আধুনিক বিশ্বে- শূন্যতাও সম্প্রসারণশীল
অজান ইশারায়
অচিন গন্তব্য
মহাজাগতিক মহামায়ায়
ডুবে যাচ্ছে শরবিদ্ধ কালপুরুষ
অবেলায়
ছায়াপথগুলো ছুটে যাচ্ছে
ঘুরে ঘুরে, দূর থেকে দূরে
তুমি আর আমি, আমাদের মতই।
সবার বুঝি খুব তাড়া?
সবার জন্যই কি কোনো ট্রেন অপেক্ষা করছে?
ওমেগা এক্সপ্রেস?
অসীমের দূর্বোধ্য সীমায় পৌঁছে দেবে-
নিয়তির একগুঁয়ে নভোযান!
শেষ সমীকরণের বহুরূপী ধ্রুবকেরা, যুগে যুগে
লাল দানবের বুনো গ্রাফে
ফুটিয়ে তুলছে অভিকর্ষজ গ্যাস বেলুন!
যার খেয়ালে- কোনো কিছুই আর সরল থাকল না!
বেঁকে যায়, এমনকি আলো
অসহায়! এমনকি আলো!
প্রিয়ার কৃষ্ণবিবর চোখে ডুবে যাওয়ার আনন্দ
জানে কেবল প্রেমিক, পতংগ,
আর জানে সেই সব আলো, যারা
মায়াবী নক্ষত্রের কোল থেকে
হারিয়ে যায় খুব ছেলেবেলায়
ওদের জন্য কেউ ফিরেও চায় নি!
অট্টালিকা পিটিয়ে ভাঙলে পাবে শুধু খোয়া
পরমাণু অনুসন্ধানে তন্তু
নক্ষত্রের হৃদয় চিরে দেখ
ওখানে আগুন নেই, থমথমে নীরবতা!
অনন্তের অন্ধকার পুড়িয়ে আলো
অসীমের আলো নিভিয়ে অন্ধকার!
পবিত্র বিস্ফোরণবাদীরা জানিয়েছেন
ঈশ্বর এক আজব আতশবাজি ফুটিয়ে
সার্কাসের উদ্বোধনী ঘোষনা করে বলেছেন-
খেলা শুরু, তবে সম্প্রসারিত হও!
মহাকালের শিখর ছুঁয়ে নেমে আসল সময় নদী
পরালৌকিক প্রেমে, হাত বাড়িয়ে শূন্যতার পিয়াসী অভিযান!
ক্যাসিওপিয়ার অশ্রু হয়ে ঝরে পড়ছে কত তারা- এখনও-
মুখে মুখে চারণ কবিদের রুপকথা, সুকুমার মিথ, পূর্ণিমায় পালাগান
আকাশগঙ্গা ও গঙ্গা, তোমার বুকেও বাঁধ দেবে শক্তির অশুভ দাস,
কাপাচিনো কফিশপে, ভুডু ম্যজিকের গোপন আসর
ডার্ক ম্যাটার নাকি রেসের কালো ঘোড়া?
শেষ রাত্রে কার হাতে ঝলমলিয়ে উঠবে পঞ্চম টেক্কা?
নাকি শুয়োপোকারাই তবু
হাইপার স্পেস ডাইভ দিয়ে প্রজাপতি হবে,
মানুষ থেকে যাবে মানুষ শুধু!
ছবিঃ গুগল মামা!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭