মানবতার গালে থাপ্পড় ও অগ্নিদগ্ধ উপার্জন।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার এক উদিয়মান টাইগার। এই কথা গত কয়েক বছরে বহুবার, অসংখ্য পত্রিকা,হাজারো বিখ্যাত ব্যক্তিদের মুখের অমূল্য মুখ নিঃসৃত বাণীতে একই ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছিল বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে,নব্য অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আভির্ভূত হচ্ছে।ঠিক কিছু দিন পরই আমাদের স্বপ্ন ধ্বংসী ঘুর্নিঝড় নেমে আসল আমাদের উপর।আজকাল নামী-দামি কাগজ ছাপে রক্তস্নাত বাংলাদেশের ভূলুণ্ঠিত চিত্র।বিশ্বের যেকোনো নারকীয়তার সাথে পাল্লা দেয়ার ক্ষমতা রাখে সদ্য রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যুক্ত হওয়া পেট্রোল বোমা।এটা এমন একটি মরনাস্ত্র যা অগ্নিসংযোগ এর এক মিনিটের মধ্যেই কেড়ে নেয় হাজারো মায়ের নারী ছেড়া ধন,শিশুর পিতা ডাকার অধিকারটুকু।পেট্রোল এর সাথে ফসফরাস মিশানোর ফলে এই আগুন পানি বা অন্য কোন প্রচেষ্টায় নিভানো সম্ভব না।এই আগুন নিভাতে হলে দরকার অক্সিজেন এর প্রবাহ বন্ধ করা,এটা প্রায় অসম্ভব বলে দিনের পর দিন হারিয়ে যাচ্ছে কতগুলো পরিবারের স্বপ্ন,কতগুলো মায়ার চোখের চাহনি। আমাদের দেশের সুশীল সমাজ বা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ থাকলে,মানবাধিকার কর্মী থাকলে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করত।সুশীল সমাজ,মানবাধিকার কর্মী কার কি আসে যায়?? মরে ত গরীব মানুষ ,মরে দিন মজুর,বিকলাঙ্গ হয় পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। যার যায় সে বোঝে অন্যরা পত্রিকার পাতা খুলে সংখ্যা গুনে দেখে। মানুষকে ভালোবাসার নামে হত্যা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা আজকাল বাস করছি গোরস্থানে যেখানে কারো প্রতি কারো অনুভূতি কাজ করে না। বিগত পঁয়ত্রিশ দিন হরতাল, অবরোধ দিয়ে দেশের নিষ্পাপ ষাটজন মানুষকে যারা ঠেলে দিতে পারে মৃত্যুর কোলে, যারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা কে ধ্বংস করে দিচ্ছে, দিনমজুর এর মুখের খাবার যারা কেড়ে নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না,দেশের অর্থনীতি কে যারা পায়ের তলায় পিসে মারছে সেই সব কুলাঙ্গার এর পক্ষে আর যা কিছু করা সম্ভব হোক না কেন দেশকে, দেশের মানুষকে ভালোবাসা সম্ভব নয়।আজকে হরতাল, অবরোধ মানেই আহবান কারীদের অলস সময় পার করা,রাস্তায় না নামা আর কিছু মানুষের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়া। কোমলতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ যারা ভুলুন্ঠিত করে,শ্রমজীবী মানুষকে পথে বসানোর দায়িত্ব যারা হাতে নিয়েছে তাদের হাজারো ধিক্কার জানাই।এই নির্বিচারে মানুষ হত্যার দায়ভার আপনাদেররই,এটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই।যাই ভাবুন না কেন উপরে একজন আছেন তার কাছে জবাবদিহি করতেই হবে।ওই নরখাদক, রক্তচোষা মানুষরূপী পশুদের কোন ক্ষমা নাই।সামাজিক রাষ্টীয় উভয় ভাবে প্রতিহত করতে হবে, হাজারো মানুষকে যারা মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিতে পারে তাদের দমন করার জন্য যেকোন কঠোর পদক্ষেপকেই সাধুবাদ জানাই।আমরা রাজনীতি বুঝিনা শুধু বুঝি ভালো কাজের পরিবেশ, কারো কাছে টাকা পয়সা চাইনা চাই বাসা থেকে বের হয়ে পুণরায় সুস্থভাবে ঘরে ফেরার অধিকার।ভালো যানবাহন চাইনা স্কুলে যাওয়ার জন্য,ভালো ক্লাশ রুম চাই না ক্লাশ করার জন্য, চাই স্কুলে নির্বিঘ্নে যাতায়াতের নিশ্চয়তা, সুস্থভাবে ক্লাশ করার অধিকার।ভালো গাড়ি চাই না, বাড়ি চাই না চাই মা-বাবা কে নিয়ে শান্তিতে ঘুমাতে। আর আমাদের সুখ কেড়ে নিয়েন না,আমার রক্তে হলি খেলায় মেতে উঠিবেন না।দোহাই আপনাদের, আরজি মানবতার, সাক্ষী সর্বশক্তিমানের।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।
আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন
"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।