অনেক দিন দরে ভাবছি কোন কিছু নিয়ে লেখা লেখি করব, কিন্তু কোন ভাবেই সময় manage করতে পারছিলাম না। অবশেষে পরীক্ষা শেষ হল, কয়েকদিন ছুটি পেলাম তাতেই লিখতে বসে গেলাম। তবে আপনাদের অনুপ্রেরনা পেলে আরও লিখবো......।
আমাদের বর্তমান সমাজে এই সমস্যাটা একটু বড় করে দেখা দেয়াছে, বিশেষ করে তরুনদের মধ্যে। কারন তারা যে Love Marriage করে তার ৯০% ই হল সমবয়াসি । আসুন আমরা দেখি বয়সের পার্থক্য এর কারনে কি সমস্যা হতে পারে?
প্রথমে আমাদের জানতে হবে মেয়েদের এবং ছেলেদের সম্পর্কে Medical Science কি বলেছে???
প্রথমে জানব ছেলেদের সম্পর্কেঃ
আমরা সবাই জানি যে ছেলেদের কোন মাসিক হয় না, তাই তাদের মাসিক বন্ধ হওয়ার ও কোন সম্ভাবনা থাকে না। ছেলেদের যে তরল পদার্থ নির্গত হয় তাকে Medical science এ স্পার্ম (Sperm) বলা হয়। এই Sperm ছেলেদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাহির হয়, তার মানে ছেলেদের যে কোন বয়সেই Sperm বের হতে পারে। সেটা ৮০ বছর বয়স হলেও।
এবার জানব মেয়েদের সম্পর্কেঃ
মেয়েদের মাসে একবার মাসিক হয় যাকে Medical science এ Menstrual cycle বলা হয়, এবং এই মাসিক বছরে ১২ বার হয়। মেয়েদের মাসিক একটা নিদিষ্ট বয়সে হয় তাকে বলা হয় মেনোপোজ, তার পর এই মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। মেয়েদের মাসিক সাধারনত শুরু হয় ১২-১৪ বছর বয়সে এবং বন্ধ হয়ে যায় ৪০-৪৫ বছর বয়সে। মেয়েদের যে তরল পদার্থ নির্গত হয় তাকে Medical science এ ওভাম (Ovam) বলা হয়। যত দিন মেয়েদের মাসিক হবে তত দিন Ovam তৈরি হবে। যখন মেয়েদের Menstrual cycle বন্ধ হয়ে যাবে তখন তাদের Ovam তৈরি ও বন্ধ হয়ে যাবে।
ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে কি কি মিল ও অমিল???
উপরে ছেলে ও মেয়েদের সম্পর্কে সঃক্ষিপ্ত ভাবে ধারনা দেওয়া হয়েছে। এবার একটা বাপ্যারে আলোকপাত করি সেটা হল ছেলেদের জৈবিক চাহিদা থাকবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত (যতদিন শরীরে শক্তি বা সুস্থ থাকবে)। কিন্তু মেয়েদের জৈবিক চাহিদা থাকবে যতদিন তার Menstrual cycle থাকবে(তারপর থাকবে তবে সেটা একেবারেই সামান্য)।
তাহলে কত বছর বয়স পার্থক্য থাকা উচিত???
Medical science এর ভাষায় বলতে গেলে বলব ৬-৯ বছর বয়সের পার্থক্য থাকা দরকার। তার মানে ছেলে মেয়েদের তুলনায় ৬-৯ বছর বয়সের বড় হওয়া উচিত।
কেন ছেলেদের বয়স বেশি হতে হবে???
কারন ছেলেদের জৈবিক চাহিদা থাকবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। কিন্তু মেয়েদের থাকবে একটা নিদিষ্ট সময় পর্যন্ত। তারপর যে থাকবে না তা কিন্তু নয়, তবে তা পরিমানের তুলনায় তা একেবারেই সামান্য।
বয়সের পার্থক্য থাকলে কি হবে???
বয়েসের পার্থক্য থাকলে তাদের মধ্য সম্পর্ক অনেক গভীর হবে, মনমালিন্য অনেক কম হবে। বুড়ো বয়সে খিটখিটে মেজাজ টা অনেক কম থাকবে। স্বামী ও স্ত্রীর চরিত্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করবে।
বয়সের পার্থক্য না থাকলে কি হবে???
যদি বয়সের পার্থক্য না থাকে তার মানে যদি বয়স কম বা বেশি হয় তাহলে কি সমস্যা দেখা দিবে?
যদি বয়স কম হয় তাহলে স্বামীর চাহিদা থাকা সত্তেও স্ত্রী কে কাছে পাবেনা, পেলেও স্ত্রীর মধ্যে একটা অসস্থি বোধ কাজ করবে। যার ফলে তাদের মধ্যে মনমালিন্য সৃষ্টি হবে, এবং টুকটাক সমস্যা সবসময় লেগেই থাকবে। এই সমস্যাগুলো প্রথমে দেখা দিবে না, এই গুলো দেখা দিবে শেষ বয়সের দিকে।
যদি বয়স বেশি হয় তাহলে তাদের মধ্যে বয়সের দুরত্ব বেশী হওয়ার কারনে মনের দুরত্ব ও বেশী হবে। স্বাভাবিক হতে অনেক সময় লাগে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় সারাজীবনে ও স্বাভাবিক হতে পারে না। বয়স অনুযায়ী স্ত্রীর যে চাহিদা থাকবে স্বামী তা পুরন করতে পারবে না, যার ফলে স্বামীর সাথে স্ত্রীর সাথে মনমালিন্য বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয় কোন কোন ক্ষেত্রে তারা পরকিয়ার মত পথ ও বেছে নেয়।
পরিশেষ এ—
এই সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে হবে। আর যারা বিয়ে করে ফেলেছেন তারা সমস্যা গুলোর কথা মাথায় রেখে স্বামী বা স্ত্রী এর সাথে ভাল ব্যবহার করুন, এবং ব্যপার গুলো বুঝার চেষ্টা করুন। সমস্যাগুলো মানিয়ে নিলেই জীবনটাকে সুখকর করে নেয়া সম্ভব।
বিঃ দ্রঃ আমি চেষ্টা করেছি যত সাবলীল ভাষায় লেখা যায়, এর চেয়ে ভালো কোন ভাষা আমি খুজে পাইনি। কেউ কষ্ট পেলে আমি দুঃখিত!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




