অনেকদিন আগে। বলা যায় মানব সভ্যতার প্রথম দিকে। সে সময় এক মহাপ্রাবন শুরু হয়। দিন রাত বৃষ্টির ফলে বন্য সৃষ্টি হয়। বন্যায় পহাড় পযর্ন্ত তলিয়ে যায়। নৌকায় আহরনকৃত মানুষ ও প্রানীগণ বেচে যায়। এমন একটি ঘটনার বিবরণ সব ধর্মে পাবেন।
মুসলিম ধর্মে নূহ (আঃ) এর এর মাধ্যমে মহাপ্লাবনের ঘটনা ব্যাখা করা হয়েছে। তিনি একটি বড় নৌকা তৈরি করেন। এবং সেই নৌকাতে মানুষ, অন্যান জীব, ও উদ্ভিদ এর বীজ সংরক্ষিত করে রাখেন। ইহুদী আর খ্রিষ্টান ধর্মে আপনি একই ঘটনার বিবরণ পাবেন।
হিন্দু ধর্মে এই মৎস অবতারের মাধমে বিবরণ করা হয়েছে। তা ছাড়া চীনের প্রাচীন উপকথা, মিশরের হাইলোগ্রাফি, গ্রীক রুপকথা, মায়ান সভ্যতা, আইরিশ কিংবদন্তী সব সভ্যতায় এই মহাপ্লাবনের কথা বলা হয়েছে।
আমার একটি ফিল্ম এর কথা মনে পড়ে গেলো। নাম ২০১২। সেখানে পৃথিবীর সব শেষ হয়ে যায়। শেষে কিছু মানুষ বেচে যায়। সেখান থেকে সতুন সভ্যতা শুরু হয়। আমি ২০১২ এই ফিল্মের সাথে নূহ (আঃ) এর মহাপ্লাবন এর ঘটনার লিংক পাচ্ছি। আমি সেই ঘটনায় যাবো না।
আমরা যেভাবে পরিবেশ দূষণ করছি তাতে আমাদের মাঝে যে কোন সময় প্রাকৃতিক দুযোর্গ নেমে আসতে পারে। কল কারথানায় কালো ধুয়ার জন্য বায়ু দূষণ, মেইল ফ্যাক্টরির বজ্য এর কারণে নদী দূষণ হচ্ছে। মেঘনা ব্রীজ হবার আগে ইয়া বড় বড় রূই, কাতলা, কৈ, মাছ পাওয়া যেতো। একদম দেশী মাছ। এখন বাজারে যা মাছ পাওয়া যায় সব চাষ করা।
শীতলক্ষ্যা আর বুড়িগঙ্গার পানি কি পরিমাণ দূষিত সেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না।
আসল কথায় আসি। যে কোন সময় আবার মহামারি, মহাপ্লাবণ, বড় ধরণের দুর্যোগ আসতেই পারে। যে ভাবে কার্বণ নির্স্বরণ হচ্ছে এমন দুর্যোগ আসবেই। আমাদের উচিৎ সরকারি ভাবে বীজ, খাদ্য সংরক্ষণ করা।
কিছু দিন আগে তো করোনা ভাইরাস মহামারি আমাদের লন্ড ভন্ড করে দিয়ে গেছে। পরে কোন দুযোর্গ আমাদের ভোগাবে?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪