এ বৃক্ষ বিপ্লবের বৃক্ষ। যে বৃক্ষ যুগ যুগান্তরে নতুনের জয় গান গাবে- ফোটাবে বিপ্লবের ফুল। এ বৃক্ষ ঔষধি বৃক্ষ নয় যে এক বার ফল দিয়েই মারা যাবে। এ বৃক্ষ চিরজীবী, শুধু যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে বিপ্লবের ফুল ফোটাবে না। ফোটাবে অনাগত ভবিষ্যতের সকল অন্যায়-হত্যা-ধর্ষণ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিপ্লবের ফুল। গাইবে নতুন প্রজন্মের জয়গান।
এ বৃক্ষ যে বিষ বৃক্ষ, যে বৃক্ষ রাজাকারের শরীরে ছড়াবে বিষ- ওদের শরীরকে করে দেবে নীল।
প্রজন্ম চত্বরের সিগন্যাল পোস্ট এর নিচে এ বৃক্ষ সৃষ্টি করেছিল মরু ঝড়। সে মরু ঝড়ে বাতাসের শো শো শব্দে আমি শুনেছি ইব্রাহিমিয়ানদের গগন বিদারী চিৎকার, “পদ্মা মেঘনা যমুনা- তোমার আমার ঠিকানা”, “চাই চাই ফাঁসী চাই- রাজাকারদের ফাঁসী চাই”।
ইব্রাহীম মেডিক্যাল কলেজের অভিধানে ‘প্রতিবাদ’ বড় অপরিচিত শব্দ ছিল। আজ ওদের মুহুর্মুহু শ্লোগানে ‘প্রতিবাদ’ শব্দটি প্রান ফিরে পেয়েছে। হয়েছে আরও সজিব- আরও জীবন্ত।
আজ আমরা ৪১ বছরের এক অসম্পূর্ণ হিসাব মিলাতে, একটি ভুল অংক শুদ্ধ করতে এক হয়েছি- যে অংকের নির্ণেয় উত্তর= যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসী।
প্রজন্ম চত্বরের সিগন্যাল পোস্ট এর নিচের পিচ ঢালা ক্যানভাসে ওরা একেছিল বাংলাদেশ এর মানচিত্র। হাজারো মানুষ জড়ো হয়েছিল এক রূপকথার সাক্ষী হতে। এ রুপ কথা ইব্রাহিমিয়ানদের প্রতিবাদের রূপকথা। এসেছিলেন প্রোফেসর সালাম স্যার। সবার সাথে বসে শ্লোগান দিয়েছেন, ৫০০ টাকা হাতে তুলে দিয়েছেন- ক্লান্ত শুষ্ক শ্বাসনালী গুলাকে পানি দিয়ে ভিজাতে।
প্রজন্ম চত্বরের এই সিগন্যাল পোস্ট আমাদের আন্দোলনের পীঠ স্থান। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামিকাল সন্ধ্যায় ও এখানে ভূমিকম্প সৃষ্টি করবো।
ইব্রাহীম মেডিক্যাল এর সবাই, সাথে থাকুন। জানেন না- আপনার চিৎকার যে ওই চিরজীবী বৃক্ষের অক্সিজেন। সাথে থাকুন ব্লগার রাও। ওদের সংগ্রামী সংস্কৃতিকে সাধুবাদ জানাবেন- আশা রাখি।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:১৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




