
ইমাম সাহেবের বেতন কত? তারা কেমন সুযোগ সুবিধা পায়?
একজন ইমাম সাহেবের বেতন সর্বোচ্চ ৮ থেকে ১০ হাজার। ১০ হাজার এর উপরে ওঠেই না। একটা গ্রামে মাসে দুই একটি মিলাদ থাকে। এমনও অনেক মাস আছে, মিলাদ হয় না। দুই তিনমাস পর পর যদি একটি মিলাদ হয়। সেই মিলাদ থেকে ইমাম কত টাকা হাদিয়া পায়। দুই একশ এর উপরে কেউ পারিশ্রমিক দেয় না।
আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামের ইমামের বেতন মনে করেন ১০ হাজার টাকা। পরিবার প্রতি ১০০ টাকা নেওয়া হয় হুজুরের বেতন এর জন্য। এমনও অনেক লোক আছে ১০ মাস ১১ মাস পার হয়ে যায়। হুজুর এর বেতন দেয় না। হুজুর এর বেতন নিয়মিত দেয়ে না এমন পাবলিক আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামে মিনিমাম তিন চারটা পরিবার আছে। তো মাস শেষে হুজুরের বেতন ৬ হাজার ওঠে। এই ৬ হাজার টাকায় কি আপনি বউ, সন্তান নিয়ে চলতে পারবেন?
হুজুর এর কোয়ার্টার কেমন? মসজিদের সাথেই ইমাম সাহেবের কোয়াটার্র। ইমাম সাহেবের কোয়াটার কোন রকম নয় ছয় করে বানায়। মনে হয় যেন এখানে ছাগল থাকবে। মানুষ না। একটি মানুষের উজ্জত এর জন্যই একটি পাকা পোক্ত, ভালো ও সুন্দর করে ইমামের কোয়াটার বানানো উচিত। হুজুরের বাসা এমন ভাবে বানানো উচিৎ যাতে ইমাম সাহেব তার প্রাণের স্ত্রী নিয়ে থাকতে পারে।
আবার মনে করেন মসজিদে শুক্রবারে খুতবা হয়। সেখানে ইসলাম নিয়ে কথা হয়। “সুদ খাওয়া ভালো না। ওজনে কম দিবেন না। ভোক্তাদের ঠকাবেন না। স্ত্রীদের সাথে ভালো ব্যাবহার করুন। বোনদের সম্পত্তি ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিবেন।” এসব খুতবায় বললেই তার চাকরি নট। এমন উচিৎ কথা বলায় অনেক হুজুরদের চাকরি হারাতে দেখছি।
যখন হুজুররা বলে “স্ত্রীর সাথে সৎ ব্যাবহার করুন। পরকীয়া করবেন না। সম্পত্তিতে ভাই বোন কে ঠকাবেন না।” এগুলা ভাইরাল হয় না। হুজুরদের এমন কথায় ডিবিসি নিউজ, একাত্তর টিভি এসব কোন রিপোর্ট করে না।
“চা খাবেন, ঢেলে দেই। বসেন বসেন, বসে যান।” জাতীয় কথা গুলো বেশী ভাইরাল হয়। আর বাংলাদেশের টিভির চ্যালেন গুলা উৎ পেতে থাকে; কখন হুজুররা বেফাস কথা বলবে আর ওদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা যাবে।
তাই হুজুরদের নিয়ে কেউ ভাবে না।
হুজুরদের বেতন বাড়াতে হবে।
তাদের কোয়াটার ভালো করে বানাতে হবে। আর এমন ভাবে বানাতে হবে যাতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকতে পারে।
ইমামতির পাশাপাশি অন্য কাজ শিখেতে হবে। আমাদের সাতকহানিয়া গ্রামের প্রথম হুজুর টেইলারি কাজ করতো। সেখান থেকে তার আয় হতো ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
উল্টা পাল্টা কথা বলতে তার প্রতিবাদ করা উচিৎ। কিন্তু “ইভটিজিং, সুদ, ঘুস, পণ্যে ভেজাল মিশানো, নারীর সম্মন, সম্পত্তির সমান অধিকার” ইত্যাদি সামাজিক অবক্ষয় নিয়ে কথা বললে তার চাকরি নট; এমন মন মানষিকত থেকে বাহির হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




