স্বাধীনতার পর আমাদের যত গৌরবোজ্জ্বল অর্জন আছে তার বেশিরভাগ এসেছে ক্রীড়াজগতের হাত ধরে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে ক্রিকেটের মাধ্যমে। আজ আমরা একটি বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাচ্ছি যা আমাদের জন্য খুব খুব একটি আনন্দের আর সম্মানের বিষয়।
জানিনা আবার কবে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের আয়োজক হবার সম্মান লাভ করে। এমন একটা ভাবনা থেকে আর প্রথম আয়োজনের আনন্দের অংশীদার হতে সবার মধ্যে একটা অতিরিক্ত আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যার ফলাফল টিকিটের জন্য ১/ ২ দিন আগে থেকে লম্বা লাইন, মারামারি, ভাংচুর ইত্যাদি। টিকিট না পেয়ে আমি বা অন্যরা যতটা ক্ষুদ্ধ তার চেয়ে বেশি ক্ষুদ্ধ এমন এমন মানুষেরা টিকিট পাওয়ায় যারা খেলা সম্পর্কে খুব কম ধারনা রাখেন
কিন্তু এখন ক্ষোভের সাথে সাথে আরো একটা অনুভূতি আমার চেতনাকে আচ্ছন্ন করছে। আর তা হল ভয়। অন্যান্য টিকিটের মত বিশ্বকাপের টিকিট ব্ল্যাকে বিক্রি হবে তা হয়ত সবাই ধারনা করেছেন। কিন্তু এখন আমি দেখছি যে এই ঘটনা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে ২০০ বা ৪০০ টাকা দামের টিকিট চাওয়া হচ্ছে ৫০০০ থেকে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত। ফেসবুকেতো দেখলাম একজন ৮টা টিকিটের দাম লাখ টাকাও চেয়েছেন। যাক যার টিকিট তিনি মিলিয়ন ডলার চাইলেও আমার বলার কিছু নেই। কিন্তু ব্যাংক থেকে টিকিট নেবার সময় আইডি দেখিয়ে টিকিটের ভাউচার দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন যে টিকিটগুলো হস্তান্তর হবে তা কি কোন আইডি দেখে হবে??? আমার ভয়টা এখানেই। এরকম উপায়ে যদি টিকিট কোন সন্ত্রাসীর বা দুষ্কৃতিকারীর বা দলের হাতে যায় আর স্রষ্টা না করুন বিশ্বকাপের সময় কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে তার দায়িত্ব কে নেবে??? সরকার না বিসিবি না আইসিসি??? যে সাইটে টিকিট বিক্রির এসব বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে সে সাইটের এডমিনরা এধরনের বিজ্ঞাপন না দেবার নোটিশ দিয়েই খালাস। তাদের নোটিশ অনুযায়ী এভাবে টিকিট বিক্রি নিষিদ্ধ এবং এধরনের বিজ্ঞাপন ডিলিট করা হবে। এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ এর মত এই নোটিশ দেবার পরও আমি এ পোস্ট লেখা পর্যন্ত আগের একাধিক বিজ্ঞাপনতো সরানো হয়নি তার ওপর আরো ৫টি নতুন বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে
সরকার, বিসিবি, আইসিসির কাছে আমরা ক্রিকেটপ্রেমীদের আকুল আবেদন এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীদের টিকিট না দিয়ে প্রকৃত দর্শকদের টিকিটপ্রাপ্তি এবং বিশ্বকাপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৫