রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদার এর বাড়ি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে। সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। তার বাবা ছিলেন একজন কৃষক। তেমন কিছু কৃষি জমি না থাকলেও কৃষি কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। ফারুক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন। চাকরি না পেয়ে তিনি ঢাকায় একটি হোটেলে চাকরি নেন। তার চাচাতো ভাই আঃ হাই তালুকদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান। পারি-বারিকভাবেই তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত।
২০০১ সালের নির্বাচনের সময় সুনামগঞ্জ-১ (তাহিরপুর-ধর্মপাশা-জামালগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় সুরঞ্জিত সেন প্রার্থী হলে তার সঙ্গে পরিচয় হয় ওমর ফারুকের। নির্বাচনী এলাকায় জোরদার ভূমিকা রেখে সুরঞ্জিত সেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আর নির্বাচনের পর থেকেই তিনি সুরঞ্জিতের এপিএস হিসাবে কাজ করে আসছেন। এতেই ভাগ্য খুলে যায় ওমর ফারুকের। বিগত ৩/৪ বছরে ফারুকের মধ্যে এসেছে বিরাট পরিবর্তন।
তিনি এলাকায় তেমন আসা যাওয়া না করলেও ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ৫/৬ কাঠা জমি কেনেন প্রায় অর্ধকোটি টাকায়। এছাড়া তিনি গ্রামের বাড়িতে কোটি টাকা ব্যয় করে জমি ক্রয় করে ৫টি পুকুর খনন করে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ শুরু করেন এবং এলাকায় প্রচুর জমি কেনেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার এলাকার তিন নম্বর সড়কের নিজ ফ্ল্যাটে থাকেন।এই ফ্ল্যাট তিনি কিনেছেন মন্ত্রীর এপিএস নিয়োগ পাবার দেড় মাস পর। গত মাসে তিনি ৩৫ লক্ষ টাকায় একটি গাড়ি কিনেছেন এবং ধরা খাওয়ার ৫ দিন আগেও স্ত্রীর নামে ২৬ লক্ষ টাকায় আরো একটি গাড়ি কিনেছিলেন-যা এখন রেজিঃ হয় নাই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




