুটার বসবাস, সেটা হাঠাৎ ফনা তোলে। বিষাক্ত নাগিনের মতন বিনের তালে নাচে। কাকে দেয়া যায় ছোবল, কার ঘরে সুন্দরী মেয়ে আছে? থুরী থুরী সুন্দরী বৌ আছে। আজকাল কার এই আমরা সব কিছু স্বাভাবিকতাকে বাদ দিয়ে অস্বাভাবিকতায় সুখ খুজি। অনেকে বলবেন বলে কি এই লোক। আমি ১০০ টা উদাহরন দিতে পারি যেমন, আজকাল আমরা স্বাভাবিক প্রেম প্রীতি কে বাদ দিয়ে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে গেছি। গানের নামে আমরা শুনি "কলা বেরী ডি"। নাচের নামে দেখি "গ্যংন্যাম ইস্টাইল"। নারীর আব্রূ হীনতাকে ভাবি ফ্যাশন আধুনিকতা বা নারী স্বাধীনতা। সঠিক বাংলা ভাষাকে বিকৃত করে বাংলিশ বানাই। অনেক ঠোট উল্টে বলবে আরে ওসব যুগের হাওয়া। কিন্তু আমার মন মানেনা। এ কোন যুগের শৈত্যপ্রবাহ বইছে আমাদের জেনারেশনের উপর দিয়ে। কেউ বলে নারী পুরুষে কোন ভেদ নাই। তাই পুরুষও শাড়ি পড়বে আর নারী পরবে লুংগী আর স্যান্ডো গেন্জি, তারপর মাল কাছা দিয়ে ধানের বস্তা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরবে। আর পুরুষ ঠোটে লিপিষ্টিক দিয়ে বলবে দাওয়ায় হুক্কা আছে একটা টান দেন। আমাদের জাতী যে কজন মহা মনিষী জন্ম দিয়েছে, তার মধ্যে তাসলিমা আপারে আমার শ্রেষ্ঠ লাগে। হের মতন এমন জিনিষ জাতী যদি আট দশ খান পাইত, তাইলে পুরুষের পেঠে বাচ্চা ধরাইয়া ছাড়ত। দেশে তাইলে আমরা আন্দোলন করতাম রংপুরের আমিন আলী বা বরিশালে আবুল খায়েরের ধর্ষনের ফাসি চাই।
মুকোল কয় তাসলিমা একটা চর্বিত চর্বন, ও হইল একটা ছাবড়া।
আমি মুখ টিপে হাসি।
মবিন বলে তুই কি কস এগুলা? তাছলিমা ছাবরা মানে ? ঠিক ঠাক ভাবে বল।
মুকুল কিছুটা ম্যানেজড হয়ে বলে- আরে ব্যাটা তানা, আমি বলেছি তাসলিমার ব্যাপারে আলাপের কথা।

ভালো কথা আমরা বসে আছি সচিবালয়রের সামনের একটা হোটেলে। থুরি থুরি আবাসিক হোটেলে নয়, খাবার হোটেলে। মবিন আমার বন্ধু ওকে সবারই চেনার কথা, পেশায় ডাক্তার। ওর ব্যাপারে আরো জানতে চাইলে লেখার শেষে ওকে নিয়ে লেখা কয়েক টি পোষ্টের লিংক দিয়ে দিচ্ছি যাতে করে যারা নতুন তারা ওকে খুব সহজ ভাবে চিনতে পারেন। আর মুকুলের ব্যাপারটা ধিরে ধিরে ক্লিয়ার হবেন লেখার মধ্যে।

মুকুল আমার হাতে লিফলেট ধরিয়ে দেয়, বলে কাল কে সকালে মানব বন্ধন আছে প্রেস ক্লাবের সামনে। একবার চেয়ে ছিলাম শহীদ মিনারে অনশন করব। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়া তো আর ঐ খানে কিছু করা যাবেনা।

মবিন লিফলেট টা দেখে। বলে কিরে নারীর প্রতি স্বহিংস আচারনের প্রতিবাদ করবি ভালো কথা, তবে এটা মানব বন্ধন লিখলি ক্যান? কথা টা হবে মানব মানবী বন্ধন।
আমি বুঝি মবিন ফোড়ন কাটছে। বলি বাদ দে তো মবিন, যাবো কাল মানব বন্ধনে। মবিন বলে বাদ দিলাম তবে আমি এই সব আদিক্ষেতা করতে যেতে পারবনা। তবে হ্যা মুকুল তুই যদি না যাস তাহলে আমি যাব।
আমি মবিনের দিকে তাকাই বলি, কি কস এগুলা ও হইলো কর্মসুচির বার্তা সম্পাদক আর ও যদি না যায় মানে কি?

মুকুল কিছু বলেনা একটা সিগারেট ধরায়। বলে চলিরে। মবিন বলে যাবিই তো। যায়গামতন হাত পড়েছেনা। ব্যাটা ঘড়ে বৌ পিটাস, অন্য নারীর সাথে ফস্টি নষ্টি করস। রাতে প্লেবয় সাজছ বা হোটেল আবাসিক ব্লু গ্রীন, নাইলে মদপট্টি দৌড়াস। আর সকাল হইলেই নারী বাদি। এই সব বলদামী বাদ দে। মানব বন্ধনের নামে চাদা উঠাস। আর জনগনের পয়সায় মাল টানস। সমাজ সেবী সাজচ্ছস। ভংচং মানুষ এখন বুঝে, দেখসনা ডাইক্যাও লোক নিতে পারস না, কোন আন্দোলনে।

মুকুল কিছুটা উত্তেজিত হয়। আমি বলি এই তোরা ঝগড়া থামা। আলোচনা কর, যুক্তি দে। যুদ্ধ কেন বাছা? সুর করে বলি আধ মরা দে ঘা মেরে তোরা বাচা।

মুকুল আবার ম্যানেজড হয়, বলে দেখনা ব্যাক্তিগত জীবন আর সোসালওয়ার্ক এক করে ফেলছে। কোন মানে হয় বল?
মবিন বলে তুই ব্যাক্তিগত জীবনে একটা জাত লুচ্চা, তোর পাশে যদি কোন নারী মানব বন্ধন করার জন্য তোর হাত ধরে দাড়ায়, আমার তো মনে হয় না সেই নারী তোর কাছে সেইফ।

আমি মবিন কে বলি আহা বলতে দে না ব্যাচারে কে।

আমাদের আড্ডাটা আর জমেনা। মুকুল তারা হুরা করে চলে যায়। আমি মবিন কে বলি এতটা হার্ট না করলেও পারতি। ও বলে আমি ভুজুং ভাজুং বুঝিনা সত্য কথা স্পষ্ট ভাষায় বলি। কারো ভালো লাগতেও পারে নাও পারে, এটা তার ব্যাপার।

শোন মানুষ যতখন নিজে থেকে সৎ না হবে মানুষ কে ঐ সব বোগাস মানব মানবী বন্ধন করে সৎ বানানো যাবেনা। আর মানুষ কে সৎ বানাতে পারে যে ধর্ম সেটাকেই সোকল্ড প্রগতী শীলরা ছুড়ে ফেলে দিচ্ছে এবং চারপাশ থেকে মানুষ কে বোঝাচ্ছে ধর্ম হীন হতে। অনেকে যুক্তি দেবে খারাপ কাজ আইন করে ঠেকানো যাবে। আমি স্বীকার করি। তবে কত পার্সেন আইন করে থামান সম্ভব? মনে কর ৬০% তাহলে বাকি ৪০% কি দিয়ে থামাবি?

আমি বলি কেনো আইন দিয়েই ১০০% অপরাধ থামানো সম্ভব।
ও মাথা নাড়ে কোন দিনও না। তাই যদি হত তাহলে আইন প্রনেতারা কোন দিন বলে না, "মানুষের বেড রুম পাহাড়া দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না।" যেমন ধর একজন লোক সিদ্ধান্ত নিল সে তার স্ত্রী কে হত্যা করবে। সে রাতে ঘুমের মধ্যে তার স্ত্রীকে মেরে ফেল্ল এখন বল আইন কিভাবে এই হত্যা কান্ডটা থামাতে পারে। অপরাধী জানে ধরাপরলে তার ফাসি হতেও পারে, নাও হতে পারে। আবার ধরা নাও পরতে পারে। কিন্তু একজন ধার্মিক জানে, আল্লাহ সব দেখছে। অন্যায় করলে বাচার কোন উপায় নাই। কেয়ামতের দিন গরম শিশা ঢালবে নাকের ফুটা দিয়ে।
আবার দেখ একটা ছোট উদাহরন দেই, নারীর দিকে কু দৃষ্টিতে তাকানোর উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোন আইন আছে? নাই। কিন্তু দেখ ধর্মে কিন্তু আছে, ইসলাম পুরুষ কে বলে দৃষ্টি সংযত করেতে। প্রগতি শীলরা কি বলবে? বলবে পুরুষের নারীর দিকে যেকোন দৃষ্টিতে তাকানোর অধিকার আছে হোক সে দুর দৃষ্টি বা ক্ষিন দৃষ্টি। এতে আইন করার কি হইল? আর ধর্ম পুরুষের উপর এমন আইন চাপিয়ে দিয়ে পুরুষের দেখার অধিকার কে বঞ্চিত করেছে।

আমিও ভাবি, কি বা এমন ক্ষতি একজন নারী সাজ গোজ বা একটু গরম পোষাক পড়ে বের হলে তার দিকে তাকিয়ে মনে মনে একটু আধটু মজা নিলে।

মবিন বলে দেখ, আমরা যদি নারীর দিকে খারাপ বা কু দৃষ্টি তে তাকাই তাহলে কি হবে? মনের ভেতর উত্যেজনা হবে, কামুকতা বাড়বে, হয় ছুটব হোটেলে নাইলে না থাক বলবনা একটু অন্য ভাষায় বলি নাইলে বাথরুমের সাবানের হিসেব পাবনা।

আমি বলি হইছে থাম। এত ঠুনকা হইব ক্যা পুরুষের কাম ইচ্ছা?

শোন কিছু কমুনা কেবল একটা কথা কই। ফার্ম গেটের ছন্দ আন্দ সিনেমা হলে কি ছবি চলে? সবাই জানে। সামনেই কিছু মেয়ে দেখা যায়। পাশ দিয়ে গেলেই কয় কাজ করবা কিনা। আগে ছিলো গুলিস্তান সিনেমা হল ঐ হলে কি ছবি চলত সেটাও সবাই জানে, বলতো কেন বেসি পরিমানে প্রস্টিটিউট ঐ অন্চলে ছিল বা থাকে?

দোস্ত শোন নারীর পোষাক নিয়া ফালতু প্যাচাল পুটিস না, নারী যা মন চায় পরুক তাতেই পুরুষ তারে নিয়া কাম কল্পনা করবে এইটা কেমন কথা? কেনো নারীরা কি করেনাই ছোট পোষাক বড় পোষাক কিছুই নারীর বাধা দিয়া আটকাইতে পারছে?

ও মাথা নাড়ে ঠিকই কইছোস, নারীরা তো আজকাল ডাব্লু ডাব্লু এফ চ্যাম্পীয়ান ও হইতেছে। এই তো নারী উন্নয়ন তাইনা? তোরা কি বলতে চাচ্ছিস নারীর উদাম বা গোপনাঙ্গ দেখলে পুরুষের উত্যজনা হবেনা? আজব কথা বলস। বলতো পুরুষের কাম উত্যজনা কি দেখলে হওয়া উচিৎ। নাস্তিকরা তো আবার সিজদা রত নামাজীর পায়ুতে সুখ খোজে। এরা পুরুষের পিছন দেখলে উত্যেজনা অনুভব করে। এরা কি চাচ্ছে নাকি যে সব পুরুষ গে হয়ে যাক। সমাজে ভালো খারাপারে কোন ভেদ থাকবেনা। যার যা ইচ্ছা পড়বে। একজন নারীর যা পরতে মন চাইবে পরবে। সমাজ কিছু বলতে পারবেনা।
একজন পুরুষ নারীর উপর পাশবিকতা চালাবে কারন এটা সেই পুরুষের ইচ্ছা সমাজ কিছু বলতে পারবেনা।
কোন উল্ট পথে চলছি আমরা? পরবর্তি যে প্রজন্ম রেখে যাচ্ছি এই দুনিয়ায় তারা কি নিয়ে বাচবে? নাকি পশ্চিমা দের মতন জারজ জাতী তে পরিনত হবে। আমেরিকান পাই দেখলেই বোঝা যায় ওরা কোন সভ্যতা প্রজনন করার গল্প বলে জাতী কে?

তাহলে তুই কি করতে বলিস?

আমি বলি কোন কিছুই যার যা মন চায় করবে সেটা হওয়া উচিৎ না, এরকম হয়ে ছিলো জাহেলিয়াতের যুগে, সেই কলংকের ইতিহাস নতুন করে বলার কিছু নাই। মানুষ কে একটা ফরম্যাটের মধ্যে বাচতে হবে। সমাজ বলে একটা শব্দ আছে, সেটা জানতে হবে। সঠিক ধর্ম জ্ঞানের মাধ্যমে নারী পুরুষ উভয় মিলে সমাজের উন্নয়নের কথা চিন্তা করতে হবে। নারী বাদিরা, নারী অধিকার কে এমন এক স্হানে নিয়ে যাচ্ছে যে পুরুষ মানেই নারীর শত্রু। এরা নারীর আত্যনির্ভর শীলতাকে এমন জায়গায় নিয়ে যেতে চায় যে নারী নিজেই সন্তান প্রজনন করবে পুরুষের কামরস ছাড়া।

আবার কিছু পুরুষ বাদি আছে এমন যে সব নারী কে বোরকা হাত মোজা, পাও মোজা, কালো চশমা পড়িয়ে ছারবে। এটা ঠিকনয়। ইসলামে আছে ইবাদাতের সর্ব উচ্চপর্যায়ের কোন সিমা নেই। তাই বলে সবাইকে হাত মোজা, পাওমোজা পরানোর কোন মানে নেই। কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় ঐ ধরনের পোশাক পড়ে এটা সেই নারীর ব্যাক্তি স্বাধিনতা।
আমি ফোড়ন কাটি, খাস পর্দা যদি নারীর ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর ছেড়ে দিস। তাহলে ওড়না না পড়া। স্কিন টাইট টাইলস পড়া। টপস পড়া। সেটা কি নারীর ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর নির্ভর করে না?

ও বলে ভালোই বললি সারা রাত হিমুর বই পড়ে সকালে জিগ্যাস করছইস হুমায়ুন আহমেদ কে? তোর এই কথার জবাব দেয়ার আগে আমারে বল সমাজের বা ধর্মের চোখে শ্লীল অশ্লীল বলে একটা কথা আছে কিনা? তুই কি বলবি বোরকা পড়া বা আব্রু করা কোন নারী কে দেখতে অশ্লীল লাগে। নাকি বরং কেউ পেন্টি আর ব্রা পরে সিবিচে সানবাথ নিলে সেটা অশ্লিল? ধর, তোর মেয়ে যদি টাইট জিন্স প্যান্ট পড়ে, যাতে স্ফিত কোমড়, মসৃন পায়ের খাজ, নিতম্ব বা টাইট গেন্জী পরে যাতে মাংসল বুক খিচে থাকে। এবং সেই পোষাকে রাস্তায় নামে, আর সারা রাস্তায় কামুক চোখ গুলো তোর মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে আর তাকে পাবার কামনা বুকে নিয়ে বাথরুমে গিয়ে প্রটিন লস করে। কি করবি তখন?

আমি ঘোড় আপত্যি নিয়ে বলি এই মবিন তুই আমার মেয়ে কে নিয়ে অশ্লীল কথা বলছিস কেন?

মবিন মুচকি হাসে বলে দোস্তি আমি কেবল মুখে বললাম তাতেই অশ্লীল লাগল আর এই ঘটনাটা বাস্তবে চিন্তাকর। তাহলেই বুঝবি নারীর যা খুশি তা পড়ার অধিকার নেই ঠিক তেমনি পুরুষের নেই যাকে তাকে বলৎকার করার অধিকার।

শেষ কথাঃ আমি হোটেলের জানালা দিয়ে আকাশের দিকে তাকাই। মবিন কথা গুলো তাহলে কি ঠিকই বলে? নাহলে এত সাহস ও পায় কোথায়। মিথ্যা বলতে গেলে তো মানুষের বুক কাপে। গলা আটকে যায়। কিন্তু ওর কথায় কোন অসচ্ছতা নেই। জানিনা কেন? আমি ভাবতে থাকি নারী স্বাধীনতার সুজগে কিছু মানুষ নারী কে পন্য বানিয়ে ফেলছে নাতো? বা আমি কি একটু বেশি লাই দিয়ে ফেলছি আমার স্ত্রী কন্যা বা বোন কে ফ্যাশন বা নারী স্বাধীনতার নামে?



মুখ বন্ধঃ রাজনৈতিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। আর লেখার সব চরিত্র কাল্পনিক কেবল আমার চরিত্রটা ছাড়া। অনেক দিন পর লিখলাম, লিখতে ইচ্ছা করে না আজকাল। ফেইস বুকে এক পাঠক আমাকে লিখেছিলেন, "আপনি যাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য লিখেন তারা থোরাই কেয়ার করে আপনার লেখা।" মাঝে মাঝে ব্লগেও প্রমান পাই সত্যি মানুষ সব কিছুর উল্টা বুঝতে চায়। সঠিক পথে এখন আর কেউ চলতে চায় না। সাম্প্রতিক সময়ে যেটা দেখলাম। ব্যাতিক্রম খুজতে গিয়ে আমরা আস্তে আস্তে বিকৃত বা অশ্লীলতাকে ভাবতে আরম্ভ করেছি এটাই সবচেয়ে মজার বিষয়,

যেমন গ্যাংনাম স্টাইল, গানটার মানে এখোনও কোন বাংলাদেশী ঠিকভাবে বলতে পারবে না। তবুও শোনে। জাতীয় ক্রিকেট দল পর্যন্ত সেই স্টাইলে নাচে।

কলাবেরী, এটাও এক অদ্ভুত লিরিকসের গান। তবুও হিট। বিয়ে বাড়ি থেকে গুলসানের নাইট ক্লাব সবজায়গায় চলে কলা বেরী।

হানী বানি, এটাও ইদানিং ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

গৎ আচারন, পুরুষের ব্রু তে গহনা পরা। মেয়েরা নাভী তে, জিভের মাঝ খানে মেটালের বল বসানো।

আরো বহু বলতে পারি বলতে ইচ্ছা করছেনা। কারন কি হবে এত গলা ফাটিয়ে। এইতো জীবন বয়ে যাওয়া। অনেকেই আর মানেনা মৃত্যুর পর সাওয়াল জবাব। কি বা হবে মেনে তাহলে তো আর ইচ্ছা মতন পরকিয়া, সমকামীতা করা যাবনা।

একটা কথাই কেবল বলি, "থাকো ভাই থাকো তোমরা তোমাদের মতন একদিন বুঝবা কোন ভুল পথে পা বাড়িয়ে কি পরনতি ডেকে এনেছো। যেমনটা বুঝে ছিল, নমরুদ ফেরাউন রা মরে যাবার আগে।


মবিন বিষয়ক প্রথম লেখার লিংকটা দেইঃ
View this link


ফেইস বুকে আমার পেইজ দেখতে চাইলে নিচের লিংকে যানঃ

View this link

আমার রিসেন্ট একটি লেখাঃ
View this link
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪০
২৬টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×