এটা হচ্ছে আমাদের মেঘনা ব্রীজ। উত্তর দিকে সোনারগাঁও উপজেলা, নারায়ণগঞ্জ। আর দক্ষিণ সাইডে হচ্ছে গজারিয়া উপজেলা, মুন্সীগঞ্জ জেলা।
২০০৪ সালের জরিপ অনুযায়ী ৯,৭০৪ টি গাড়ি যাতায়াত করে। এই ব্রীজটি ঢাকা-চট্টগ্রাম এর একটি অংশ। ১৯৯১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এই ব্রীজ চলাচলের জন্য উমুক্ত করা হয়।
এই ব্রীজ টি যদি না থাকতো, তাহলে কি হতো? চট্টগ্রাম পোর্ট এর সাথে ঢাকার সহজে সড়ক যোগাযোগ হতো না। কোন পন্য সেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া দিয়ে ঘুরে নিয়ে যাওয়া লাগতো।
এখন এই ব্রীজের জন্য আমাদের উপজেলা বেশ লাভবান হয়েছে। কিভাবে জানেন? আমাদের উৎপাদি আলু সারা দেশে পৌছে দিতে পারছি। ঢাকায় সহজে যাওয়া যায়। তারপরে মনে করেন, আমাদের উপজেলা তে বসুন্ধরা পেপার মিল, জেএমআই এর মেডিক্যাল ইকুয়িমেন্ট ফেক্টরি, শাহ সিমেন্ট ও কয়েকটি রডের ফ্যাক্টরি আছে। আবার মনে করেন আমাদের উপজেলা তে হোন্ডা কম্পানির একটি ফ্যাক্টরি আছে। এসব ফ্যাক্টরি তে আমাদের এলাকার পোলাপান সহ আরো অনেক এলাকার লোকজন এর এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে। অন্য এলাকা থেকে লোকজন আমাদের উপজেলা তে কাজের জন্য আসার কারনে আমাদের এলাকাতে ঢাকা শহরের মত ভাড়া চলে।
এখন ব্রীজ হওয়াতে কাদের ক্ষতি হযেছে? যারা মেঘনা নদীতে, নৌকা চালিয়ে জীবিকা চালাতো তাদের ক্ষতি হয়েছে। নৌকার মাঝিদের মধ্যে যারা ব্যাবসা পরিবর্তন করেছে, যারা অন্য পেশায় দক্ষ হয়েছেন, যারা বেবি টেক্সি ক্রয় করেছেন, তারাও লাভবান হয়েছেন।
এখন যদি ঐ নৌকা ওয়ালারা ব্রীজ না বানানোর জন্য আন্দোলন করতো, আর সরকার তাদের কথা শুনে ব্রীজ না বানাতো তাহলে আমাদের ফেরী ঘাটে কমলা বিক্রী করতে হতো।
এখন চ্যাট জিটিপি কি আমাদের জন্য ভালো নাকি খারপ হবে জানি না। আমাদের এখন আপডেট হতে হবে। কিভাবে আপডেট হবো জানি না।
চিত্র: বেবি টেক্সি
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪