আমার লেখাতে বানান ভুল হলে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ব্যাকরণ সংক্রান্ত কোন ত্রুটি থাকলেও সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সাজিয়ে গুছিয়ে লেখার দক্ষতা কম। তাই আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
আমার নানা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমার নানা মৃত্যু বরণ করেন ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে। তখন আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমার নানীর কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছি অনেকবার। আর নানার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনেছি একবার। এখন যদি নানা বেচে থাকতেন; তাহলে হয়তো আরো বিস্তারিত বর্ণনা সহিত শুনতে পারবতাম। এবং আপনাদের সাথে সেটা শেয়ার করতে পারতাম।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার নানা ভারতে যান। ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে বাংলাদেশে আসেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার নানার বাড়ি ছিলো হোগলাকান্দি গ্রামে। নানা বলেন এই ভাটেরচর ব্রীজে রাজাকারেরা ডিউটি করতো। এখানে রাজাকারদের চেক পোস্ট ছিলো। তাদের টাকা পয়সা দিলে বেশী আতাআতি করতো না।
আমি যখন ট্রেনিং এ ছিলাম তখন একটি দলকে কোন এক স্থানে মিশনে পাঠায়। কিছু অস্ত্র ও হাতিয়ার দিয়ে। সেদিন চেক পোস্টে রাজাকার ডিউটিতে ছিলো না। তখন সেখানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ডিউটি করছিলো। রাতের বেলা অস্ত্র বোঝাই একটি নৌকা এই ব্রীজ দিয়ে যাচ্ছিলো। একটা বেডায় সিটারেট খাচ্ছিলো। পাকিস্তানী হালারা এতটাই দক্ষ ছিলো যে সিটারেটের আলো কে নিশানা করে গুলি করে। আর একটি মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয়। পরে আমরা আমাদের ট্রেইনার কে জিগাইলাম। এটা কিভাবে হলো। আমাদের ট্রেইনার বলে “এরা তো প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য। ও অভিজ্ঞ সেনা সদস্য হবে। আর কেউ হয়তো পাকিস্তানের সেনাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলো যে এই দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধারা যাবে।”
উল্লেখ্য যে মুক্তিযুদ্ধের সময় অধিকাংশ ব্রীজ ভেঙ্গে দেয়া হয়। তার মধ্যে আমাদের ভবেরচর এর ব্রীজ অন্যতম। একদল তরুন ঐ ব্রীজের নিচে গিয়েছিলো। দেই দলে আমার এক বন্ধুর বাবা ছিলো। হঠাৎ একদল পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী এসে পড়ে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী দেখে তারা পালিয়ে যায়। এবং গোরস্তানে পালিয়ে যায়। এই গোরস্তানে সৌভাগ্যক্রমে আমার বন্ধুর বাবা বেচে চায়। আর বাকি সবাই পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হয়।
আজ এই পযর্ন্তই। আমার নানীর মুখ থেকে শোনা গল্প আরেকদিন শেয়ার করবো।
চিত্র: ভবেরচর ব্রীজ, ঢাকা চট্টগ্রাম হাইওয়ে সংলগ্ন, গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ। গুগল পজিশন: 23.560330687354448, 90.65439495065954
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮