আমি কিছু মুরগি কিনে রেখেছিলাম। একটা মোরগ ও ছিলো। একটি মুরগি ডিম নিয়ে বসে আছে। আরেকটি মুরগির দুইটি বাচ্চা ফুটেছে। বাড়ির আঙ্গিনায় সিম গাছ, ধুন্দুল গাছ আর লাউ গাছ ছিলো। সামনে লাল শাক, পুই শাক, ডাটা লাগানোর নিয়্যাত আছে। এখানে ৫টা মুরগি। প্রতি কেজি মুরগরির দাম ২০০ টাকা কেজি। একটা মুরগি ১ কেজি ধরলাম। পাঁচটা মুরগি ৫ কেজি। মানে এই ছবিতে ১০০০
টাকার সম্পদ আছে।
আমাদের মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলা তে এক সময় আলুর ব্যাপক চাষ হতো। অসময়ে বৃষ্টি তে অনেক আলু চাষী কে কান্না করতে দেখেছি। অনেক সময় আলু চাষ করে চাষীদের লাভবান হতে দেখেছি। আমাদের মুন্সীগঞ্জ ছাড়াও বগুড়াতে আলু চাষ হয়।
নরসিংদীতে যেমন নানা পদের তরকারি চাষ হয়, আমাদের গজারিয়াতে তেমন নানা রকম তরকারির চাষ হয় না। কেউ যদি বাড়ির আঙ্গিনাতে ব্যাক্তিগত ভাবে চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, সিম লাগায়, সেটা অন্য হিসাব। সেখানে কোন ব্যাবসায়িক নিয়্যাত থাকে না। মনে করেন আপদকালীন সময়ের চালানোর জন্য বাড়িতে কিছু শাক সবজি চাষ করে।
আমাদের এখানে আগে খুব ধান চাষ করা হতো। মাঝে মাঝে গমও চাষ করা হতো। আমার বন্ধুর বাপ, যে সৌভাগ্যক্রমে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাত থেকে বেচে যায় (আগের পোস্টে মনে হয় বলেছিলাম) তাকেও একবার গম চাষ করতে দেখেছি।
আমাদের গ্রামে (ভবেরচর) এ তিতাস গ্যাস যায় ২০০৯ সালে। এর আগে জ্বালানি হিসেবে ধৈঞ্চা এর প্রচলন চিলো বেশী। মানে ধৈঞ্চা মাটির চুলাতে ঢুকিয়ে জ্বালানি হিসেবে ব্যাবহার করতো। মুরব্বিরা হয়তো মাটির চুলা চিনবে। আমিও মাটির চুলার রান্না খেয়েছি। খুব মজা। যাই হউক। ২০০৮ সালেও এই ধৈঞ্চা চাষ করা হতো। এখন গ্যাস আসার পর ধৈঞ্চা কেউ চাষ করে না। ধৈঞ্চা চাষ করা হতো বর্ষা কালে, যখন বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত সব ডুবে যেতো।
আমাদের এখানে আগে ধান চাষ করা হতো। শীতে শরিষা, ক্ষিরা, শসা ইত্যাদি চাষ করা হতো।
২০১৩ সালের পর কাউকে চাষাবাদ করতে দেখি না। আমাদের ভবেরচর ইউনিয়ন এর অধিকাংশ জমি অনাবদি পড়ে থাকে। সবাই মেইল ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে। লেবার/হেল্পার পাওয়া মুশকিল। এবার লেবার ভাড়া করে জমি বর্গা নিয়ে কিছু না কিছু আবাদ করার চেষ্টা করবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:০০