somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর করুন কাহিনী

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এই গল্পটি কাল্পনিক। কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী না।


একদেশে এক ছেলে ছিল। নাম নুরা। সবাই তাকে নুরা পাগলা বলে ঢাকতো। যখন সে ৩য় শ্রেণীতে পড়তো তখন থেকে তার স্বভাব অন্য রকম ছিলে। ৭ দিনের নাম, বাংলা বারো মাসের নাম, ইংরেজী ১২ মাসের নাম যখন তার সহপাঠীরা খুব সহজেই মুখস্ত করে নিয়েছিল তখন নুরা পাগলা এগুলা মুখস্ত করতে ১ মাস সময় নিয়েছিলো।

আর তার স্বরণ শক্তি ছিলো দুর্বল। এখন একটি কথা বলিলে ৫ মিনিটে তা ভুলে যেতো।

গণিত পরীক্ষাতে সবাই পরীক্ষা দিতে ব্যাস্ত তখন সে কি যেন চিন্তা করছিলো। অন্য ছাত্ররা গণিত প্রশ্ন দেখে বুঝতে পারতো এটা যোগ হবে ঐ টা ভাগ হবে অথবা ঐ টা গুন হবে। সে স্থানে ঐ নূরা পাগলা মনে মনে ভাবতো যে “এটা কি অনুশীলনী ২ এর অংক। তাহলে এটা যোগ হবে।”

তার বানান ভুল হতো প্রচুর। “বাড়ি” কে লেখতো “বাড়”। এই ভুলটি অবশ্য অজ্ঞতার জন্য নহে। এই ভুল অবচেতন মন থেকে।

সে বোকা দেখে তার সহপাঠীরা তার সাথে মিশতো না। ক্লাসের সবাই তাকে নিয়ে মজা করতো। তার সাথে ইতরামানি করিতো। সহপাঠীদের এমন আচরণের জন্য নুরে আলম সবাই কে শত্রু মনে করতো।

বাসায় এসেও তার শান্তি নাই্। প্রতিটি ভুলের জন্য তাকে অনেক বকুনি সহ্য করতে হয়। একদম ছোট ছোট ভুলের জন্যও ৫ থেকে ১০ মিনিট কথা শোনা লাগতো। আর পাশের বাসার আন্টি এর ফায়দা নিতো। “ভাবী জানেন, আমার ছেলে না এই জিনিস টা করেছে।” এই কথা শুনার পর নূরার মা নূরা কে খুব কথা শুনাতো। “তোর মত পোলার দরকার নাই”, “তুই কিয়ারে হইছোত, তুই না হলে ভালো হতো” ইত্যাদি কথা নূরাকে খুব যন্ত্রণা দিতো। ক্লাসের সহপাঠীদের কটু কথা আর বাসায় সবার বকুনি সব মিলিয়ে নূরা “ভয়” এবং “আতঙ্ক” নিয়ে বড় হতে লাগলো।

এক সময় কোন কাজ করতে গেলে সে প্রথমেই ভয় পেয়ে যেতো। যদি আমি এই কাজে অসফল হই তাহলে সবাই হাসবে, আম্মু ধমক দিবে। এই চিন্তা তাকে গ্রাস করে ফেলতো।

এর মাজে তার একদিন শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। খুব কঠিন শ্বাস কষ্ট। এখন নূরা দুঃচিন্তায় পড়ে গেলা। এখন কি হবে? আবার ধমক খামু না তো!

যে যাত্রায় সে বেচে গেলো।

এক সময় সে এক মেয়েকে পছন্দ করতে লাগলো। তার পছন্দের কথা ফাস হয়ে গেলো। পরে মেয়েটি শিক্ষক কে নালিশ করলো। শিক্ষক ও তাকে যা তা হাবিজাবি বললো। রাতে সে খুব কান্না করতে লাগো।

এই ঘটনা আর নুরা পাগলা বাড়ির লোকেরা জেনে যায়। তার পর সে হয়ে গেলো ঘর ছাড়া। ঘর ছাড়া হয়ে যেন সে নতুন জীবন পেলো। তাকে কেউ কটু কথা বলে না। কি শান্তি। কেউ যদি মায়া করে খাবার দিলে, খায়; না হয় না খেয়ে থাকে।

একদিন তার শ্বর কষ্ট হলো। এবার সে চিকিৎসার অভাব মারা গেলো।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×