আমি রুয়েট এর ছাত্র। সেই সুবাদে অনেক কাছে থেকে দেখেছি বি এন পি এবং তত্তাবধায়ক টার্ম এ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনিতি। আর এখন দেখছি আঃলীগ আমল। যদিও রুয়েট এ ছাত্র অনেক কম এবং ছাত্র রাজনিতি ততটা প্রকট না, তার পরেও এর প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ তা আমি ভাল মতই উপলভধি করছি। আমি এই ৩ টার্ম এর ক্যাম্পাসের পরিস্তিতি আপনাদের সাথে সেয়ার করতে চাই।
বি এন পি টার্মঃ রুয়েট এ আমার প্রথম পদারপন ০৮ই ফেব্রু ২০০৬। ছাত্রদল এর তখন ব্যাপক পাওয়ার। আকাশ এ বাতাসে শহিদ জিয়া। শিবির ও বেশ অ্যাক্টিভ ছিল। মাঝে মাঝে ঢিসুম ঢিসুম হত দল-শিবির। তবে তখন ক্যাম্পাসের প্রসাসন যথেস্ট অ্যাক্সন ও নিত এই বাপারে। এমন কি বেশ কিছু ছাত্র কে সাময়িক বহিস্কার ও করেছিল। সব চেয়ে সুখকর ব্যাপার হচ্ছে সেসন জ্যাম ছিলনা।
কেয়ার টেকার টার্মঃ মুলত তখন কোনো প্ররকার রাজনইতিক গ্রুপই অ্যাক্টিভ ছিলনা। এর ফলে ওই সময় আমাদের ভাল মতই টেক কেয়ার করেছিল স্যাররা। একাডেমিক প্রগ্রেসস ছিল অনেক ফ্যাস্ট। ঢাবি র সেই ঝামেলা ছাড়া তেমন কনো প্রব্লেম হয়নি।এইটা সম্ভব হয়েছে ১ মাত্র ছাত্র রাজনিতি না থাকার কারন এ।
আঃলীগ টার্মঃ ২০০৯ নির্বাচন, রুয়েটের সাধারন ছাত্র দের জন্য সিডর নিয়ে আসে। পরবর্তী ঘটনা আপনাদের অতি পরিচিত। ছাত্রলীগ এর উত্থান। লীগ কতৃক দল -শিবির বহিস্কার করনে আবার ঢিসুম ঢিসুম। ক্যাম্পাস অনির্দ্রিষ্ট কাল বন্ধ। ফলস্রুতি তে সেসন জ্যাম শুরু। গত ১ বছর এই সেম কাহিনি চলছে। আর ১টা বড় প্রব্লেম হচ্ছে ৪র্থ শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণী পর্যন্ত করমকরতা রা রাজনিতির নগ্ন থাবাই আক্রান্ত।প্রশাসনিক দুরবলতা সুস্পস্থ আমরা এই গত ১ বছর এ প্রাই ৪ মাস শেসন জ্যাম এ পড়েছি।
ভাইসব, নিসচয় বুঝতে পারছেন কি বিপদ এ আছি। সুধু আমি না দেশ এর প্রায় ৭০% সরকারি ভার্সিটির পোলাপাইন এর সেম কন্ডিসন। ছাত্র রাজনিতি না থাকলে আমরা ৪ মাস আগই বের হয়ে জেতাম। আমার সাথে অনেক গরিব ক্লাস মেট আছে যার বাবা-মা অপেক্ষাই আছে যে তার ছেলে পাস করে পরিবারের দুরদশা লাঘব করবে।কিন্তু তাদের এই সৎ চিন্তা র অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ তম হচ্ছে এই ঘ্রীন্য, কলুসিত ছাত্র রাজনিতি র কুপ্রভাবে।।
সামহোয়ার ইন ব্লগ এ আমি নতুন।। তাই সবার মতামত কামনা করছি......
মে ২০১০ এ সামহোয়ার ইন ব্লগ এ এটা প্রথম লিখা......

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




