ছাত্রীদের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্ক গড়েই ক্ষ্যান্ত হননি। এসবের ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এভাবে একজন দুজন নয়, অন্তত দেড় শতাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়েছেন শিক্ষক পান্না মাস্টার।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার বাড়াদি গ্রামের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এই বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক পান্না মাস্টার বাসায় টিউশনির নাম করে দেড় শতাধিক ছাত্রীকে তার লালসার শিকার বানিয়েছেন।
আর শিক্ষকের লালসার শিকার এসব ছাত্রীদের বেশিরভাগই অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণি পড়ুয়া কোমলমতী। এরা পরবর্তী জীবনে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেও শিক্ষক পান্নার হাত থেকে রেহাই পায়নি। ঘটনার ধারণকৃত চিত্র ও ছবি ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন তাদের ভোগ করে আসছেন পান্না।
শুধু ধর্ষণ করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি শিক্ষক পান্না। অন্তরঙ্গ মিলনদৃশ্য ধারণ করে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে নানা ফন্দি-ফিকিরে হাতিয়ে নিয়েছে অর্থও। সম্প্রতি তার এই বিকৃত যৌন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে গেছে। এলাকার যুবকদের মোবাইলে তা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে।undefined
এরপর শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল এই শিক্ষক নামের কুলাঙ্গারের বিচার দাবি করেছেন। তারা অবিলম্বে এই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। আর এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে তার সহযোগীদেরও বিচার দাবি করেন।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে পান্না মাস্টারের যৌন কেলেঙ্কারি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাড়াদি আদর্শ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক পান্না মাস্টার অভিভাবকের পরিবর্তে বনে গেছেন প্লে-বয়ে। পান্না মাস্টারের যৌন জিজ্ঞাসার শিকার প্রায় দেড়শ’ ছাত্রী, যাদের অধিকাংশ অষ্টম, নবম এবং দশম শ্রেণি পড়ুয়া।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘এ ঘটনা এখানেই শেষ হতে পারত। কিন্তু নিজের ছাত্রীদের সঙ্গে মিলনের দৃশ্য পান্না মাস্টার ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করেছেন দিনের পর দিন; মাসের পর মাস; বছরের পর বছর।’
অষ্টম শ্রেণি থেকে পান্নার যৌন লালসার শিকার এক ছাত্রী। সে বর্তমানে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। তারপরও পান্নাকে নিয়মিত সময় দিতে হয় তাবে।
ওই ছাত্রী জানায়, ‘পরিকল্পনা করে তিনি (পান্না মাস্টার) এগুলো করতেন। আর এখন ছবি-ভিডিওর প্রকাশের ভয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে একাজ করতে হচ্ছে। আমি সত্যিকার অর্থে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত। খুবই খারাপ লাগছে। এ নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না।’
পান্না মাস্টারের সঙ্গে নগ্নদৃশ্যের ছবি অন্যের মোবাইলে দেখার পর ইতোমধ্যে ১১টি মেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আর এতেই এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী সুরাইয়া সুলতানা শিখা বলেন, ‘নিজের সন্তানরা কোথায় কি করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে, কোথায় যাচ্ছে, সেগুলো অভিভাবক হিসেবে আমাদের খেয়াল রাখা দরকার।’
উদীচী কুষ্টিয়া শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দি বলেন, ‘এই বিকৃত মানসিকতা থেকে বের হতে আইনের প্রয়োগের চেয়ে বেশি দরকার সামাজিক সচেনতা।’
বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) সেতুর নির্বাহী বলেন, ‘পরবর্তীতে যাতে আমাদের আরো দশটি মেয়ে এই ধরনের বিকৃত ঘটনার শিকার না হন, সেজন্য এখনই সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার।’
এ ঘটনায় পান্না মাস্টার ও তার সহযোগীদের শাস্তি দাবি করেন। এলাকার এক মুরুব্বি বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের ওপর বিশ্বাস করে স্কুলে ছেলে-মেয়েকে পাঠাই। আর সেই শিক্ষকরাই যদি এ ধরনের কুকর্ম করেন, তাহলে আমাদের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে না। এগুলো শুনতেও লজ্জা করে।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ব্যক্তিদের গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলা উচিত।’
এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা পান্না মাস্টারের শাস্তি দাবি করেন
(সমপূর্ন কপি পেষ্ট)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




