অক্টোবরের কোন এক দিন। কলেজ থেকে ফিরতে মাগরিবের আযান দিবে দিবে ভাব। বাসায় ফিরে দেখি মেয়ে, মেয়ের নানীর বাড়ির লোকজন। মেয়েটির মা মারা গেছে প্রায় ২০০৭ সালে।
সৎ মা এর কাছে মানুষ হওয়া মেয়েটি। মেয়েটির আপন মা আর আমার আম্মু আগে প্রতিবেশী ছিলেন। সেই আবেগে কোন কিছু খোজ খবর না নিয়ে বিয়ে ঠিক করে দেয়। মূলত মেয়ের নানীর বাড়ির ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলে আম্মু বিয়েতে রাজি হয়।
তারপরেও আমি এই বিয়েতে রাজি ছিলাম না। কারন আমি বেকার। ইনকাম নাই। সামনে মাষ্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা। বাড়ি ঘর ঠিক করতে হবে। বিয়ার জন্য পাগল হইও না। তাছাড়া মেয়ে আমাদের পরিবারের সাথে মিশ থাকতে পারবে কি না সেটাও যাচাই করার বিষয়।
বিয়ের আগে আমার আব্বু আমার সমস্যা গুলা আমর মেয়েটির সামনে উপস্থাপন করে। এবং সমস্যা জেনে আমাকে সে বিয়ে করতে রাজি হয়।
পরের দিন দুপুরে আমার শ্বশুর আমাকে দেখতে আসে। এবং দুপুরে বিয়ের জন্য মত দেয়অ রাতের মধ্যে বিয়ে কমপ্লিট।
যাই হউক। বাসর রাতে বউ কোন মিষ্টি মধুর কথা না বলে ঘুম। মানে বাসর রাতে আমার সাথে তার কোন কথাই হয় নি। আমি ভাবলাম, সারা দিন কত কষ্ট করেছে ক্লান্ত। ঘুমাক।
তার পরের দিন থেকে বউ এর মুখের এক্সপ্রেশন দেখে মনে হলো আমি তার বিরক্তের কারন।
৫ দিনের মাথায় সে আমার কাছ থেকে ডির্ভোস চায়। পরে আমি আমার আম্মৃরে বললাম “আমারে তুমি কি বিয়া করাইছো? হেতে তো তালাক চায়।”
যাই হউক। মাজখানে কি কি ঘটলো তা বলে পোস্ট বড় করতে চাই না।
মার্চে আমি আমার বউ কে করোনার টীকা দেওয়ার জন্য শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাই। তারপর নিজ বাসার আসার আগের দিন শ্বাশুড়ি বলেন “রিয়া আপনার সাথে যাবে না। রিয়া ঈদের পর যাবে।” আমি তাহার কথায় আপত্তি জানালাম না।
বাড়িতে আসার পরে, তাকে ফোন দিলাম। সেই মোবাইল নম্বর আজ ও বন্ধ।
ঈদের দিন তো একজন মসলিম আরেকজন মুসলিমের সাথে শত্রুতা ভুলে সব কিছু মাফ করে দেয়। কিন্তু আমার বউ আমার সাথে ঈদের দিনও কথা বলে নি। তবে শ্বশুরের কথা শুনে মনে হলো মেয়ে ডির্বোস চায়। দেখি...। কি হয় সামনে।
তবে ভয় একটাই। আমার হৃদয় আজ ক্ষত বিক্ষত। মলম লাগাতে না পারলে লবন ছিটাবেন না। আরো ভয় হচ্ছে আমার বাপ মা কে নিয়ে। মাইন্সে কথায় সহজে রেগে যাবে। আর আমার সাথে রাগ দেখাবে। যা কাটা গায়ে লবন ছিটানোর মত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২২ রাত ১০:০৩