অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।
সামুতে ব্লগারদের সংখ্যাএখন অনেক। এরা একেকজন একেক রকম। তারপরেও কিছু বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটা শ্রেনীকরন করার চেষ্টা করেছি। এখন দেখুন আপনি কোন শ্রেনীতে পড়েন।
প্রথম পর্ব (রাজনৈতিক মতাদর্শ অনুসারে):
১. জামাত-শিবির-রাজাকার অথবা চরম বিম্পিপন্থী বা পাকিপন্থি এককথায় ছাগু: শিরোনামেই বোঝা যাচ্ছে এরা কারা। এরা বর্তমানে টিপাইমুখ বাধ নিয়ে সংগ্রাম/নয়া দিগন্ত/আমার দেশ পত্রিকার মত দেশের স্বার্থ নিয়া চিন্তিত। তবে এই বাধের ব্যপারে বিম্পি ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের অসম্মতি ছিল না। এবং এখন যদি বিম্পি ক্ষমতায় থাকতো তবে এখনকার আওয়ামী লীগারদের মত এরা মুখে কুলুপ এটে থাকতো। এদের মুখ থেকে অনেক ভালো এবং দেশপ্রেমিকসুলভ কথা শোনা যায়। আসলে এগুলি ভন্ডামি। এই শুয়ারেরা জাহানারা ইমামকে নিয়ে করা পোষ্টেও মাইনাস দেয়। এদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো মুহাম্মদ জাফর ইকবালের বিষয়ে ইহাদের ব্যপক চুলকানী রয়েছে। এরা আবার ইসলাম ও পাকিস্থানের বিরাট ভক্ত। এরা যে কোন খেলায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও পাকি সাপোর্টার(সব রাজাকার পাকি সাপোর্টার কিন্তু পাকিস্থানের সব সাপোর্টাররা রাজাকার না)। নিজেদের সার্থানুসারে ধর্মের ব্যবহারে বিশেষ পটু। প্রায়ই এদের মুখে ইসলাম গেলো বলে রব শোনা যায়। আর্ন্তজাতিক ধর্মব্যবসায়ী জাকির নায়েককে ইহারা বড়ই পেয়ার করেন।
দেশের আগে এদের কাছে ব্যক্তি স্বার্থ গুরুত্বপূর্ন। এদের থেকে সাবধান থাকা জরুরী।
২. চরম আওয়ামী বা ইন্ডিয়াপন্থি: এরা প্রথম দলের মতই একই জিনিস কিন্তু বিপরীত। প্রথম আলু/জনকন্ঠের মত এদের মুখে টিপাইমুখ বাধ নিয়ে কোন কথা নেই। এরা এখন বুঝতেছেই না যে এই বাধে বাংলাদেশ কত বড় ক্ষতির শিকার হবে। এরা এখন নানান থিওরী দিচ্ছেন যেমন ভারতের সাথে বাংলাদেশ যেহেতু শক্তিতে পারবে না তাই এ নিয়া নিশ্চুপ থাকাই উত্তম। নদীগুলো ড্রেজিং করলে সমুদ্র দিয়া পানি আসবে। তখন ভারত বাধ দিলেও কোন সমস্যা নেই (কি অসাধারন চিন্তা!!!) । এদের কথাবার্তা ডিজিটাল মন্ত্রীদের সাথে সম্পূর্ন মিলে যায় (ডিজিটাল মন্ত্রীদের কথারই জাবর কাটে এরা)। তবে এখন বিম্পি ক্ষমতায় থাকলে টিপাইমুখ বাধ নিয়ে এদের আসল পারফরমেন্স দেখা যেতো। তখন হযতো দুনিয়া উল্টে ফেলতো(নাকি দাদাদের বিরোধীতা করার সাহস হতো না?!) এরা একাত্তরে আমাদের মা বোনদের নির্যাতিত হবার বিরুদ্ধে যেমন সোচ্চার বর্তমানের বিভিন্ন বিশ্বাবদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেদের ছাত্রী নির্যাতনের বিরুদ্ধে তেমনই নিরব।
দেশের আগে এদের কাছে ব্যক্তি ও ইন্ডিয়ার স্বার্থ গুরুত্বপূর্ন। এদের থেকেও সাবধান থাকা জরুরী।
৩. সাধারন ব্লগার: ব্লগে এদের সংখ্যাই বেশি। বেশিরভাগ সেলিব্রেটি ব্লগাররাও এই গ্রুপেই পড়েন। এরা বিম্পি য়ামীলীগ নিয়া মাথা ঘামায় না। উপরের ২ দলের সাথে এদের প্রধান পার্থক্য হচ্ছে এদের বিবেক কাজ করে। ফলে এরা চিন্তা ভাবনা করে যে কোন বিষয়ে অবস্থান নেন। এরাই হচ্ছেন দেশর আসল শক্তি। এদের বিভিন্ন বক্তব্যের সাথে উপরের ২ গ্রুপ তাদের স্বার্থ অনুসারে একমত পোষন করে। যেমন টিপাইমুখ বাধ নিয়ে প্রথম গ্রুপ এখন এদের মতই দেশপ্রেমিক সেজেছে। আবার এরা যখন বিম্পির কোন দূনীতি নিয়ে কথা বলে তখন ২নং গ্রুপ এদের সাথে পুরা একমত হয়ে যায়।
(চলবে.......)
দ্বিতীয় পর্ব (ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে)
