অনেকদিন আগে। তখন আমার মাত্র প্রথম সংসার ভাঙ্গন এর পরের ঘটনা। এর বেশ কিছু দিন পর পদ্মা সেতু উদ্ভোধন করা হয়। তখন আমারও ইচ্ছে ছিলো পদ্মাসেতু পার হবার। সে সময়ে একদিন, একটি কাজে গুলিস্থান থেকে মতিঝিল যাচ্ছি। সকাল বেলা। ফুটফাতে যারা ঘুমাচ্ছিলেন, তারা মাত্র জেগেছেন। আমি তখন চিন্তা করলাম “পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল” ইত্যাদি উন্নয়ন হলে তাদের কি উপকার হবে। তারা যদি বসস্থান, খাদ্য ও ইউরোপিয়ান স্টাইলে ফ্রি চিকিৎসা ও কাপড় পেতো, তাহলে তাদের উপকার হতো।
তাহলে পদ্মা সেতু হওয়াতে কাদের উপকার হয়েছে? মনে করেন আলম এর মত লোকদের উপকার হয়েছে। মনে করেন তিনি একজন কাপড় ব্যাবসায়ী। তার বাসা মনে করেন শরিয়তপুরে। তিনি ঢাকা থেকে মাল কিনে শরীয়তপুর এ তার দোকানে বিক্রি করে। আলম এর মত যারা ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে মাল বিক্রি করে তাদের জন্য পদ্মাসেতু উপকারে আসবে। বা শফিক তার লেপটপ সার্ভিসিং করার জন্য সকালে শরীয়তপুর থেকে রওনা হলে, কাজ শেষে; বিকালে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে পারবে।
আমি বর্তমানে মুগদা আছি। আমার লেপটপ সার্ভিসিং করার জন্য আগারগাওঁ কম্পিউটার মার্কেট এ যাওয়ার নিয়্যাত করলাম। মতিঝিল এ গিয়ে মেট্রোরেলে ওঠলাম। সম্ভবত ১০/১২ মিনিটে আগারগাওঁ পৌছি। আধাঘন্টা কাজ শেষে কোন মতে ১০ টা ৫৯ এ আবার মতিঝিল যাবার টিকেট (ঐ কার্ডের নাম মনে নাই) কাটি। পরে নিদিষ্ট সময়ে বাসায় আসি। এখন মেট্রোরেল না থাকলে এই কাজ সম্পন্ন করতে বিকাল হয়ে যেতো। কারন রাস্তায় জ্যাম। এখন এই মেট্রোরেল সার্ভিস যদি সকল ৭টা থেকে রাত ১১ টা পযর্ন্ত থাকতো তাহলে খুব ভালো হতো। সকাল ১১টা, সময় কম হয়ে যায়।
আর মতিঝিল থেকে তেজগাঁও, মহাখালী হয়ে বিমানবন্দর হয়ে উত্তরাতেও মেট্রোরেল লাগবে বলে আমি মনে করি।
এখন কেউ কেউ বলবে “খাইতে ভাত পাই না। এসব হাই বাজেট এর উন্নয়ন দিয়ে কি করমু?” তারা কি নিজেদের সন্তানের জন্য নিজে না খেয়ে টাকা জমায় না? নিজে ভোগ না করে, টাকা জমিয়ে, তাদের জন্য কি সম্পদের পাহাড় বানায় না? লাগলে আমি ঘাস থেয়ে থাকবো। তবুও উন্নয়ন করিয়ে ছাড়বো।