~ম্যারিটাল রেপ যে হয় না সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এটা নিয়ে এতো মাতামাতির কিছু দেখছি না, আর দশটা অপরাধের মতো এটাও একটা অপরাধ। কিন্তু ম্যারিটাল রেপ নিয়া বেশি মাতামাতি করে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে পরিবার প্রথাকে ভেঙ্গে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে সেটা খুবই নিন্দনীয়, এটার বিরোধিতা করছি।
~ম্যারিটাল রেপ নিয়ে কথা বলে মেদেরকে দু'দন্ড প্রগতিশীলতার বাণী শুনিয়ে তাদেরকে সংসার বিচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে পাশ্চাত্যের পা চা-টা মিডিয়া গুলো যেভাবে উঠে পরে লেগেছে সেটা আমাদের সংস্কৃতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
একটা মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার ভরণপোষণ সহ আনুসাঙ্গিক খরচা সে কিভাবে পূরণ করবে সেটা নিয়ে তো কখনো কথা বলতে দেখি না।
~যারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে উঠে পরে লেগেছেন, আপনারা কয়টা ডিভোর্সি মেয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন? তাদের কয়জনকে যৌতুকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা লড়তে সাহায্য করেছেন? কয়টা মেয়ের বিবাহের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন? কয়জনকে চাকরি কিংবা ব্যবসার পথ তৈরি করে দিয়েছেন? ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিধবা বিবাহ চালু করে নিজের ছেলেকেই একজন বিধবার সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন-
আপনাদের কয়জনের বউ ডিভোর্সি? একটা ডিভোর্সি মেয়ের চাপা কান্নার শব্দ এসি রুমে শুয়ে, শেরাটনে খেয়ে, বারের নর্তকীর সাথে নেচে কখনো উপলব্ধি করা যাবে না। এটা আবারো বলছি যে, 'ম্যারিটাল রেপ একটা ক্রাইম।' কিন্তু এই রেপ যাতে না হয়, এসবের ব্যপারে মানুষকে সচেতন করার জন্য কয়টা সেমিনার করেছেন? পদক্ষেপ সেগুলোই নিতে হবে যেগুলো জাতির জন্য মঙ্গলজনক।
~যারা পাশ্চাত্যের দালালী করে ওদের জেনে রাখা উচিৎ, ফ্রী সেক্স যদি ওদের সংস্কৃতি হয় বিবাহ বন্ধন আমাদের সংস্কৃতি। মোঙ্গল শোভাযাত্রা যদি আমাদের সংস্কৃতি হতে পারে তাহলে বৈবাহিক প্রথাও আমাদেরই সংস্কৃতি। একটার জন্য মায়া কান্না করবেন আরেকটা স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারবেন তা হতে পারে না-
গার্মেন্টসে ১২ ঘণ্টা খাটুনির পর বাসায় এসে রান্নাবান্নাসহ আনুসাঙ্গিক কাজ করে পর্যাপ্ত পরিমাণে রেস্ট না নিয়ে পরের দিনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার মতো ব্যস্ততায় দিন কেটেও যখন ন্যায্য অধিকার বেতনের জন্য মাঠে লড়াই করতে হয় তখন তো সো-কল্ড নারীবাদীদেরকে দেখি না তাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলতে? কেন, তারা টাকা দিতে পারবে না তাই তাদের পক্ষে কথা বলা যাবে না? মিডিয়াকে তো দেখা যায় না সেসব কাভারেজ দিতে? কেন, পোস্টের রীচ কমে যাবে তাই?
~সারাজীবন সভ্যতার মনোরঞ্জনের জন্য কাজ করা যদি প্রগতিশীলতা হতে পারে, তাহলে নিজের স্বামী নিজের বাচ্চা, নিজের পরিবারের দেখাশোনা করাও প্রগতিশীলতা। অন্তত এখানে অপরের পা চাটতে হয় না।
~ম্যারিটাল রেপ হতে পারে, সবার মন মানসিকতা তো আর এক না। সঙ্গী হিসেবে মেয়েদের ও দায় থাকে, তার মানসিকতা পরিবর্তন করার। কয়েকদিনেই তার সামগ্রিক অবস্থা বুঝা যায়, সম্ভব না হলে চোখ বুজে সব সহ্য করার কোনো মানে হয় না। ডিভোর্স দিয়ে দেন। কিন্তু ২০/৩০ লাখ টাকা কাবিনে মেয়েকে বিয়ে করাইয়া জীবনের যে সিকিউরিটি বাবারা নিশ্চিত করে সেই সিকিউরিটিতে ছেলেরা সারাজীবন মেয়েকে আগলে রাখে। শুধুমাত্র মানসিকতার অমিল হওয়ায় এতো বিশাল অর্থ দিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। সম্পর্কে শ্রদ্ধা ভালোবাসা থাকলে টাকার পাহাড় দিয়ে সেটার নিশ্চয়তা দিতে হয় না। যখনি টাকার শিকলে মেয়েকে আবদ্ধ করাবেন বুঝতে হবে মেয়েকে কোনো ছেলের সাথে বিয়ে দেন নি, বিয়ে দিয়েছেন পাষণ্ডের সাথে যে আপনার মেয়েকে টাকার ছলে (মায়ার ছলের বদলে) বুকে টেনে খুবলে খাবলে খাবে!
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মেয়েরা, বুঝ হোক প্রতিটি বাবার, ক্যাপিটালিজমের ঘোর কেটে যাক নারীবাদীদের...
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:০৫