১
এখনো পারি আকাশটাকে রাত জেগে
লেখা নষ্ট কবিতার মত ছিঁড়ে
কুচি কুচি করে, বুকপকেটে
সারাদিন নিয়ে ঘুরতে!
বিশ্বাস না হলে নিজের শিরাগুলোকে
নদীর মত পরখ করে দেখতে পার!
চাঁদের চোখে জল জোছনা হয়ে ঝরে জেনেও
চোখে- চোখে আমরা কেবলই ছুড়ে দেই
তেজস্ক্রিয় উত্তাপ,
পাজরের নিষিদ্ধ নীলিমায়; অগোচরে
কিছু বুনো শহর গজিয়ে উঠেছে
সেখানে সবাই চেনা বৃত্তের পরিধি বেয়ে
ছুটছে আর ছুটছে...
ওদের কি কেউ এক ফোঁটা
কেন্দ্র এঁকে দেবে না?
২
আমি লিখতে চেয়েছিলাম
কবিতা, এক চোখ, অতল
মেঘেদের গানে,
যেখানে নোঙর তুলেছে বুনো হাঁস
টানা কাজলে ছিল গুন টানা আগুনে দুপুর
ফালি ফালি কাটা চিরল চাঁদে
হতেও পারে দেখা- এক চোখ, অতুল প্রতিমা
নির্ঝর রাতে যখন খুব একলা লাগে
ভাবতে পারো মাতাল সম্মোহনে-
দৃষ্টিপাত- একদিন,
ঝরো সন্ধ্যায় ঘরে ফিরবার বাতিঘর
হতেও পারে, এক চোখ
জানলায় পিদিম জ্বেলে
ফিরে আসবার, বর্ষা ব্যাকুল
সেই চোখ!
৩
আমরা যারা করেছিলাম নিখুঁত ভুল
কাগজের ফুলে ঠুকেছিলাম স্যালুট
গোখরোর ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলেছিলাম- ভালবাসি!
আমরা যারা জ্বেলেছিলাম আগুন
হৃদয়ে ও রাজপথে
কালো বিড়ালের নখের নিচে
সাজিয়েছিলাম স্তব্ধতার অপলক চিবুক,
আমরা যারা হয়েছিলাম নিখুঁত খুন
স্বয়ং শয়তানের কাঁধে চেপে
ঘুরেছিলাম মেলা- সাত সরোবর মেঘ দুপুর!
আমরা যারা ঠকেছিলাম সব হাটে
শেষ কড়িতে- কানায় কানায়,
রক্ত বেচে অশ্রু কিনেছি
আমরা যারা গড়েছি সুরম্য কারাগার
আহা! অদ্ভূত এই সব বেঁচে থাকবার!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৭