
একদেশে ছিলো এক ছেলে। তার নাম ছিলো রাকিব। তার বাবা নিয়্যত করেছিলো যে “তার ছেলে হলে, সেই ছেলে কে মাদ্রাসাতে পড়াবে।” যেই ভাবা সেই কাজ। রাকিব এখন মাদ্রাসার ছাত্র। খুব মেধাবী। সব কিছু দক্ষতার সাথে হেন্ডেল করে। সে ধর্মের সব কিছু খুটি নাটি বিশ্রেষণ করে পড়ে। সে জ্ঞান অর্জন তাকে ধর্মান্ধ বানায় নি।
মাদ্রাসার লাইনে পড়ার শেষে সে কর্মমুখী শিক্ষার দিকে যেতে চাইলো। তার বাবা তাকে বাধা দেয় নি। “তুমাকে এখন ইমাম সাহেব হতেই হবে।” এই ধরনের কোন প্রেসার দেয় নি। রাকিব “A গ্রেড” এর ফার্মাসিস্ট ডিগ্রী অর্জন করলো। এবং বাংলাদেশের একটি দোকানে কাজ করলো। পরে সে ইমরো ফার্মা কম্পনি তে ফার্মাসিস্ট পদে যোগদান করে।
রাকিবের কাজের দক্ষতা, নিয়মবর্তিতা ও সৎ চরিত্রের জন্য কম্পনি তাকে দুবাই পোস্টিং করে। এই পযর্ন্ত কাল্পনিক।
আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামের প্রথম হুজুর এর নাম ছিলো রফিকুল ইসলাম। সে মসজিদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামে ইমামতি করতেন। সে ইমামতির পাশাপাশি টেইলার কাজ জানতো। এবং বাজারে টেইলারি কাজ করতেন। এই টেইলারি কাজ তাকে বাড়তি ইনকাম দিতো। এখন এই ইমাম সাহেব বাড়িতে কৃষিকাজ করে।
মাদ্রসার ছাত্রদের বলিবো যে শুধু ইমামতি এর উপর নির্ভর না করে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হতে হবে। যাতে শুধু ইমামতি চাকরির উপর নির্ভর হয়ে থাকতে না হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



